অবশেষে নাটকের সমাপ্তি : নাটকের দৈর্ঘ্য ৭ দিন : অভিনয় শিল্পী ১১ জন
- আপলোড টাইম : ০৫:৩৫:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
- / ৫৯৮ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে নাটকের সমাপ্তি : নাটকের দৈর্ঘ্য ৭ দিন : অভিনয় শিল্পী ১১ জন
জীবননগর রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরূদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার
নিজেদের স্বার্থে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ইউপি সদস্যরা
রায়পুর প্রতিনিধি: অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটল। এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিপরীতে ১১জন অভিনয় শিল্পীর করা অভিনয় মাত্র ৭ দিনেই শেষ। চুয়াডাঙ্গা জেলা জীবননগর উপজেলার ৬নং রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বররা অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন মীর্জার বিরুদ্ধে তাদের দায়েরকৃত সরকারী অর্থ আত্মসাৎ লিখিত অভিযোগটি প্রত্যাহার করেছেন।
গত ১৭ই জুলাই সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের ১১জন সদস্য স্বাক্ষরিত অভিযোগ প্রত্যাহার পত্রটি জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা বরাবর পেশ করা হয়। গত ১১ই জুলাই রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ১২জন ইউপি সদস্যর মধ্যে ১১জন ইউপি সদস্য ইউপি পরিষদের চেয়াম্যান তাহাজ্জত হোসেন মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে অনাস্থা জ্ঞাপন করে তার শাস্তির আবেদন করেন। কিন্তুু গত ১৭ই জুলাই সোমবার মাত্র ৭দিনের ব্যবধানে সেই ইউপি সদস্যরাই আবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে তাদের দায়েরকৃত অভিযোগটি লিখিতভাবে প্রত্যাহার করে নেন। তাদের এই প্রত্যাহারের বিষয়টি এলাকায় প্রচার হলে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্য একটা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।
এলাকার সুধীমহল এবং সচেতন নাগরিকরা জানান, চেয়ারম্যানের বিরূদ্ধে অভিযোগটি কি তাহলে সাজানো নাটক ছিল? নাকি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তারা অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহার করলেন তা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তারা উক্ত ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন যে, নিজেদের স্বার্থের জন্যই ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল যা তারা অভিযোগ পত্রটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে নিজেরাই প্রমাণিত করেছে। হইতোবা সরকারী অর্থ আত্মসাত, দূর্নীতির সাথে ইউপি সদস্যরাই জড়িত ছিল কিন্তু চেয়ারম্যান তাদেরকে তাদের ভাগ থেকে বঞ্চিত করাই তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ছিল। এখন তারা তাদের দূর্নীতির টাকার ভাগ পেয়েছে তাই তারা অভিাযোগ পত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে এই প্রশ্নটি এখন জনসাধাররনের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে অত্র ইউপি পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য তরিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেল তিনি সময়ের সমীকরণ প্রতিনিধিকে জানান যে, জেলা প্রশাষক আমাদের সকল সদস্যবৃন্দকে ডাকেন এবং আমাদের সকলের কাছে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত অভিযোটি শোনেন এবং পরে তিনিই নিজেই আমাদের উক্ত সমস্যাটি সমাধান করে দেন। অপরদিকে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হেসেন মির্জার সাথে কথা বলেল তিনি বলেন যে, তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এনেছিল তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন যার কোন সত্যত নেই। তারা নিজেরাই তাদের ভুল বুঝতে পেরে অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ই জুলাই রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যন তাহাজ্জত হোসেন মীর্জার বিরূদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, সরকারী অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে তার বিরূদ্ধে লিখিত অনাস্থা জ্ঞাপন করেন অত্র ইউনিয়নের ১১জন সদস্য। এরপর গত ১৬ই জুলাই চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যনের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে। অনাস্থা জ্ঞাপনকারী ইউপি সদস্যরা হলেন মিলনুর রহমান, জেহের আলী, আব্দুল লতিফ, আশাদুল হক, আব্দুল মালেক, ফয়জুন নেছা, আব্দুস শুকুর, তরিকুল ইসলাম, কুলসুম বেগম, কহিনুর বেগম ও নুরুন্নাহার।