নির্বাচনের ট্রেন আর মিস করতে চায় না বিএনপি : শীঘ্রই সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন বিএনপি
- আপলোড টাইম : ০৬:২৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০১৭
- / ৩১৮ বার পড়া হয়েছে
সমীকরণ ডেস্ক: কোনভাবেই আর নির্বাচনের ট্রেন মিস করতে চায় না বিএনপি। যে কোনভাবেই নির্বাচন হোক না কেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নেবেই। এ জন্যই বিএনপির সকল কার্যক্রম এখন নির্বাচনকেন্দ্রীক (নির্বাচনমুখী)। সূত্র মতে, বিএনপি যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সে বার্তাটি এখন দলের সর্বস্তরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নির্বাচনের যোগ্য সব নেতাই এখন নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ যাতে নিজেদের অনুকূলে থাকে সেজন্য বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে বিএনপি। এসব কৌশল বাস্তবায়নে এখন থেকেই তোড়জোর শুরু হয়ে গেছে। আর এসব কৌশল বাস্তবায়নে নেপথ্যে বিএনপি হাইকমান্ডকে সহযোগিতা করছে এ দলের সমর্থক কিছু বুদ্ধিজীবী। মাঝেমধ্যেই বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ব্যাপী বৈঠক করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এ দল সব সময়ই নির্বাচনমুখী। তবে নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে এবং মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে এমন পরিবেশ চায় বিএনপি। এ জন্যই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি জানিয়ে আসছে। শীঘ্রই সহায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নির্বাচন সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে।
ভিশন-২০৩০ ঘোষণা: নির্বাচন সামনে রেখেই আগেভাগেই ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ১০মে জাঁকজমকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ভিশন ঘোষণা করেন তিনি। মূলত নির্বাচন সামনে রেখে জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এ ভিশন ঘোষণা করা হয়। এ ভিশন প্রস্তুত করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করেন ক’জন জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবী। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কি কি করতে চায় তা ভিশনে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি দেশের মানুষ ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।
সহায়ক সরকারের রূপরেখা: বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সহায়ক সরকারের দাবিতে সোচ্চার। দলের কিছু সিনিয়র নেতা ও কয়েক বুদ্ধিজীবীর সহযোগিতায় সহায়ক সরকারের রূপরেখা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে একটি নয় সহায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে একাধিক। পরিবেশ-পরিস্থিতি সাপেক্ষে যেটি বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হবে সেটিই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন খালেদা জিয়া।
জানা যায়, বিএনপি এমনভাবে সহায়ক সরকারের রূপরেখা তৈরি করছে যে সরকারে বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা যেন সক্রিয় না থাকে। তাদের রূপরেখায় এখন পর্যন্ত যেসব বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে তাতে প্রথমত রয়েছে শেখ হাসিনা যাতে নির্বাচনকালীন সরকারে না থাকে। দ্বিতীয়ত রয়েছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারে শেখ হাসিনা থাকলেও তিনি রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া যেন কিছুই করতে না পারেন। আর তৃতীয়ত নির্বাচনকালীন সরকারে শেখ হাসিনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কটি মন্ত্রণালয় যেন আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে না থাকে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সহায়ক সরকারের একাধিক রূপরেখা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লন্ডন সফরের পর এ রূপরেখা চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবেন।