ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সাহিদুজ্জামান টরিকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠকে ৩টি চুক্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৩৮ বার পড়া হয়েছে

সাহিদুজ্জামান টরিকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠকে ৩টি চুক্তি
সিঙ্গাপুর থেকে বড় বিনিয়োগের আশা
19970674_1812865612359949_214534785_n

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ভাল থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যেখানে বিদেশিদের আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় দীর্ঘদিনের বন্ধ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের এসব অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি দূর হবে। সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের (এসবিএফ) দুইটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠিত হয়। বিডা, এফবিসিসিআই ও এসবিএফের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের নেতা ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চাই। বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ ভাল থাকায় এখানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে চীন এবং ভারত বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেন, বিদেশিদের বিনিয়োগে উন্নত মানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদেরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে প্রায়  ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। পক্ষান্তরে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছে প্রায় এক হাজার ৯৬৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় এক হাজার ৯শ ডলারের বেশি। বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিলাসবহুল পোশাক হিসেবে পরিচিত। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সোচ্চার।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে রয়েছে। গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তিনি বলেন, গত কয়েক দশক ধরে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের পথে রয়েছে। দুই দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ কাঠামো, ব্যবসা ও কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। একইসঙ্গে দ্বিগুণ ট্যাক্স পরিত্যাগের চুক্তি ও দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া স্মারকের ব্যাপারেও কাজ করছে সরকার। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতির আরও উন্নয়নে কাজ করবে এই সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ব্যবসায়িক পরিবেশ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুনত্বের সন্ধানে বাংলাদেশের জন্য রোল মডেল সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান টরিক মোবাইলফোনে জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগে দুইটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধির ৫ দিনের সফরে আগামী ১৩ জুলাই চট্টগ্রামে একই ধরণের চুক্তিস্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এসবিএফের চেয়ারম্যান এস এসটিও, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্ব^ার অব সিঙ্গাপুরের সভাপতি মির্জা গোলাম সবুর, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সহ-সভাপতি সাহিদুজ্জামান টরিক, সিঙ্গাপুর-ইন্ডিয়ান চে¤॥^ার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. আর দেভেন্দ্রান। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কর্ণফূলী গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, ব্যবসায়ী শমী কাইসার প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সাহিদুজ্জামান টরিকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠকে ৩টি চুক্তি

আপলোড টাইম : ০৪:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

সাহিদুজ্জামান টরিকের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বৈঠকে ৩টি চুক্তি
সিঙ্গাপুর থেকে বড় বিনিয়োগের আশা
19970674_1812865612359949_214534785_n

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ভাল থাকায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে একশ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। যেখানে বিদেশিদের আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় দীর্ঘদিনের বন্ধ রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের এসব অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি দূর হবে। সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সঙ্গে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের (এসবিএফ) দুইটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠিত হয়। বিডা, এফবিসিসিআই ও এসবিএফের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের নেতা ও বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চাই। বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ ভাল থাকায় এখানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। যেখানে ইতোমধ্যে চীন এবং ভারত বিনিয়োগ করছে। তিনি বলেন, বিদেশিদের বিনিয়োগে উন্নত মানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদেরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে প্রায়  ১৬৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। পক্ষান্তরে সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছে প্রায় এক হাজার ৯৬৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। সেই হিসেবে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় এক হাজার ৯শ ডলারের বেশি। বাংলাদেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বিলাসবহুল পোশাক হিসেবে পরিচিত। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সোচ্চার।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে রয়েছে। গত অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জন হয়েছে। আগামী অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। তিনি বলেন, গত কয়েক দশক ধরে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের পথে রয়েছে। দুই দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ কাঠামো, ব্যবসা ও কুটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। একইসঙ্গে দ্বিগুণ ট্যাক্স পরিত্যাগের চুক্তি ও দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়া স্মারকের ব্যাপারেও কাজ করছে সরকার। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতির আরও উন্নয়নে কাজ করবে এই সমঝোতা স্মারক চুক্তি। ব্যবসায়িক পরিবেশ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুনত্বের সন্ধানে বাংলাদেশের জন্য রোল মডেল সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুজ্জামান টরিক মোবাইলফোনে জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগে দুইটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিঙ্গাপুর ব্যবসায়ী প্রতিনিধির ৫ দিনের সফরে আগামী ১৩ জুলাই চট্টগ্রামে একই ধরণের চুক্তিস্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এসবিএফের চেয়ারম্যান এস এসটিও, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্ব^ার অব সিঙ্গাপুরের সভাপতি মির্জা গোলাম সবুর, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুরের সহ-সভাপতি সাহিদুজ্জামান টরিক, সিঙ্গাপুর-ইন্ডিয়ান চে¤॥^ার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. আর দেভেন্দ্রান। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআই’র পরিচালক হেলেনা জাহাঙ্গীর, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কর্ণফূলী গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, ব্যবসায়ী শমী কাইসার প্রমুখ।