ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

কাজে স্থবিরতা দলিল ডেলিভারি ও বালাম লেখা বন্ধ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে

কাজে স্থবিরতা দলিল ডেলিভারি ও বালাম লেখা বন্ধ : হরিণাকুন্ডু থেকে
গায়েব হওয়া চারটি দলিল ৬ মাসেও উদ্ধার হয়নি
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্টার অফিস থেকে গায়েব হওয়া চারটি দলিল ৬ মাসেও উদ্ধার হয়নি। দলিলগুলো কোথায় কি ভাবে আছে তারও হদিস মেলছে না। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেও সে আলোকে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে দলিল না পেয়ে দলিল গ্রহিতারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। এমনকি তারা সাব-রেজিষ্টারসহ সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। দলিল লেখকদের একটি সুত্রে জানা গেছে, অফিস থেকে দলিল গায়েব হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অফিসের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। দলিল ডেরিভারি ও বালাম বই লেখাও বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে হরিণাকুন্ডু জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জমির মালিকরা দলিল ও নকল না পেয়ে দিনের পর দিন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। জেলা রেজিষ্ট্রার  অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে চারটি দলিল রেজিষ্ট্রি হয়, যার দলিল নং ছিল ১০৪, ১০৫, ১০৬ ও ১০৭। গত ২৮ মার্চ সাবেক ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্টার বীর জ্যোতি চাকমা হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্ট্রার অফিস পরিদর্শনকালে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ নিয়ে তিনি কারণ দর্শানের নোটিশ দেন। জবাবে হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আমিরুল ইসলাম লিখিত জবাবে জানান, সাব রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান চারটি দলিল নিজ জিম্মায় রেখে ঢাকায় দুই মাসের ট্রেনিংয়ে গেছেন। ফলে দলিলগুলো দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। পরে দুই মাসের ট্রেনিং শেষ করে সাব রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান চারটি দলিল তার জিম্মায় নেই বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এখনো পর্যন্ত দলিল চারটি খুজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই দলিল গায়েব হওয়া নিয়ে জেলা ও হরিণাকুন্ডু সাব-রেজিষ্টার অফিসের কর্মচারীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছে। ফলে কোন সুরাহা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডরু সাব রেজিষ্টার হাসানুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে জানান, দলিল চারটি এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমি ঢাকায় দুই মাসের ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তার মধ্যে দলিল চারটি হারানোর খবর জানতে পারি। জেলা রেজিষ্টার আব্দুল মালেক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই সমাধান হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কাজে স্থবিরতা দলিল ডেলিভারি ও বালাম লেখা বন্ধ

আপলোড টাইম : ০৫:০২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

কাজে স্থবিরতা দলিল ডেলিভারি ও বালাম লেখা বন্ধ : হরিণাকুন্ডু থেকে
গায়েব হওয়া চারটি দলিল ৬ মাসেও উদ্ধার হয়নি
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্টার অফিস থেকে গায়েব হওয়া চারটি দলিল ৬ মাসেও উদ্ধার হয়নি। দলিলগুলো কোথায় কি ভাবে আছে তারও হদিস মেলছে না। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেও সে আলোকে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে দলিল না পেয়ে দলিল গ্রহিতারা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। এমনকি তারা সাব-রেজিষ্টারসহ সংশ্লিষ্টদের নামে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। দলিল লেখকদের একটি সুত্রে জানা গেছে, অফিস থেকে দলিল গায়েব হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে অফিসের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। দলিল ডেরিভারি ও বালাম বই লেখাও বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে হরিণাকুন্ডু জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। জমির মালিকরা দলিল ও নকল না পেয়ে দিনের পর দিন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। জেলা রেজিষ্ট্রার  অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে চারটি দলিল রেজিষ্ট্রি হয়, যার দলিল নং ছিল ১০৪, ১০৫, ১০৬ ও ১০৭। গত ২৮ মার্চ সাবেক ঝিনাইদহ জেলা রেজিষ্টার বীর জ্যোতি চাকমা হরিণাকুন্ডু সাবরেজিষ্ট্রার অফিস পরিদর্শনকালে বিষয়টি ধরা পড়ে। এ নিয়ে তিনি কারণ দর্শানের নোটিশ দেন। জবাবে হরিণাকুন্ডু সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী আমিরুল ইসলাম লিখিত জবাবে জানান, সাব রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান চারটি দলিল নিজ জিম্মায় রেখে ঢাকায় দুই মাসের ট্রেনিংয়ে গেছেন। ফলে দলিলগুলো দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। পরে দুই মাসের ট্রেনিং শেষ করে সাব রেজিষ্ট্রার হাসানুজ্জামান চারটি দলিল তার জিম্মায় নেই বলে জানিয়ে দেন। এ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। এখনো পর্যন্ত দলিল চারটি খুজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, এই দলিল গায়েব হওয়া নিয়ে জেলা ও হরিণাকুন্ডু সাব-রেজিষ্টার অফিসের কর্মচারীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছে। ফলে কোন সুরাহা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডরু সাব রেজিষ্টার হাসানুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে জানান, দলিল চারটি এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমি ঢাকায় দুই মাসের ট্রেনিংয়ে ছিলাম। তার মধ্যে দলিল চারটি হারানোর খবর জানতে পারি। জেলা রেজিষ্টার আব্দুল মালেক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি অচিরেই সমাধান হবে।