জীবননগরে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত-১ : গোটা এলাকায় আতঙ্ক
- আপলোড টাইম : ০৫:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
- / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। পরে অবশ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পরে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের সকের উদ্দিনের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকবার গ্রুপের সাথে উথলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেবু গ্রুপের মধ্যে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় আলী আকবার গ্রুপের সদস্য সেনেরহুদা গ্রামের সকার উদ্দিনের ছেলে আ.মালেক (৪০) গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে দু’গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় হাসুয়া, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোটা এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষও বাধে। এসময় একজন আহত হয়। তবে, তাৎক্ষণিক সংবাদ পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁেছ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসীর অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন আলী আকবার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জেবুদের ফাঁসানোর জন্য মেয়ে ঘটিত বিষয়ের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংঘর্ষ বাধিয়েছে।
এলাকাবাসীর অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন উথলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেবু আওয়ামী লীগের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে।
এ ঘটনার পর থেকে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানা যায়। তবে, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উথলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জেবুর সাথে কথা বললে, তিনি বলেন, আলী আকবার আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এমন কি সে আমার নামে থানায় মিথ্যা একাধিক বার অভিযোগ করেছে। গতকাল সকালে আমার এক চাচাকে অযথা গালিগালাজ করতে থাকে। তাকে গালি গালাজ করতে নিষেধ করলে সে চড়াও হয়। সেখান থেকে আমার চাচা চলে আসে বিকালে আবার একই ঘটনার এক পর্যায় আলী আকবার আমাদের এক জনকে চড় মারে তারপরে এই মারামারি হয়। তাদের হাতেও আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আলী আকাবারের সাথে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ঘটনা লেখা পর্যন্ত জনগনের নিরাপত্তার স্বাথে গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
জীবননগর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই পলাশ পারভেজ জানান, সেনেরহুদায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ বা মামলা করেনি। তবে, ওই এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। পুলিশের টহল টিম নিয়মিত টহল দিচ্ছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই পুলিশ সেটা প্রতিহত করবে।