ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহে ২০ দিনেই নষ্ট হওয়া সেই রাস্তা মেরামত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭
  • / ৬১১ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ২০ দিনে নষ্ট হওয়া রাস্তাটি অবশেষে মেরামত করা হচ্ছে। বিভিন্ন দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এসডি এমএম আমজাদ হোসেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন উপস্থিত থেকে নষ্ট হওয়া রাস্তাটি মেরামত করা হয়। ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা বাকুলিয়া স্থানে ৫ কোটি টাকার রাস্তাটি নির্মানের ২০ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে পত্রিকায় “ঝিনাইদহে ৫ কোটি টাকার রাস্তা ২০ দিনেই শেষ” শিরোনোম একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে হৈচৈ পড়ে যায়। রোববার ভোর সকালে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ও এসডি এমএম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে নষ্ট হওয়া অংশ মেরামত শুরু হয় এবং বিকাল নাগাদ শেষ হয়। উল্লেখ্য প্রিয়োডিক মেইনটেনেন্স প্রজেক্টের (পিএমপি মেজর) আতওতায় ঝিনাইদহ যশোর সড়কের চারটি স্থানে টেন্ডার পেয়ে কাজ করেন ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। কিন্তু সিডিউল মোতাবেক সঠিক ও যথাযথ ভাবে কাজ না করায় মাত্র ২০ দিনেই কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা বাকুলিয়া অংশটি ডেবে গিয়ে যান চলাচলে ঝুকি তৈরী হয়। ৫ কোটিরও বেশি টাকার চার গ্রুপের এ সব কাজ নি¤œমানের হওয়ায় সমালেচনার মুখে পড়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ। একই ভাবে ঝিনাইদহ শহরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে সওজের আরেকটি রাস্তা অল্প দিনেই পিচ ও পাথর উঠে গেছে। এই রাস্তায় ১২ মিলি খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হরিণাকুন্ডুর আমতলা তেলটুপি রাস্তায় যেনতেন ভাবে কাজ করে দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা জুনের আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সড়কের বিভিন্ন অংশে লেনথ ও খোয়ার থিকনেস কম দেওয়া হয়। কাজটি করেন বাগেরহাটের ঠিকাদার মোজাফফর। শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ আশ্রয়ন প্রকল্প, একই উপজেলার চড়িয়ার বিল থেকে শেখপাড়া বাজার, লাঙ্গলবাধ সড়ক ও গাড়াগঞ্জ থেকে বারইপাড়া পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার কাজ যেনতেন ভাবে করে এসও মনিরুল ইসলাম তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। রাস্তার কাজগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত ও ল্যাব টেষ্ট করলেই সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে যেনতেন ভাবে কাজ করে সড়ক বিভাগের টাকা তছরুপের ফলে ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরিশ আজাদ খানকে হেড অফিস থেকে শোকজ করা হয়েছে। কালীগঞ্জে ২০ দিনে নষ্ট হওয়া রাস্তার ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম বলেন, কাজে কোন ত্রুটি ছিল না। বেইজ খারাপ থাকার কারণে এমটি হয়েছে। তিনি নিজ খরচে নষ্ট হওয়া অংশটি মেরামত করেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে নিাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাস্তাটির নষ্ট হওয়া অংশ মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া কাজটি এখনো শেষ হয়নি, চলমান রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে ২০ দিনেই নষ্ট হওয়া সেই রাস্তা মেরামত

আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ২০ দিনে নষ্ট হওয়া রাস্তাটি অবশেষে মেরামত করা হচ্ছে। বিভিন্ন দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার সকাল থেকেই ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এসডি এমএম আমজাদ হোসেন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন উপস্থিত থেকে নষ্ট হওয়া রাস্তাটি মেরামত করা হয়। ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা বাকুলিয়া স্থানে ৫ কোটি টাকার রাস্তাটি নির্মানের ২০ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে পত্রিকায় “ঝিনাইদহে ৫ কোটি টাকার রাস্তা ২০ দিনেই শেষ” শিরোনোম একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে হৈচৈ পড়ে যায়। রোববার ভোর সকালে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান ও এসডি এমএম আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে নষ্ট হওয়া অংশ মেরামত শুরু হয় এবং বিকাল নাগাদ শেষ হয়। উল্লেখ্য প্রিয়োডিক মেইনটেনেন্স প্রজেক্টের (পিএমপি মেজর) আতওতায় ঝিনাইদহ যশোর সড়কের চারটি স্থানে টেন্ডার পেয়ে কাজ করেন ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। কিন্তু সিডিউল মোতাবেক সঠিক ও যথাযথ ভাবে কাজ না করায় মাত্র ২০ দিনেই কালীগঞ্জ উপজেলার খয়েরতলা বাকুলিয়া অংশটি ডেবে গিয়ে যান চলাচলে ঝুকি তৈরী হয়। ৫ কোটিরও বেশি টাকার চার গ্রুপের এ সব কাজ নি¤œমানের হওয়ায় সমালেচনার মুখে পড়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ। একই ভাবে ঝিনাইদহ শহরের সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে সওজের আরেকটি রাস্তা অল্প দিনেই পিচ ও পাথর উঠে গেছে। এই রাস্তায় ১২ মিলি খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। হরিণাকুন্ডুর আমতলা তেলটুপি রাস্তায় যেনতেন ভাবে কাজ করে দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা জুনের আগেই তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই সড়কের বিভিন্ন অংশে লেনথ ও খোয়ার থিকনেস কম দেওয়া হয়। কাজটি করেন বাগেরহাটের ঠিকাদার মোজাফফর। শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ আশ্রয়ন প্রকল্প, একই উপজেলার চড়িয়ার বিল থেকে শেখপাড়া বাজার, লাঙ্গলবাধ সড়ক ও গাড়াগঞ্জ থেকে বারইপাড়া পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকার কাজ যেনতেন ভাবে করে এসও মনিরুল ইসলাম তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। রাস্তার কাজগুলো নিরপেক্ষ তদন্ত ও ল্যাব টেষ্ট করলেই সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাটের তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে যেনতেন ভাবে কাজ করে সড়ক বিভাগের টাকা তছরুপের ফলে ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরিশ আজাদ খানকে হেড অফিস থেকে শোকজ করা হয়েছে। কালীগঞ্জে ২০ দিনে নষ্ট হওয়া রাস্তার ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম বলেন, কাজে কোন ত্রুটি ছিল না। বেইজ খারাপ থাকার কারণে এমটি হয়েছে। তিনি নিজ খরচে নষ্ট হওয়া অংশটি মেরামত করেন বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে নিাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাস্তাটির নষ্ট হওয়া অংশ মেরামত করা হয়েছে। তাছাড়া কাজটি এখনো শেষ হয়নি, চলমান রয়েছে।