চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা রাস্তার ওপর কাঁদা-মাটি জমে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ : ঘটছে দূর্ঘটনা
- আপলোড টাইম : ০৪:০৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০১৭
- / ১১৭২ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা
রাস্তার ওপর কাঁদা-মাটি জমে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ : ঘটছে দূর্ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে ইটভাটা। ইট তৈরীর মাটি সংগ্রহ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাক্টরে করে নিয়ে আসা মাটি রাস্তার উপর ছিটিয়ে পড়ায় অল্প বৃষ্টিতেই তা কাদায় পরিণত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মরণফাঁদ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাটো দূর্ঘটনা। ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা মহাসড়কের পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে এমএবিএম নামক ইটভাটা। এজন্য বিভিন্নস্থান থেকে ইট তৈরীর প্রধান উপকরণ মাটি সরবরাহ করে ট্রাক্টরযোগে ইটভাটায় এনে স্তুপ করা হচ্ছে। মাটি সরবরাহের সময় ট্রলিতে থাকা মাটি রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। অল্প বৃষ্টিতেই ছিটকে পড়া মাটি রাস্তার উপর ছড়িয়ে পড়ে পিচ্ছিল কাঁদায় রূপ নেয়। ফলে রাস্তায় যাতায়াতকারিদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল আরোহীদের দুই চাকার যান নিয়ে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের এই স্থানটিতে ভারী যানবাহন খুব দ্রুত গতিতে চলে। ফলে দূর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা সব চাইতে বেশি।
স্থানীয় কৃষক মন্টু বলেন, রাস্তার উপর ইটভাটা করার কারণে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ইটভাটার ট্রাক্টরে কাদা তোলার কারণে রাস্তায় কাদা-মাটি পড়ে দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। আজকেও এক্সিডেন্ট হয়েছে, একজন খুব আঘাত পেয়েছে রাস্তার উপরের এই কাদার কারণে।
পথচারী শান্তি মিয়া জানান, ইটভাটার মাটির কারণে অল্প বৃষ্টিতেই কাদা হচ্ছে। কাদার কারণে যানজটের সমস্যা, এক্সিডেন্টের ভয়। এ সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কাদা যেন না থাকে রোডে, আমরা যেন শান্তিতে চলাফেরা করতে পারি।
সাইকেল আরোহী করম আলী বলেন, আমি ফুল নিয়ে শহরে যাওয়ার সময় কাদার কারণে পড়ে যাচ্ছিলাম। আরেকটু হলেই ট্রাকের নিচে পড়তাম। ওই নান্নু মিয়া ইটভাটা করছে, ইটভাটার মাটির কারণে কাদা হয়ে রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
মোটরসাইকেল আরোহী শহীদ বলেন, আমি প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করি। কাদামাটির জন্য সমস্যা হচ্ছে, দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। ইটভাটা হওয়ার কারণে ভাটার ট্রাক্টর উঠছে-নামছে আর কাদা-মাটি রাস্তায় ছড়াচ্ছে। বৃষ্টির পানি পড়ে তা কাদা হচ্ছে। শুধু মোটরসাইকেল আরোহীরা নয়, স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরা যাতায়াত করছে ঝুকি নিয়ে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে জানান, ইতিপূর্বে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেও ইটভাটার মাটি যদি রাস্তায় থাকে আর তা যদি দূর্ঘটনার কারণ হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়াও ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে এমন একাধিক অভিযোগ রয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিঘ্রই উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।
এ ব্যাপারে ইটভাটার মালিক নান্নু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।