ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

পিতার স্বপ্ন পুরণে মাঠে নেমেছেন শহিদুল পুত্র : শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন ও প্রয়াত বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করায় লক্ষ্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-৩ আসনে নতুন সেনসেশন হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রণি। অষ্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে পিতার স্বপ্ন পুরণ ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী টগবগে তরুন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি মহেশপুর কোটচাচাঁদপুর নির্বাচনী এলাকায় পিতা বিএনপির টিকেটে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ইমেজের উপর ভর করে অর্জন করেছেন সাধরণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা। মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রণির এই নতুন পথচলায় সাথী হয়েছেন তার মা জাহানারা নাজনীন। মায়ের অনুপ্রেরণা আর প্রয়াত পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে রণি ধানের শীষের পক্ষে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু গনসংযোগেই তিনি স্থির থাকেন না। ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে বিএনপির সভা সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল পিতা শহিদুল ইসলাম মাষ্টার ইন্তেকাল করার পর থেকেই তার বাবার রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে আসেন রণি। অবশ্য ছাত্রজীবন থেকেই তার মধ্যে শহীদ জিয়ার আদর্শের বীজ অংকুরিত হয়। মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি জানান, আমার পিতা শহিদুল ইসলাম মাষ্টার মহেশপুর কোটচাঁদপুরে যে উন্নয়নের ভীত রচনা করে গেছেন তা নজীর বিহীন। বাবার হাতে গড়া রাস্তা ঘাটে আজ মানুষ চলাচল করতে পারে না। সংস্কার হয়না স্কুল কলেজ মাদ্রাস। তিনি বলেন, বাবার অসামাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতেই আমি ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমেছি। গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাকে সাদরে গ্রহন করছেন। গনসংযোগে আমি ধানের শীষের সফলা দেখতে পাচ্ছি। রণি বালেন, মহেশপুর কোটচাঁদপুর এলাকায় বিদ্বেষপুর্ন, নোংরা ও হানাহানী মুক্ত রাজনৈতিক পরিবশে গড়ে তুলে পিতার ইমেজ অক্ষুন্ন রাখতে চায়। মহেশপুর পৌর বিএনপির সভাপতি প্রবিন রাজনীতিবিদ আজিজুল হক খান বলেন, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে বলে তাকে আমরা প্রসংসা করছি না, তার মধ্যে সৃষ্টিশীল অনেক গুন রয়েছে। তিনি বলেন, মেহেদী হাসান রণি তার বাবার মতোই শান্ত স্বভাবের মানুষ। ছেলেটিকে মুল্যায়ন করা হলে বিএনপির রাজনীতি ও সাধারন মানুষ উপকৃত হবে। মহেশপুর পৌর বিএনপির আরেক নেতা এসএম শাহাজামান মোহনও জানালেন রণি রাজনীতিতে নতুন হলেও বাবার ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পেরেছেন। আমরা তার সাথেই আছি।  এছাড়া মহেশপুরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান রিপন, বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী এড. আব্বাস উদ্দীন, এসবিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, নাটিমা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আহসানুল্লা, যাদবপুর ইউনিয়ন বিএনপির এনামুল হক, কাজীরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেন জগলুল পাশাসহ প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা মেহেদী হাসান রণির পাশে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও মেহেদী হাসান রণির মা মা জাহানারা নাজনীন জানান, তার ছেলে মুলত মহেশপুর কোটচাদপুর এলাকায় শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন ও প্রয়াত বাবার অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তব্য়ান করতে চাই। সেই সুযোগ পেলে আমরা সফল হবো।
¬¬¬¬¬¬

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পিতার স্বপ্ন পুরণে মাঠে নেমেছেন শহিদুল পুত্র : শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন ও প্রয়াত বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করায় লক্ষ্য

আপলোড টাইম : ০৪:১৮:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-৩ আসনে নতুন সেনসেশন হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য প্রয়াত শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে মেহেদী হাসান রণি। অষ্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে পিতার স্বপ্ন পুরণ ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী টগবগে তরুন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি মহেশপুর কোটচাচাঁদপুর নির্বাচনী এলাকায় পিতা বিএনপির টিকেটে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ইমেজের উপর ভর করে অর্জন করেছেন সাধরণ মানুষের আস্থা ও ভালবাসা। মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি রণির এই নতুন পথচলায় সাথী হয়েছেন তার মা জাহানারা নাজনীন। মায়ের অনুপ্রেরণা আর প্রয়াত পিতার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে রণি ধানের শীষের পক্ষে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু গনসংযোগেই তিনি স্থির থাকেন না। ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে বিএনপির সভা সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল পিতা শহিদুল ইসলাম মাষ্টার ইন্তেকাল করার পর থেকেই তার বাবার রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণায় রাজনীতিতে আসেন রণি। অবশ্য ছাত্রজীবন থেকেই তার মধ্যে শহীদ জিয়ার আদর্শের বীজ অংকুরিত হয়। মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি জানান, আমার পিতা শহিদুল ইসলাম মাষ্টার মহেশপুর কোটচাঁদপুরে যে উন্নয়নের ভীত রচনা করে গেছেন তা নজীর বিহীন। বাবার হাতে গড়া রাস্তা ঘাটে আজ মানুষ চলাচল করতে পারে না। সংস্কার হয়না স্কুল কলেজ মাদ্রাস। তিনি বলেন, বাবার অসামাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতেই আমি ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমেছি। গ্রামের সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাকে সাদরে গ্রহন করছেন। গনসংযোগে আমি ধানের শীষের সফলা দেখতে পাচ্ছি। রণি বালেন, মহেশপুর কোটচাঁদপুর এলাকায় বিদ্বেষপুর্ন, নোংরা ও হানাহানী মুক্ত রাজনৈতিক পরিবশে গড়ে তুলে পিতার ইমেজ অক্ষুন্ন রাখতে চায়। মহেশপুর পৌর বিএনপির সভাপতি প্রবিন রাজনীতিবিদ আজিজুল হক খান বলেন, সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে বলে তাকে আমরা প্রসংসা করছি না, তার মধ্যে সৃষ্টিশীল অনেক গুন রয়েছে। তিনি বলেন, মেহেদী হাসান রণি তার বাবার মতোই শান্ত স্বভাবের মানুষ। ছেলেটিকে মুল্যায়ন করা হলে বিএনপির রাজনীতি ও সাধারন মানুষ উপকৃত হবে। মহেশপুর পৌর বিএনপির আরেক নেতা এসএম শাহাজামান মোহনও জানালেন রণি রাজনীতিতে নতুন হলেও বাবার ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পেরেছেন। আমরা তার সাথেই আছি।  এছাড়া মহেশপুরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান রিপন, বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী এড. আব্বাস উদ্দীন, এসবিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম, নাটিমা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আহসানুল্লা, যাদবপুর ইউনিয়ন বিএনপির এনামুল হক, কাজীরবেড় ইউনিয়ন বিএনপির আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেন জগলুল পাশাসহ প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা মেহেদী হাসান রণির পাশে থেকে শক্তি ও সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন। সাবেক এমপি শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও মেহেদী হাসান রণির মা মা জাহানারা নাজনীন জানান, তার ছেলে মুলত মহেশপুর কোটচাদপুর এলাকায় শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়ন ও প্রয়াত বাবার অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তব্য়ান করতে চাই। সেই সুযোগ পেলে আমরা সফল হবো।
¬¬¬¬¬¬