ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গা ওসমানপুরের আসাদের ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
  • / ৪০২ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা ওসমানপুরের আসাদের ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন
এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
DSCN9808 - Copyনিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের আসাদ নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু নিয়ে ধ্রু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সে স্পিরিট খেয়ে মারা গেছে, কেউ বলছে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট আসাদের লাশ হস্তান্তর করা হয় এবং ওসমানপুর নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফনসম্পন্ন করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যু নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে গ্রামজুড়ে। বিষাক্ত মাদকদ্রব্য স্পিরিট পানে ওসমানের তরতাজা চলে যেতে দেখে সতর্ক হয়েছেন অনেক অভিভাবক ও যুব সমাজ।
স্থানীয় সূত্রে অনেকে জানায়, বর্তমান সমাজে মাদক এক অসহনীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। উঠতি বয়সী যুবক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্ররাও ঝুকছে মাদকের দিকে। দীর্ঘদিন ধরে ওসমানপুর গ্রামের লালু ফকিরের ছেলে লাবলু, একই গ্রামের মৃত হাসেম মাওলানার ছেলে ফরিদ, মৃত মফে ফারাজীর ছেলে জাকারিয়া ও মৃত লালচাঁদ ফকিরের ছেলে বুদো ওরফে মিলার বুদো দাপটের সাথে বিষাক্ত রেক্টিফাইড স্পিরিটের ব্যবসা করে আসছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন আসাদ ওসমানপুর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে তার বন্ধু হযরত আলীর সাথে মাদক ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়ার দোকানে যায়। বন্ধুর প্ররোচনায় কয়েক সিসি স্পিরিট খেয়ে ফেলে। এরপর থেকেই আসাদ মানসিক বিকাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেও বাড়ি ফিরে পাগলামি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। ঘরের মধ্যে বেশ কিছু সময় চিৎকার চেচামিচির এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে পরনের লুঙ্গি ছিড়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে আসাদ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফনসম্পন্ন করা হয়।
আসাদ পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সাংসারিক জীবনে সে স্ত্রী প্রিয়া, দু’ছেলে হুসাইন (১০) ও সামাদ (০৬) এবং মেয়ে আমেনা (০৩)কে রেখে গেছে। নেশার বশ্ববর্তী হয়ে এ ভাবে একটা তাজা প্রাণ চলে যাওয়ার বেদনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। সকলের দাবি মাদক ও মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গা ওসমানপুরের আসাদের ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৫:২৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

আলমডাঙ্গা ওসমানপুরের আসাদের ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন
এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ
DSCN9808 - Copyনিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের আসাদ নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু নিয়ে ধ্রু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। সে স্পিরিট খেয়ে মারা গেছে, কেউ বলছে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট আসাদের লাশ হস্তান্তর করা হয় এবং ওসমানপুর নিজ গ্রামের কবরস্থানে তার দাফনসম্পন্ন করা হয়।
এদিকে তার মৃত্যু নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে গ্রামজুড়ে। বিষাক্ত মাদকদ্রব্য স্পিরিট পানে ওসমানের তরতাজা চলে যেতে দেখে সতর্ক হয়েছেন অনেক অভিভাবক ও যুব সমাজ।
স্থানীয় সূত্রে অনেকে জানায়, বর্তমান সমাজে মাদক এক অসহনীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। উঠতি বয়সী যুবক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্ররাও ঝুকছে মাদকের দিকে। দীর্ঘদিন ধরে ওসমানপুর গ্রামের লালু ফকিরের ছেলে লাবলু, একই গ্রামের মৃত হাসেম মাওলানার ছেলে ফরিদ, মৃত মফে ফারাজীর ছেলে জাকারিয়া ও মৃত লালচাঁদ ফকিরের ছেলে বুদো ওরফে মিলার বুদো দাপটের সাথে বিষাক্ত রেক্টিফাইড স্পিরিটের ব্যবসা করে আসছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন আসাদ ওসমানপুর গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে তার বন্ধু হযরত আলীর সাথে মাদক ব্যবসায়ী চাঁদ মিয়ার দোকানে যায়। বন্ধুর প্ররোচনায় কয়েক সিসি স্পিরিট খেয়ে ফেলে। এরপর থেকেই আসাদ মানসিক বিকাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেও বাড়ি ফিরে পাগলামি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে একটি ঘরে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। ঘরের মধ্যে বেশ কিছু সময় চিৎকার চেচামিচির এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে পরনের লুঙ্গি ছিড়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে আসাদ। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে বাদ আসর নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফনসম্পন্ন করা হয়।
আসাদ পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। সাংসারিক জীবনে সে স্ত্রী প্রিয়া, দু’ছেলে হুসাইন (১০) ও সামাদ (০৬) এবং মেয়ে আমেনা (০৩)কে রেখে গেছে। নেশার বশ্ববর্তী হয়ে এ ভাবে একটা তাজা প্রাণ চলে যাওয়ার বেদনা কেউ মেনে নিতে পারছে না। সকলের দাবি মাদক ও মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।