ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

দর্শনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময়সভায় বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ : মাদক পরিহার করুন, জীনব সুন্দর হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
  • / ৫৮০ বার পড়া হয়েছে

এস এম শাফায়েত/ওয়াসিম রয়েল: দর্শনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ বলেছেন দেশ ও নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে মাদকনির্মূল করতে হবে। এ কাজে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সাথে সাথে জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সূধী সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্র, অভিভাবক সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মাদকনির্মূল করা সম্ভব। মাদক এমন জিনিস যা একটি জীবন, একটি পরিবারকে পঙ্গু করে দিতে পারে। শুধু জীবন নয় যৌন ক্ষমতাও কেড়ে নিতে পারে। তাই মাদক পরিহার করুন, জীনব সুন্দর হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দর্শনা অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রশাসন ও বিজিবি-৬ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সামাদ বলেন, মাদক ও চোরাকারবারীদের ধরতে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের চালানসহ তারা ধরাও পড়ছে, কিন্তু নির্মূল হচ্ছে না। কারণ, আমরা গডফাদারদের ধরতে পারছি না। তারা বড় বড় জায়গায় বসে, ঢাকায় বসে এসব নিয়ন্ত্রণ করছে। এই গডফাদারদের একটা তালিকা করেছি এবং তা সকল এজেন্সিকে দিয়েছি। চেষ্টা চলছে এসব ক্রিমিনালদের ধরার জন্য।
প্রধান অতিথি বলেন, মাদক ও চোরাচালানী কাজ কারো পেশা হতে পারে না। বাংলাদেশে এখন আর কাজের অভাব নাই। মাদক ব্যবসায়ীদের সমাজে চিহ্নিত করুন এবং সামাজিক ভাবেই তাকে সংশোধন করুন। প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। মাদকের ব্যবহার কমিয়ে দিন, সরবরাহও কমে যাবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কোন মানুষ যেনো চোরাচালান আর পাচারের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নিজে ভালো ভাবে বাঁচবো অন্যকে ভালো ভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবো এই হোক লক্ষ।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী তৌফিকুল ইসলাম পিএসসি।
তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি-বিএসএফ’র মিটিং’এ আমরা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে মাদক চাষ ও উৎপাদনের তথ্য দিয়েছিলাম। তারা সব ধ্বংস করেছে বলে আমাদের কাছে নিশ্চিত করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একমাসে ৬০ জনকে ধরা হয়েছে মাদক পাচারের অপরাধে। এখানে ৬০জন না ৬০০জন এটা যারা প্রশ্ন তুলবে আমি তাদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকাবো, এই প্রশ্নটা সে কোনো তুলেছে। আপনাদের যে প্রশ্নটি তোলা উচিত, একটি নীরিহ লোককে ধরা হয়েছে কী না। যদি কোনো বিজিবি সদস্য এমনটি করে থাকে তবে আমি রিজিওনাল কমান্ডার কথা দিচ্ছি, তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো।
রিজিয়নাল কমান্ডার বলেন, মাদক পাচারকারী গডফাদারদের তথ্য দিন। আমি কথা দিচ্ছি সে যেয় হোক অপরাধী হলে আমরা তাকে অবশ্যই ধরবো। এই হলো আমাদের লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে আমরা কেউ এই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নই। আমরা যদি ভাবি আমি তো মাদক গ্রহণ করছি না, অন্যরা যা করে করুক। আমাদের ছেলেরা স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে যাবে। যদি তাদের বন্ধুরা মাদকাসক্ত হয় আর আমরা তার প্রতিবাদ না করি তবে আমাদের ছেলেরা এক সময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে। সুতরাং আমাদের পরিবারকে মাদক হতে মুক্ত রাখতে অবশ্যই সমাজের অন্য মাদকাসক্তদের প্রতিবাদ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি বলেন, আপনাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে বিজিবি কাজ করবে। স্থানীয় বিওপিতে তথ্য দিতে সংকোচ বোধ করলে সরাসরি কোম্পানি সদরে বিজিবি’র পরিচালকের কাছে তথ্য দেবেন, পরিচয় গোপন রাখা হবে। সারাদেশে যা মাদকের বিস্তার তার খুব কমই এদেশে উৎপাদন হয়। যার অধিকাংশই বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করছে ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে আলোচ্য বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া-৪৭ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্নেল রাশেদুল হক খাঁন পিপিএমএস। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাঈফ’র সঞ্চালনায় অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু সঈদ আল মসউদ পিএসসি,  চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল আলম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মাহমুদুল হক, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান এএফডব্লিউসি, পিএসসি, সেক্টর কমান্ডার খুলনা কর্ণেল এ এস এম আনিসুল হক পিএসসি। তাছাড়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
নির্ধারিত বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকাসক্ত নিরাময় এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রত্যয় মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক মো. খালিদুর রহমান।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রফেসর মোশারফ হোসেন, গণ উন্নয়ন গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ান, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন আহম্মেদ, পারকৃষ্ণ-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা উপজেলা ইমাম সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল আহম্মেদ, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, ওয়েভ ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি কামরুজ্জামান যুদ্ধু, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জুয়েল প্রমূখ ব্যাক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মতবিনিময় সভা শেষে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ান সদরে বৃক্ষরোপন করা হয়। গতকাল দুপুর সাড়ে ০৩টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০১৭’র উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এ উপলক্ষে ব্যাটালিয়ন সদর এলাকায় বনজ, ফলজ ও ভেষজ চারা রোপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত থেকে একটি করে বনজ, ফলজ ও ভেষজ চারা রোপন করেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী তৌফিকুল ইসলাম পিএসসি, কুষ্টিয়া বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু সঈদ আল মসউদ, ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো. রাশিদুল আলম, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সকল জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ ও অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময়সভায় বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ : মাদক পরিহার করুন, জীনব সুন্দর হবে

আপলোড টাইম : ০৪:৪২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭

এস এম শাফায়েত/ওয়াসিম রয়েল: দর্শনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ বলেছেন দেশ ও নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে মাদকনির্মূল করতে হবে। এ কাজে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সাথে সাথে জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সূধী সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক-ছাত্র, অভিভাবক সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মাদকনির্মূল করা সম্ভব। মাদক এমন জিনিস যা একটি জীবন, একটি পরিবারকে পঙ্গু করে দিতে পারে। শুধু জীবন নয় যৌন ক্ষমতাও কেড়ে নিতে পারে। তাই মাদক পরিহার করুন, জীনব সুন্দর হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দর্শনা অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে জেলা প্রশাসন ও বিজিবি-৬ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুস সামাদ বলেন, মাদক ও চোরাকারবারীদের ধরতে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের চালানসহ তারা ধরাও পড়ছে, কিন্তু নির্মূল হচ্ছে না। কারণ, আমরা গডফাদারদের ধরতে পারছি না। তারা বড় বড় জায়গায় বসে, ঢাকায় বসে এসব নিয়ন্ত্রণ করছে। এই গডফাদারদের একটা তালিকা করেছি এবং তা সকল এজেন্সিকে দিয়েছি। চেষ্টা চলছে এসব ক্রিমিনালদের ধরার জন্য।
প্রধান অতিথি বলেন, মাদক ও চোরাচালানী কাজ কারো পেশা হতে পারে না। বাংলাদেশে এখন আর কাজের অভাব নাই। মাদক ব্যবসায়ীদের সমাজে চিহ্নিত করুন এবং সামাজিক ভাবেই তাকে সংশোধন করুন। প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। মাদকের ব্যবহার কমিয়ে দিন, সরবরাহও কমে যাবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কোন মানুষ যেনো চোরাচালান আর পাচারের শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। নিজে ভালো ভাবে বাঁচবো অন্যকে ভালো ভাবে বাঁচার সুযোগ করে দেবো এই হোক লক্ষ।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী তৌফিকুল ইসলাম পিএসসি।
তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি-বিএসএফ’র মিটিং’এ আমরা সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে মাদক চাষ ও উৎপাদনের তথ্য দিয়েছিলাম। তারা সব ধ্বংস করেছে বলে আমাদের কাছে নিশ্চিত করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একমাসে ৬০ জনকে ধরা হয়েছে মাদক পাচারের অপরাধে। এখানে ৬০জন না ৬০০জন এটা যারা প্রশ্ন তুলবে আমি তাদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকাবো, এই প্রশ্নটা সে কোনো তুলেছে। আপনাদের যে প্রশ্নটি তোলা উচিত, একটি নীরিহ লোককে ধরা হয়েছে কী না। যদি কোনো বিজিবি সদস্য এমনটি করে থাকে তবে আমি রিজিওনাল কমান্ডার কথা দিচ্ছি, তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবো।
রিজিয়নাল কমান্ডার বলেন, মাদক পাচারকারী গডফাদারদের তথ্য দিন। আমি কথা দিচ্ছি সে যেয় হোক অপরাধী হলে আমরা তাকে অবশ্যই ধরবো। এই হলো আমাদের লক্ষ্য। মনে রাখতে হবে আমরা কেউ এই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন নই। আমরা যদি ভাবি আমি তো মাদক গ্রহণ করছি না, অন্যরা যা করে করুক। আমাদের ছেলেরা স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে যাবে। যদি তাদের বন্ধুরা মাদকাসক্ত হয় আর আমরা তার প্রতিবাদ না করি তবে আমাদের ছেলেরা এক সময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে। সুতরাং আমাদের পরিবারকে মাদক হতে মুক্ত রাখতে অবশ্যই সমাজের অন্য মাদকাসক্তদের প্রতিবাদ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি বলেন, আপনাদের দেওয়া তথ্য নিয়ে বিজিবি কাজ করবে। স্থানীয় বিওপিতে তথ্য দিতে সংকোচ বোধ করলে সরাসরি কোম্পানি সদরে বিজিবি’র পরিচালকের কাছে তথ্য দেবেন, পরিচয় গোপন রাখা হবে। সারাদেশে যা মাদকের বিস্তার তার খুব কমই এদেশে উৎপাদন হয়। যার অধিকাংশই বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভিতরে প্রবেশ করছে ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে আলোচ্য বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া-৪৭ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্নেল রাশেদুল হক খাঁন পিপিএমএস। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সী আবু সাঈফ’র সঞ্চালনায় অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু সঈদ আল মসউদ পিএসসি,  চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল আলম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মাহমুদুল হক, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান এএফডব্লিউসি, পিএসসি, সেক্টর কমান্ডার খুলনা কর্ণেল এ এস এম আনিসুল হক পিএসসি। তাছাড়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
নির্ধারিত বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও মাদকাসক্ত নিরাময় এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রত্যয় মাদকাসক্তি নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক মো. খালিদুর রহমান।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় প্রফেসর মোশারফ হোসেন, গণ উন্নয়ন গ্রন্থাগারের পরিচালক আবু সুফিয়ান, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন আহম্মেদ, পারকৃষ্ণ-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা উপজেলা ইমাম সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল আহম্মেদ, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, ওয়েভ ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি কামরুজ্জামান যুদ্ধু, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ জুয়েল প্রমূখ ব্যাক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে মতবিনিময় সভা শেষে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ান সদরে বৃক্ষরোপন করা হয়। গতকাল দুপুর সাড়ে ০৩টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ব্যবস্থাপনায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী-২০১৭’র উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এ উপলক্ষে ব্যাটালিয়ন সদর এলাকায় বনজ, ফলজ ও ভেষজ চারা রোপন করা হয়। এ সময় উপস্থিত থেকে একটি করে বনজ, ফলজ ও ভেষজ চারা রোপন করেন যশোর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী তৌফিকুল ইসলাম পিএসসি, কুষ্টিয়া বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু সঈদ আল মসউদ, ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক মো. রাশিদুল আলম, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য বিজিবি ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের সকল জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ ও অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ।