ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গায় পার্ক নির্মাণে জোরপূর্বক জায়গা দখল : ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আব্দুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় বিনোদন পার্ক নির্মানে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ এনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আব্দুর রহমান। গতকাল আলমডাঙ্গা হইরোডস্থ আব্দুর রহমান খান তার নিজ বাসভবনে আলমডাঙ্গায় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহমান খান বলেন আমার মেজো ভাই শফিকুর রহমান খান ও তার ছেলেরা দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমার অপূরণীয় ক্ষতি করে আসছে। আমার ঘরে ছেলে সন্তান নেই। ওদের অত্যাচারে আমার অন্যান্য ভাইয়েরাসহ আমি আমাদের মূল্যবান সম্পদ স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে এখান থেকে চলে গেছি। আমি বাড়ি ঘর ছেড়ে আজ প্রায় ৮/১০ বছর ঢাকাতে বসবাস করছি। বর্তমানে আমার বাড়ির পিছনে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম সংলগ্ন জানাযা ঘরের পিছনে ৭.৭৫ শতক জমিতে জেলখানার মতো উচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে আমার আব্বার কবরের কাছে রাস্তা নির্মাণ করে বিনোদন পার্ক তৈরি করছে। এছাড়াও আমার পিতার কবরের কাছে একটি চৌবাচ্চা নির্মাণ করেছে। ঐ জমির পাশে আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় করবস্থান, অন্যাপাশে আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের কবরস্থান, একপাশে বালিকা বিদ্যালয় অন্যপাশে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, বাসাবাড়ি, মসজিদ আছে। কবরস্থানে আমাদের প্রত্যেকের আপনজন, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, গুরুজন, সূধীজন ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ শায়িত আছে। এখানে বিনোদন পার্ক তৈরি করা দায়িত্ববান মানুষের মোটেও শোভনীয় নয়। এছাড়াও তিনি জানান, ঐ জমিতে আমার ৩টি বাঁশের ঝাড় ছিল। আনুমানিক ৪/৫ শ বাঁশ চুরি করে বিক্রয় করে দিয়েছে। অনেকগুলো গাছ কেটে বিক্রয় করে দিয়েছে। আমার ১৩৬ ফুট লম্বা ঘরের ছামসেট কেটে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ ও ঘর নির্মাণ করেছে। আমার জমির মাঝখান দিয়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে কিছু বলতে গেছে আমার ভাই শফিকুর রহমান খান ও তার ছেলেরা গালি-গালাজ ও মারধর করতে আসে। গত রমজান মাসে আমার একটি ঘরের দেওয়াল কাওকে না বলে না মেপে ভেঙে ফেলেছে এবং কারেন্ট লাইন, জেনারেটর লাইনসহ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জিনিসের ক্ষতি সাধন করেছে। আমাদের গ্রামে শরিকানা ১বিঘা জমি জালিয়াতি করে অন্যনামে করে। ফলে সেই জমিতে আমার ১০০টি গাছসহ জমিটি বেদখল হয়ে যায়। গত জানুয়ারি মাসে স্থানীয় পৌরসভায় কয়েকবার দরখাস্ত করার পর পৌর মেয়র লোক পাঠিয়ে বিনোদন পার্কের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিতে বলেন। কিন্তু তারা কোন তোয়াক্কা না করে পৌরসভার অনুমোদন বাদেই বিনোদন পার্কের কাজ করে যাচ্ছে। আব্দুর রহমান খান জানান, আমি আলমডাঙ্গা থানায় ৩টি দরখাস্ত করি। থানার অফিসার এসে বিনোদন পার্কের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পর আবার চুরি করে কাজ করতে থাকে। অবশেষে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলা করি। কোর্ট থেকে ১৪৫(১) ধারা বলবৎ করে। যার কেস নং- পি-৪৫৯/২০১৭, ধারা: ফৌঃ দাঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ (১)। আব্দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে অন্যায়ভাবে যাতে এই বিনোদন পার্ক তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় পার্ক নির্মাণে জোরপূর্বক জায়গা দখল : ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আব্দুর রহমানের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ০৪:২৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০১৭

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় বিনোদন পার্ক নির্মানে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ এনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে আব্দুর রহমান। গতকাল আলমডাঙ্গা হইরোডস্থ আব্দুর রহমান খান তার নিজ বাসভবনে আলমডাঙ্গায় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহমান খান বলেন আমার মেজো ভাই শফিকুর রহমান খান ও তার ছেলেরা দেশ স্বাধীনের পর থেকে আমার অপূরণীয় ক্ষতি করে আসছে। আমার ঘরে ছেলে সন্তান নেই। ওদের অত্যাচারে আমার অন্যান্য ভাইয়েরাসহ আমি আমাদের মূল্যবান সম্পদ স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করে এখান থেকে চলে গেছি। আমি বাড়ি ঘর ছেড়ে আজ প্রায় ৮/১০ বছর ঢাকাতে বসবাস করছি। বর্তমানে আমার বাড়ির পিছনে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম সংলগ্ন জানাযা ঘরের পিছনে ৭.৭৫ শতক জমিতে জেলখানার মতো উচ্চ প্রাচীর নির্মাণ করে আমার আব্বার কবরের কাছে রাস্তা নির্মাণ করে বিনোদন পার্ক তৈরি করছে। এছাড়াও আমার পিতার কবরের কাছে একটি চৌবাচ্চা নির্মাণ করেছে। ঐ জমির পাশে আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় করবস্থান, অন্যাপাশে আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের কবরস্থান, একপাশে বালিকা বিদ্যালয় অন্যপাশে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরিবার পরিকল্পনা অফিস, বাসাবাড়ি, মসজিদ আছে। কবরস্থানে আমাদের প্রত্যেকের আপনজন, পিতা-মাতা, ভাই-বোন, গুরুজন, সূধীজন ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ শায়িত আছে। এখানে বিনোদন পার্ক তৈরি করা দায়িত্ববান মানুষের মোটেও শোভনীয় নয়। এছাড়াও তিনি জানান, ঐ জমিতে আমার ৩টি বাঁশের ঝাড় ছিল। আনুমানিক ৪/৫ শ বাঁশ চুরি করে বিক্রয় করে দিয়েছে। অনেকগুলো গাছ কেটে বিক্রয় করে দিয়েছে। আমার ১৩৬ ফুট লম্বা ঘরের ছামসেট কেটে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য রাস্তা নির্মাণ ও ঘর নির্মাণ করেছে। আমার জমির মাঝখান দিয়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে কিছু বলতে গেছে আমার ভাই শফিকুর রহমান খান ও তার ছেলেরা গালি-গালাজ ও মারধর করতে আসে। গত রমজান মাসে আমার একটি ঘরের দেওয়াল কাওকে না বলে না মেপে ভেঙে ফেলেছে এবং কারেন্ট লাইন, জেনারেটর লাইনসহ ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জিনিসের ক্ষতি সাধন করেছে। আমাদের গ্রামে শরিকানা ১বিঘা জমি জালিয়াতি করে অন্যনামে করে। ফলে সেই জমিতে আমার ১০০টি গাছসহ জমিটি বেদখল হয়ে যায়। গত জানুয়ারি মাসে স্থানীয় পৌরসভায় কয়েকবার দরখাস্ত করার পর পৌর মেয়র লোক পাঠিয়ে বিনোদন পার্কের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিতে বলেন। কিন্তু তারা কোন তোয়াক্কা না করে পৌরসভার অনুমোদন বাদেই বিনোদন পার্কের কাজ করে যাচ্ছে। আব্দুর রহমান খান জানান, আমি আলমডাঙ্গা থানায় ৩টি দরখাস্ত করি। থানার অফিসার এসে বিনোদন পার্কের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন পর আবার চুরি করে কাজ করতে থাকে। অবশেষে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলা করি। কোর্ট থেকে ১৪৫(১) ধারা বলবৎ করে। যার কেস নং- পি-৪৫৯/২০১৭, ধারা: ফৌঃ দাঃ কাঃ বিঃ ১৪৫ (১)। আব্দুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে অন্যায়ভাবে যাতে এই বিনোদন পার্ক তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।