স্বামীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে গাছের সাথে স্ত্রীকে বেঁধে নির্যাতন : সংবাদ প্রকাশের পর : দামুড়হুদা থানায় মামলা : পুলিশের তড়িৎ অভিযানে আটক ৮
- আপলোড টাইম : ০৫:১৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
- / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় স্বামীর বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা হিয়া বেগম। গতকাল সোমবার দুপুরে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তিনদিন পর এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল সোমবার এ বিষয়ে মামলা নিয়ে দুপুরেই দামুড়হুদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৮ আসামিকে আটক করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে দামুড়হুদার চিৎলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সিরাজুল ইসলামের একটি লাল রঙের গরু চুরি হয়। এই গরু চুরির ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে একই গ্রামের তরল আলীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় কয়েকজন। বাড়ি ভাঙচুরে বাধা দিলে তরল আলীর মেয়ে সাবিনা ও জামাতা আহাদ আলীকেও বেধড়ক পেটায় তারা। খবর পেয়ে তরল আলীর স্ত্রী হিয়া বেগম বাড়ি ফেরার সময় তাকে রাস্তা থেকে ধরে বাড়ির পাশে একটি বেলগাছে বেধে বেধড়ক মারপিট করে।
গত শুক্রবার ঘটে যাওয়া এই নির্যাতনের ঘটনাটি তিন দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় গতকাল একটি সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সকলের দৃষ্টিতে আসে। ফলে গতকাল দুপুরেই নির্যাতিত ওই গৃহবধূ হিয়া বেগম বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নেতৃত্বে এসআই আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেন। আটককৃতরা হলো, চিৎলা গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আয়ুব আলী (৫২), তার স্ত্রী মাহিরন নেছা (৪৫) ছেলে রাজু ওরফে উকিল (১৮) আবুলের ছেলে বাচ্চু (৪৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে হাসান (২০) নৈশে ছেলে সায়েব আলী (২০) বাবলুর ছেলে সেতু (২০) ও কাজিরুলের ছেলে ফয়সাল (২০)। এ মামলায় এক আসামী পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, স্বামীর বিরুদ্ধে চুরির অপবাদে স্ত্রীকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় দ-বিধির বেশকয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে। অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আসামি আছে, তাদেরকেও দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।