চুয়াডাঙ্গা চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সোহাগী আত্মহত্যা
- আপলোড টাইম : ০৪:৫৪:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
- / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা চাঁদপুরে যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হতো সোহাগী বলে অভিযোগ
অবশেষে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা তিতুদহ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক নববিবাহিতা বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে স্বামীর বাড়িতে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোহাগী বলে পরিবারের সদস্যরা জানায়। এদিকে, সকাল সাড় ছয়টার দিকে ঘটনা ঘটলেও সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে হাসপাতালে সোহাগীকে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এসময় সোহাগীর লাশ ফেলে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন সটকে পড়ে। পড়ে খবর পেয়ে সোহাগীর পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছ থেকে লাশ বুঝে নেয়। লাশ ফেলে সটকে পড়ার ঘটনা টক অব দ্য হাসপাতালে পরিণত হয়।
হাসপাতালে আসা অনেক রোগীর স্বজনেরা সাংবাদিকদের জানায়, মানুষ এতো খারাপ হয় কিভাবে, স্বামীর পরিবারের লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যায় কিভাবে? লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া মানে আত্মহত্যাকারি মেয়েটার ওপর হয়তো তারা নির্যাতন করতো।
এদিকে, গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তশেষে সোহাগীর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা যায়। এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এবিষয়ে সদর থানার এসআই ইবনে খালিদ স্টালিন জানান, নিহতের শরিরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও আমরা লাশ ময়নাতদন্ত করিয়ে নিহত সোহাগীর পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছি। এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের রমজানের ছেলে বিলপাড়ার রিংকুর স্ত্রী ও জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কুলতলা গ্রামের নজরুলের মেয়ে সোহাগী খাতুন (২০) এর সাথে গত আট মাস আগে বিয়ে হয়।
এবিষয়ে সোহাগীর বাবা নজরুল কাদঁতে কাদঁতে বলেন, গেল রমজান মাসের দশ/বারো দিন আগে প্রায় দুই লক্ষ টাকা যৌতুক চাই আমার জামাই রিংকু। আমি টাকা দিতে পারিনি, কারণ আমার ওতো টাকা নেই, ওরা যৌতুকের টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে। অবশেষে আমার মেয়েটা নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে বসলো। এই বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সোহাগীর বাবা নজরুল।