চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক : তারেকের আত্মসমর্পণ : জেলহাজতে প্রেরণ
- আপলোড টাইম : ০৪:৪৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
- / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে চিফ জুডিসিয়াল আদালতে হাজির হয়ে সে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার ওহাব আলী মিস্ত্রির ছেলে সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেকের নামে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসের ৩১ তারিখে পৌর শহরের পলাশপাড়ার গুন্ডু মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগমের দায়েরকৃত মারামারি মামলা, ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর আলোচিত চুয়াডাঙ্গা সদর থানা চত্ত্বরে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, থানায় হামলা, আসামী ছিনতাই ও বোমা বিস্ফোরন মামলাসহ অন্তত ৫টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় গতকাল সে আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ নভেম্বর রাতে মদ্যপ অবস্থায় কলেজ চত্বরে বসবাসরত এক পরিচারিকার ঘরে ঢুকে অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় ছাত্রলীগ নেতা তারেক। এ সময় ওই পরিচারিকার ছেলে বিষয়টি বুঝতে পেরে তারেককে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তারেককে গণপিটুনি দেয় এবং তার চুল কেটে দিয়ে তার গোপনাঙ্গ ইট দিয়ে ছেঁচে দেয়। তবে ছাত্রলীগের আরও কিছু নেতা গিয়ে তারেককে উদ্ধার করে দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে নির্যাতিতা। হাতেনাতে ধরা পড়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেউ কেউ তারেকের নগ্ন ছবি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করায় সেই ছবি এবং ঘটনার বিবরণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে পৌঁছে যায়। বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবহিত হয়ে পরদিন শনিবার রাতে কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্তসহ ধর্ষক তানিম হাসান তারেককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তারেক দীর্ঘ সময় আত্মগোপনেই ছিল।