গাছে ফল না ধরায় নার্সারি মালিককে কুপিয়ে জখম
- আপলোড টাইম : ১২:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১১১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় তিন বছর আগে আতিয়ার রহমান লাবুর নার্সারি থেকে বেশকিছু আম গাছের চারা কিনেছিলেন কলম হোসেন। গাছগুলো বড় হয়েছে। আশায় আছেন গাছে মুকুল আসবে ফলও ধরবে। কিন্তু মুকুলও আসছে না ফলও ধরছে না। তাই ক্ষোভে নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছেন কলম হোসেন। কলম হোসেন দুধপাতিলা গ্রামের মৃত ইলিয়াস মিস্ত্রীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে দামুড়হুদার বড়দুধপাতিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত আতিয়ার রহমান লাবু (৩৮) উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান দামুড়হুদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের আতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত নার্সারির ব্যবসা করে আসছেন। সেই নার্সারি থেকে বছর তিনেক আগে এলাকার মৃত ইলিয়াস মিস্ত্রীর ছেলে কলম হোসেন বেশকিছু আম গাছের চারা ক্রয় করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানের সঙ্গে দেখা হয় কলম বিশ্বাসের। আম গাছ বড় হলেও এখনো কেন আমের মুকুল আসেনি জিজ্ঞাসা করেন এবং গাছ ফেরত দিতে চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে কলম হোসেনসহ কয়েকজন আতিয়ার রহমানকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে রামদা দিয়ে আতিয়ার রহমানের মাথায় কোপ দেন কলম হোসেন। পরে স্থানীয়রা আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, আতিয়ার রহমানের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জখম আছে। ক্ষতস্থানে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।