ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে

indexআসলাম হোসেন জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে ১ম দফায় এবং বিকাল ৩ টায় প্রধান ফটকের সামনে ২য় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সালের ডায়েরি, ওয়াল ক্যালেন্ডার ও ডেস্ক ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ’-সংক্রান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল গতকাল রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত।এর পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ময়মনসিংহ গ্রুপের নেতা হিসেবে পরিচিত হারুনুর-অর-রশিদ, তানভির রহমান খান, আনিসুর রহমান শিশির, জহির রায়হান আগুনের নেতৃত্বে একটি দরপত্র জমা দেওয়া হয়। দরপত্র জমা দিয়ে তাদের গ্রুপের কর্মীদের নতুন ভবনের সামনে রেখে যাওয়া হয়। পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি এফ.এম. শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম.সিরাজুল ইসলামের অনুসারী জুয়েল রানা ‘সরকার ট্রেডার্স’ নামে একটি দরপত্র জমা দিতে গেলে ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী নাদিমের নেতৃত্বে শরীফ-সিরাজ অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। শরীফ-সিরাজের অনুসারী হিসেবে মিজানুর রহমান, সাইফুল্লাহ-ইবনে-সুমন, ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের আব্দুল ওহাবকে মারধর করে নাদিম। একপর্যায়ে আব্দুল ওহাব মাটিতে পড়ে গেলে নাদিম ও তার সাথে থাকা ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীরা তার বুকে ও পিঠে অনবরত লাথি মারতে থাকে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় নাদিম ও তার সাথে থাকা কর্মীরা তার মোবাইল নিয়ে নেয়। ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী নাদিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরবর্তীতে বিকাল ৩ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ২য় দফায় সংঘর্ষের সময় সিরাজ গ্রুপের কর্মী জুয়েল, আরিফুল ইসলাম, তৌকির, ফয়সাল এবং ময়মনসিংহ গ্রুপের শান্তসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তৃতীয় দফায় আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে আহতদের নিয়ে চিকিতসা করাতে গেলে সেখানে আবার হামলা চালায় আনিসুর রহমান শিশির ও তার কর্মীরা। এ সময় শিশির রড দিয়ে স¤্রাটের মাথায় এলোপাথারি আক্রমন করে ফলে স¤্রাটের মাথায় গুরুতর জখম হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে স¤্রাটের মাথায় আটটি সেলাই করা হয়েছে বলা জানা যায়। এতে স¤্রাটের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথা ফেটে গেলে স¤্রাট মাথাথায় ৮টি সেলাই দিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি) ভর্তি করানো হয়েছে। এ সম্পর্কে স¤্রাট বলেন, আনিসুর রহমান শিশির আমার মাথায় এলো পাথারি আঘাত করছে এ সময় আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলেও শিশির ও তার কর্মীরা আবার ও বেদম প্রহার করে।
এ ব্যাপারে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬

আপলোড টাইম : ০৫:২১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

indexআসলাম হোসেন জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে ১ম দফায় এবং বিকাল ৩ টায় প্রধান ফটকের সামনে ২য় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সালের ডায়েরি, ওয়াল ক্যালেন্ডার ও ডেস্ক ক্যালেন্ডারের মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ’-সংক্রান্ত দরপত্র জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল গতকাল রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত।এর পরিপ্রেক্ষিতে সকালে ময়মনসিংহ গ্রুপের নেতা হিসেবে পরিচিত হারুনুর-অর-রশিদ, তানভির রহমান খান, আনিসুর রহমান শিশির, জহির রায়হান আগুনের নেতৃত্বে একটি দরপত্র জমা দেওয়া হয়। দরপত্র জমা দিয়ে তাদের গ্রুপের কর্মীদের নতুন ভবনের সামনে রেখে যাওয়া হয়। পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি এফ.এম. শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম.সিরাজুল ইসলামের অনুসারী জুয়েল রানা ‘সরকার ট্রেডার্স’ নামে একটি দরপত্র জমা দিতে গেলে ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী নাদিমের নেতৃত্বে শরীফ-সিরাজ অনুসারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। শরীফ-সিরাজের অনুসারী হিসেবে মিজানুর রহমান, সাইফুল্লাহ-ইবনে-সুমন, ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় সংঘর্ষের ছবি তুলতে গেলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের আব্দুল ওহাবকে মারধর করে নাদিম। একপর্যায়ে আব্দুল ওহাব মাটিতে পড়ে গেলে নাদিম ও তার সাথে থাকা ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীরা তার বুকে ও পিঠে অনবরত লাথি মারতে থাকে। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ সময় নাদিম ও তার সাথে থাকা কর্মীরা তার মোবাইল নিয়ে নেয়। ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী নাদিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী পরবর্তীতে বিকাল ৩ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ২য় দফায় সংঘর্ষের সময় সিরাজ গ্রুপের কর্মী জুয়েল, আরিফুল ইসলাম, তৌকির, ফয়সাল এবং ময়মনসিংহ গ্রুপের শান্তসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। তৃতীয় দফায় আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে আহতদের নিয়ে চিকিতসা করাতে গেলে সেখানে আবার হামলা চালায় আনিসুর রহমান শিশির ও তার কর্মীরা। এ সময় শিশির রড দিয়ে স¤্রাটের মাথায় এলোপাথারি আক্রমন করে ফলে স¤্রাটের মাথায় গুরুতর জখম হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে স¤্রাটের মাথায় আটটি সেলাই করা হয়েছে বলা জানা যায়। এতে স¤্রাটের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথা ফেটে গেলে স¤্রাট মাথাথায় ৮টি সেলাই দিয়ে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি) ভর্তি করানো হয়েছে। এ সম্পর্কে স¤্রাট বলেন, আনিসুর রহমান শিশির আমার মাথায় এলো পাথারি আঘাত করছে এ সময় আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলেও শিশির ও তার কর্মীরা আবার ও বেদম প্রহার করে।
এ ব্যাপারে জবি প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, মারামারির বিষয়টি আমি শুনেছি। আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিব।