হালকা সুবাশ ছড়িয়ে অফিসে রাতের রানী
- আপলোড টাইম : ০৫:৫৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
- / ৭৩১ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: প্রকৃতি কী অপরূপ। কী তার শোভা। এখানে প্রতিদিন কত ফুল ফোটে আর কত ফুল ঝরে যায়। গভীর একরাতে ফুটে মুগ্ধকর সৌন্দর্য আর চারদিকে সুবাস ছড়িয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যায় বলে এ ফুলের নাম নাইট কুইন-রাতের রানী।
অনেকে একে সৌভাগ্য ও পবিত্রতার প্রতীক মনে করেন। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যেও লজ্জাবতী এ দুর্লভ ফুল যদি একসঙ্গে অনেক ফোটে তাহলে তা দেখার আনন্দ অনেক বেশি। প্রকৃতিতে দুর্লভ ফুল নাইট কুইন। সচরাচর যা চোখে পড়ে না। নাইট কুইনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর পর্যন্ত। শুধুমাত্র রাতের আঁধারে ফোটে এ ফুল। যে কারণে নাম হয়েছে নাইট কুইন।
তবে সময়ের সমীকরণ’র নিজস্ব প্রতিবেদক এস, এম শাফায়েতকে এ ফুল দেখার জন্য বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি, সন্ধান করতে হয়েছে। গত রবিবার সকালে পৌর শহরের শোভা নার্সারী থেকে সে গাছটি সংগ্রহ করে সে। ওই দিন অফিসে নিয়ে এসে রাখলে সন্ধ্যা থেকে ফুলের কলি দেখা দেয় গাছটিতে। যে রাতে ফুল ফুটে সেদিন বিকালেই কলিটি অদ্ভুত সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে। তখন এর দিকে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায় রাতের রানী আসছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটতে শুরু করে। পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে গেলে আস্তে আস্তে মেলতে শুরু করে নাইট কুইনের কলি। রাতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি দুটি করে পাপড়ি মেলতে থাকে। রাত ১২টায় পূর্ণতা পায় ফুলটি। মিষ্টি এক ধরনের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এ গন্ধে তীব্রতা না থাকলেও আছে এক ধরনের অদ্ভুত মাদকতা, যা যে কোনো মানুষকে মোহিত করার জন্য যথেষ্ট।
পরিপূর্ণ অন্ধকার যখন রাতকে আনন্দিত করে নাইট কুইন তখন অন্ধকারে বুকচিরে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে মেলে ধরে। রাত যত বাড়তে থাকে তার রূপ ততই খুলতে থাকে। নিশাচর পতঙ্গরা রাতের রানীর মোহময় সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে উন্মাদের মতো ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বুকে। পূর্ব আকাশে আলোকছটা দেখা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে মৃত্যু ঘণ্টা বেজে ওঠে নাইট কুইনের।
ফুল ফোটার খবর পেয়ে পত্রিকার প্রধান সম্পাদক পতœী রেবেকা সুলতানা বিভা ঘুমকাতুর চোখে ওপাশ থেকে ফোনে বললো -তোরা সারারাত ধরে ফুল দেখ, আমাকে ঘুমাতে দে, সকালে অফিস আছে বলেই ফোনটা কেটে দিলো। তবে, ভাবি না আসলেও ছোট্ট সোনামণি প্রেরণা রাতের রানীর সাথে সঙ্গ দিতে অফিসে আসলো কিন্তু আমাদের মতো ছবি তোলায় মাতলো না।
এদিকে, সময়ের সমীকরণ’র প্রধান কার্যালয়ে রাখা নাইট কুইন/রাতের রাণীর সাথে ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় বার্তা সম্পাদক হুসাইন মালিক, ছড়াকার ও সাহিত্যিক এম এ মামুন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, সহ সম্পাদক সুমন পারভেজ, পলাশ কুমার সাহা, বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক সেলিমুল হাবীব সেলিম, সার্কুলেশন ম্যানেজার সৈয়দ আলমগীর হাসান, জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক উজ্জল মাসুদ, নিজস্ব প্রতিবেদক এস এম শাফায়েত, নিজস্ব প্রতিবেদক আফজালুল হক, শহর প্রতিবেদক আনিছ বিশ্বাস, প্রধান কম্পিউটার অপারেটর বিএ জীবন, ফারিয়া’র সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দীন হাবলু অংশ নেন তবে, কে এই প্রতিযোগিতায় জয়ী সেটা বোঝা গেলো না। কিন্তু পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন হাসি মুখে একঝঁলক দেখে নিলেন রাতের রানীকে। সর্বশেষ এক রাতের অতিথি আজ পত্রিকার সংবাদ হয়ে চলে গেলো অজানা গন্তব্যে।