চুয়াডাঙ্গা খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ
- আপলোড টাইম : ০৫:২০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
- / ৪৬৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন শ্রেণী শাখা খোলার জন্য শাখা শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ জনের কাছ থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকার অর্থবানিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন খোকন গত এক বছর পূর্বে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে এই বাণিজ্য করে বলেও অভিযোগ উঠে।
এবিষয়ে গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বন্দ্ব নিরসনে সুধী সমাজের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিতুদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আওলাদ হোসেন, তিতুদহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশাদুল হক রোকন, জাকির মেম্বার, সাবেক মেম্বার মহিউদ্দীন, সাবেক মেম্বার ছানোয়ার হোসেন, সাবেক মেম্বার লিটু, ডা. আলীম, জামির হোসেন, ডা. হাফিজুর রহমান, আনিচুর রহমান, আব্দুল হালিম, ইদ্রিস আলী প্রমূখ।
জানা যায়, তিতুদহ ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের খায়রুল ইসলাম, বাজদিয়া গ্রামের রেজাউল করিম ও ঝিনাইদহের ১নং সাধুহাটি ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের সোহেল রানার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা নগত গ্রহন করেন এবং তাদেরকে পরীক্ষামূলক শ্রেণী পাঠদানের নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ উঠে। হঠাৎ বিদ্যালয় কমিটিতে নতুন সভাপতি আশায় সবকিছু ভেস্তে যায় বলে জানা যায়।
এদিকে, টাকা দিয়ে নিয়োগ নেয়ার আশার তিন জন বেতন ছাড়াই বিদ্যালয়ে পাঠদান করে আসছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তুু বেশকয়েক দিন আগে একজন শিক্ষক নিয়োগ পেলে বেরিয়ে আসে সব ঘটনা।
প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতির কাছে খারুলের দেওয়া ২ লক্ষ চল্লিশ হাজার, রেজাউল করিমের দেওয়া ৩ লক্ষ ১১হাজার ও সোহেল রানার দেওয়া ৩ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ফেরত চাইলে দ্বন্দ্ব নিরসনে ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান আকতার হোসেন সুধী মহলকে নিয়ে আলোচনা করেছেন। এবিষয়ে একটি সুন্দর সমাধানের চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান।