ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

সত্যিকারের মুসলমানের পরিচয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক: ইসলামের ধর্মীয় কাজগুলোর মাধ্যমে দুনিয়ায় জীবনযাপনের শিক্ষা দেয়া হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবন দুনিয়ার জীবন থেকে মোটেই আলাদা নয়। মুমিনের জীবনে দীনদারী ও দুনিয়াদারীতে কোনো পার্থক্য নেই। ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী কাজ করলে দুনিয়াদারী বলে গণ্য সব কাজও দীনদারীতে পরিণত হয়। এই যে ইসলামের এ চমৎকার পরিচয় তা আমাদের সমাজের খুব কম লোকেরই জানা আছে। যারা নিজেদের মুসলমান মনে করে তাদের সবারই ইসলামের এ সুন্দর পরিচয় জানা খুবই জরুরি। ইসলামকে এভাবে না জানলে কেমন করে খাঁটি মুসলমান হওয়া যাবে? আর খাঁটি মুসলমান হতে না পারলে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায়ই থাকবে না। মানুষ মনে করে, মুসলমান পরিবারে জš§ নিলেই মুসলমান হয়ে যায় এ ধারণা একেবারেই ভুল। মুসলমানের সন্তানও অমুসলিম হয়ে যেতে পারে। আবার অমুসলিমের সন্তানও খাঁটি মুসলমান হতে পারে। অতীতে অনেক অমুসলিমের সন্তান নবী হয়েছেন। আবার নবীর সন্তানও অমুসলিম হয়েছেন। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পিতা আজর অমুসলিম ছিলেন। আবার নুহ (আ.)-এর এক ছেলে অমুসলিম ছিলেন। জš§গতভাবে কেউ মুসলিম বা অমুসলিম হয় না। মুমিন হওয়ার জন্য প্রথম শর্তই হলো ইমান। ইমান আনা ও না আনার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। ইমান বা বিশ্বাস মনের ব্যাপার। মনের ওপর জোর খাটে না। তাই ইমান আনার জন্য জোর করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। যখন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি কাজে লাগানোর বয়স হয় তখন নিজের ইচ্ছায় অমুসলিমের সন্তানও ইমানদার হয়ে যেতে পারে, আবার মুমিনের সন্তানও অমুসলিম হয়ে যেতে পারে। মুসলমান হওয়ার জন্য কতগুলো জরুরি গুণের প্রয়োজন। সর্বপ্রথম তাকে তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী হতে হবে। এরপর তাকে মুসলমান হিসেবে জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে কোরান ও হাদিসের কিছু ইলম হাসিল করতে হবে এবং ইমান ও ইলম অনুযায়ী মুসলিম চরিত্র গঠন করার মতো আমল করতে হবে। অমুসলিমের কোনো সন্তান যদি ইমান, ইলম ও আমলের গুণের কারণে মুসলিম হয়, তাহলে কোনো মুসলমান সন্তানের মধ্যে এসব গুণ না থাকলে তাকে আল্লাহ মুসিলম হিসেবে গণ্য করবেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমান ওই ব্যক্তিকে বলা হয় যার হাত ও মুখ তথা ক্ষমতা ও ভাষা থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সত্যিকারের মুসলমানের পরিচয়

আপলোড টাইম : ০৫:০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

ডেস্ক: ইসলামের ধর্মীয় কাজগুলোর মাধ্যমে দুনিয়ায় জীবনযাপনের শিক্ষা দেয়া হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবন দুনিয়ার জীবন থেকে মোটেই আলাদা নয়। মুমিনের জীবনে দীনদারী ও দুনিয়াদারীতে কোনো পার্থক্য নেই। ধর্মীয় নীতি অনুযায়ী কাজ করলে দুনিয়াদারী বলে গণ্য সব কাজও দীনদারীতে পরিণত হয়। এই যে ইসলামের এ চমৎকার পরিচয় তা আমাদের সমাজের খুব কম লোকেরই জানা আছে। যারা নিজেদের মুসলমান মনে করে তাদের সবারই ইসলামের এ সুন্দর পরিচয় জানা খুবই জরুরি। ইসলামকে এভাবে না জানলে কেমন করে খাঁটি মুসলমান হওয়া যাবে? আর খাঁটি মুসলমান হতে না পারলে দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায়ই থাকবে না। মানুষ মনে করে, মুসলমান পরিবারে জš§ নিলেই মুসলমান হয়ে যায় এ ধারণা একেবারেই ভুল। মুসলমানের সন্তানও অমুসলিম হয়ে যেতে পারে। আবার অমুসলিমের সন্তানও খাঁটি মুসলমান হতে পারে। অতীতে অনেক অমুসলিমের সন্তান নবী হয়েছেন। আবার নবীর সন্তানও অমুসলিম হয়েছেন। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর পিতা আজর অমুসলিম ছিলেন। আবার নুহ (আ.)-এর এক ছেলে অমুসলিম ছিলেন। জš§গতভাবে কেউ মুসলিম বা অমুসলিম হয় না। মুমিন হওয়ার জন্য প্রথম শর্তই হলো ইমান। ইমান আনা ও না আনার ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। ইমান বা বিশ্বাস মনের ব্যাপার। মনের ওপর জোর খাটে না। তাই ইমান আনার জন্য জোর করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। যখন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি কাজে লাগানোর বয়স হয় তখন নিজের ইচ্ছায় অমুসলিমের সন্তানও ইমানদার হয়ে যেতে পারে, আবার মুমিনের সন্তানও অমুসলিম হয়ে যেতে পারে। মুসলমান হওয়ার জন্য কতগুলো জরুরি গুণের প্রয়োজন। সর্বপ্রথম তাকে তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী হতে হবে। এরপর তাকে মুসলমান হিসেবে জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে কোরান ও হাদিসের কিছু ইলম হাসিল করতে হবে এবং ইমান ও ইলম অনুযায়ী মুসলিম চরিত্র গঠন করার মতো আমল করতে হবে। অমুসলিমের কোনো সন্তান যদি ইমান, ইলম ও আমলের গুণের কারণে মুসলিম হয়, তাহলে কোনো মুসলমান সন্তানের মধ্যে এসব গুণ না থাকলে তাকে আল্লাহ মুসিলম হিসেবে গণ্য করবেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমান ওই ব্যক্তিকে বলা হয় যার হাত ও মুখ তথা ক্ষমতা ও ভাষা থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।