ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ইসি’র রোডম্যাপ ঘোষণা আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করবে আজ। সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে ইসি। রোডম্যাপে নারীনেত্রীদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা রোববার সাড়ে এগারটায় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করবেন। এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে গত ৯ই জুলাই। আজ (রোববার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটি বই আকারে প্রকাশ করবেন। রোডম্যাপে সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো নারীনেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। সংলাপের বিষয়ে সচিব বলেন, এবার সংলাপে প্রথমবারের মতো নারীনেত্রীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুশীল সমাজের সঙ্গে ইসির বৈঠকটি ৩১ তারিখ বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে। এছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে থেকে সংলাপ শুরু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ করা হবে। সচিব আরও বলেন, রোডম্যাপে ইভিএম রাখা হয়নি। তবে সংলাপে কী কী ধরনের এজেন্ডা থাকবে তা আগামী সাতদিনে চূড়ান্ত করা হবে। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চারটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সীমানা পুনর্র্নিধারণ ও আইন সংস্কারে দুজন পরামর্শক নিয়োগ দেয়ার কথা জানান তিনি। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ৩১শে জুলাই সুশীলসমাজের সঙ্গে সংলাপের পর গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ হবে ৭ই আগস্ট। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ হবে ১২ই আগস্ট। নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হবে ২০শে আগস্ট। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে ১৬ই আগস্ট থেকে ২রা অক্টোবর পর্যন্ত। ১৮ই নভে¤॥^র সংলাপে পাওয়া  সুপারিশমালার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত হবে ১৮ই ডিসে¤॥^র।
এর আগে গত ২৩শে মে রোডম্যাপের খসড়া ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। খসড়া রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে গতকাল বিকাল ৩টায় পুনরায় কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই চূড়ান্ত সভার আগে গত তিন মাস ধরে রোডম্যাপ খসড়া নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন ইসির সংশ্লিষ্টরা।
রোডম্যাপে সাত বিষয়ে প্রাধান্য
সাতটি বিষয়কে প্রধান্য দিয়ে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো ১. আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার। মূলত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ ও সীমানা পুনর্নিধারন সংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এই আইন দু’টি বাংলায় রূপান্তর করবে কমিশন। এছাড়াও আরো ১১টি আইন ও বিধিতে পরিবর্তন করতে চায় ইসি। আইন ও বিধি সময়োপযোগী করতে বেশ কিছু ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। কমিশন জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নিধারণে ভোটার সংখ্যার পাশাপাশি এলাকার আয়তন বিবেচনায় আনতে আগ্রহী। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য, ‘সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শুধু জনসংখ্যার উপর ভিত্তি না করে ভোটারসংখ্যা এবং সংসদীয় এলাকার আয়তন বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনা প্রয়োজন। এই কার্যক্রম আগামী জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
২. নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ গ্রহণ। এই কার্যক্রমও ৩১শে জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
৩. সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নিধারণ। চলতি বছরের আগস্টে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিলে শেষ হবে।
৪. নির্ভুল ভোটার ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং সরবরাহকরণ। এই কার্যক্রমের আওতায় মৃত ভোটারদের নাম কর্তন এবং ভোটার এলাকার স্থানান্তর করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আগামী সেপ্টে¤॥^র থেকে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে।
৫.বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোটকেন্দ্র স্থাপন। ২০১৮ সালের জুন থেকে ভোটগ্রহণের আগে বা তফশিল ঘোষণার পর।
৬. নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা। এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে আগামী অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত।
৭. সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ইসি’র রোডম্যাপ ঘোষণা আজ

আপলোড টাইম : ০৪:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) প্রকাশ করবে আজ। সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে ইসি। রোডম্যাপে নারীনেত্রীদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা রোববার সাড়ে এগারটায় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করবেন। এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মানবজমিনকে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে গত ৯ই জুলাই। আজ (রোববার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটি বই আকারে প্রকাশ করবেন। রোডম্যাপে সাতটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো নারীনেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। সংলাপের বিষয়ে সচিব বলেন, এবার সংলাপে প্রথমবারের মতো নারীনেত্রীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুশীল সমাজের সঙ্গে ইসির বৈঠকটি ৩১ তারিখ বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে। এছাড়া গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে থেকে সংলাপ শুরু করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ করা হবে। সচিব আরও বলেন, রোডম্যাপে ইভিএম রাখা হয়নি। তবে সংলাপে কী কী ধরনের এজেন্ডা থাকবে তা আগামী সাতদিনে চূড়ান্ত করা হবে। রোডম্যাপ বাস্তবায়নে চারজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চারটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। সীমানা পুনর্র্নিধারণ ও আইন সংস্কারে দুজন পরামর্শক নিয়োগ দেয়ার কথা জানান তিনি। সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেবে ২০১৮ সালের ২৯শে অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ৩১শে জুলাই সুশীলসমাজের সঙ্গে সংলাপের পর গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ হবে ৭ই আগস্ট। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ হবে ১২ই আগস্ট। নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হবে ২০শে আগস্ট। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে ১৬ই আগস্ট থেকে ২রা অক্টোবর পর্যন্ত। ১৮ই নভে¤॥^র সংলাপে পাওয়া  সুপারিশমালার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত হবে ১৮ই ডিসে¤॥^র।
এর আগে গত ২৩শে মে রোডম্যাপের খসড়া ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। খসড়া রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে গতকাল বিকাল ৩টায় পুনরায় কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই চূড়ান্ত সভার আগে গত তিন মাস ধরে রোডম্যাপ খসড়া নিয়ে একাধিক বৈঠক করেন ইসির সংশ্লিষ্টরা।
রোডম্যাপে সাত বিষয়ে প্রাধান্য
সাতটি বিষয়কে প্রধান্য দিয়ে রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো ১. আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার। মূলত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ ও সীমানা পুনর্নিধারন সংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এই আইন দু’টি বাংলায় রূপান্তর করবে কমিশন। এছাড়াও আরো ১১টি আইন ও বিধিতে পরিবর্তন করতে চায় ইসি। আইন ও বিধি সময়োপযোগী করতে বেশ কিছু ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। কমিশন জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নিধারণে ভোটার সংখ্যার পাশাপাশি এলাকার আয়তন বিবেচনায় আনতে আগ্রহী। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য, ‘সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় শুধু জনসংখ্যার উপর ভিত্তি না করে ভোটারসংখ্যা এবং সংসদীয় এলাকার আয়তন বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনা প্রয়োজন। এই কার্যক্রম আগামী জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
২. নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ গ্রহণ। এই কার্যক্রমও ৩১শে জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
৩. সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নিধারণ। চলতি বছরের আগস্টে এই কার্যক্রম শুরু হয়ে আগামী ২০১৮ সালের এপ্রিলে শেষ হবে।
৪. নির্ভুল ভোটার ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং সরবরাহকরণ। এই কার্যক্রমের আওতায় মৃত ভোটারদের নাম কর্তন এবং ভোটার এলাকার স্থানান্তর করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে আগামী সেপ্টে¤॥^র থেকে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে।
৫.বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক ভোটকেন্দ্র স্থাপন। ২০১৮ সালের জুন থেকে ভোটগ্রহণের আগে বা তফশিল ঘোষণার পর।
৬. নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা। এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে আগামী অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত।
৭. সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ।