হরিণাকুন্ডুতে ১৫ শিক্ষককে শো’কজ : মুচলেকা দিয়ে রক্ষা
- আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
- / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে সরকারী ও বেসরকারী স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের ফাঁকির প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ প্রাপ্তির কারণে শিক্ষকদের এই প্রবণতা। তাঁরা তোয়াক্কা করেন না আইনের। হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে গল্পে মাতেন। কেও আবার স্কুল সময়ে নিজের ব্যবসা ও মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে স্কুলগুলোতে ঘটছে ফলাফল বিপর্যয়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হচ্ছে প্রাইভেট ও কোচিং মুখি হতে।
ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা রোধে শুদ্ধি অভিযানের পর জেলার সরকারী প্রাইমারি ও বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে নজর দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন। তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাদের ডেকে কড়া হুঁশিয়ারী দিলে নড়ে চড়ে বসে জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ।
গতকাল মঙ্গলবার কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ১৫ জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিশির বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন তদারকি ও পরিদর্শনকালে এসব বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষককে অনুপস্থিত পেয়ে এদের শোকজ করেন এবং আগামী ৫দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হীরাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার আকস্মিক পরিদর্শনে জেলা শিক্ষা অফিসার মকছেদ আলী মাত্র ৩ জনকে উপস্থিত দেখতে পান। প্রধান শিক্ষকও এ সময় স্কুলে ছিলেন না। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে অনুপস্থিত শিক্ষকেরা জেলা শিক্ষা অফিসে হাজির হয়ে আর স্কুল ফাঁকি দিবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। জেলা শিক্ষা অফিসার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে হীরাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক সাবদার আলী জানান, বৃষ্টির কারণে আমরা দেরিতে পরীক্ষা নিয়ে থাকি। এ জন্য স্যারেরাও যথাসময়ে স্কুলে হাজির হন না। আমি স্কুলের জরুরী কাজে ঝিনাইদহে ছিলাম। আর এমন হবে না বলে শিক্ষকরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।