ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গাসহ আশপাশ অঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব : সর্প দংশনে শিশুর মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৫৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামসহ আশপাশ অঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। সর্প দংশনে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠপাড়ার শরীফ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার (৫) রান্না ঘরে মায়ের পাশে বসে খেলছিল। এসময় একটি সাপ এসে তাকে কামড় দিলে সাথে তার মাকে বলে মা আমাকে সাপে কামড়ে দিয়েছে তখন শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী পাড়ার লোকজন ডেকে বা পায়ের দুই জায়গায় বেঁধে নাস্তিপুর ওঝাঁ বাড়িতে নিয়ে যায়। নাস্তিপুরের ওঝাঁকে বাড়িতে না পেয়ে দ্রুত কানাইডাঙ্গা গ্রামে পাখিভ্যান যোগে ওঝাঁ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে আব্দুল জব্বার মারা যায়। এরপর মৃত শিশু জব্বারকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠপাড়ায় বাড়িতে নিয়ে এলে চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে। যে ছেলেটি সকালের দিকে পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলা করছিলো তার হঠাৎ মৃত্যুতে গ্রামের সকল মানুষ দু-চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তাদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে শিশু আব্দুল জব্বারের মা-বাবা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলো ও প্রলাপ বকছিলো। তাদের কান্না দেখে উপস্থিত সকলেই কাদঁতে থাকে। ফলে আত্মীয় সজন ও পাড়া প্রতিবেশী শোকে আছন্ন হয়ে পড়ে। শিশু জব্বারকে দংশন করা সাপটি গ্রামের প্রধান সড়কের পাশ থেকে মোমিনুল ইসলাম নামে এক যুবক সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে লঅঠি দিয়ে সাপটি মেরে ফেলে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গাসহ আশপাশ অঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব : সর্প দংশনে শিশুর মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৪:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭

দর্শনা অফিস: দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামসহ আশপাশ অঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব। সর্প দংশনে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠপাড়ার শরীফ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার (৫) রান্না ঘরে মায়ের পাশে বসে খেলছিল। এসময় একটি সাপ এসে তাকে কামড় দিলে সাথে তার মাকে বলে মা আমাকে সাপে কামড়ে দিয়েছে তখন শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী পাড়ার লোকজন ডেকে বা পায়ের দুই জায়গায় বেঁধে নাস্তিপুর ওঝাঁ বাড়িতে নিয়ে যায়। নাস্তিপুরের ওঝাঁকে বাড়িতে না পেয়ে দ্রুত কানাইডাঙ্গা গ্রামে পাখিভ্যান যোগে ওঝাঁ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে আব্দুল জব্বার মারা যায়। এরপর মৃত শিশু জব্বারকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠপাড়ায় বাড়িতে নিয়ে এলে চারিদিকে কান্নার রোল পড়ে। যে ছেলেটি সকালের দিকে পাড়ার ছেলেদের সাথে খেলা করছিলো তার হঠাৎ মৃত্যুতে গ্রামের সকল মানুষ দু-চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তাদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে। তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলেকে হারিয়ে শিশু আব্দুল জব্বারের মা-বাবা কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলো ও প্রলাপ বকছিলো। তাদের কান্না দেখে উপস্থিত সকলেই কাদঁতে থাকে। ফলে আত্মীয় সজন ও পাড়া প্রতিবেশী শোকে আছন্ন হয়ে পড়ে। শিশু জব্বারকে দংশন করা সাপটি গ্রামের প্রধান সড়কের পাশ থেকে মোমিনুল ইসলাম নামে এক যুবক সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে লঅঠি দিয়ে সাপটি মেরে ফেলে।