ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

দামুড়হুদা মজলিশপুরে অবস্থানরত প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় : প্রেমিক রানা জেলহাজতে : প্রেমিকা লিভা’র ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুড়ানপুর মজলিশপুরের বহুল আলোচিত প্রেমিক রানার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনড় অবস্থান নিয়ে ফল না পেয়ে মামলা করলো প্রেমিকা লিভা। তার দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে জুড়ানপুর মজলিশপুরের সানোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ রানাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকেই থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। গতকাল বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দেহভোগ ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে এজাহার দায়ের করে আলমডাঙ্গা বড়গাংনীর আমিনুল ইসলামের কলেজ পড়–য়া মেয়ে নাজমুন নাহার লিভা (১৮+)। তার দাখিল করা এজাহার আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) অনুসারে মামলা রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করা হয় রানাকে। আদালতের নির্দেশে গতকালই তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
লিভার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,  ২০১৫ সালে লিভা ও রানা দু’জনেই এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময় একে অপরের সাথে পরিচিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মোবাইলে কথোপকথন হয়। এরপর লিভা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ও রানা আলমডাঙ্গার এমএস জোহা কৃষি কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে ও বিনোদন কেন্দ্রে মিলিত হয়ে খোশ গল্পও হত। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে মাসুদ রানা তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে সম্মতি দিলে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে রানা। তারই ধারাবাহিকতায় রানা গত ২ জুলাই রবিবার সকালে লিভাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মজলিশপুরে আসতে বলে। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভালাইপুর মোড়ে গেলে রানা তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে মজলিশপুরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রানা তার শয়ন কক্ষে নিয়ে গিয়ে লিভাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে রানা তাকে বিয়ে করবে বলে শান্তনা দিয়ে তার বাবা মাকে ডেকে আনার কথা বলে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করি।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা জানায়, এসএসসি পরীক্ষার সময় তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিনের পরিচয় তাদের। প্রেমজ সম্পর্ক নয়, ভালো বন্ধুত্ব ছিল তাদের। বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ও সরাসরি কথা হত স্বীকার করলেও শারিরীক সম্পর্ক ও ধর্ষণের কথা সত্য নয় বলে জানায় রানা।
এদিকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে ভিকটিমদের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য গতকালই সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান ভিকটিমের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাবে না, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
উল্লেখ্য, দামুড়হুদার মজলিশপুরের ছানোয়ার হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রানার সাথে আলমডাঙ্গা বড় গাংনীর আমিনুলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাজমুন নাহার লিভার দীর্ঘদিনের প্রেমজ সম্পর্ক চলে আসছিলো। সম্পর্কের চরম পর্যায়ে এসে প্রেমিক রানা তার প্রেমিকা লিভাকে আর মেনে নিতে না চাওয়ায় কূল কিনারা না পেয়ে গত রবিবার সকালে প্রেমিক রানার বাড়ীতে বিয়ের দাবী নিয়ে অবস্থান নেয় প্রেমিকা লিভা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

দামুড়হুদা মজলিশপুরে অবস্থানরত প্রেমিকার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় : প্রেমিক রানা জেলহাজতে : প্রেমিকা লিভা’র ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন

আপলোড টাইম : ০৪:২০:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুড়ানপুর মজলিশপুরের বহুল আলোচিত প্রেমিক রানার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনড় অবস্থান নিয়ে ফল না পেয়ে মামলা করলো প্রেমিকা লিভা। তার দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে জুড়ানপুর মজলিশপুরের সানোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ রানাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকেই থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়। গতকাল বুধবার দামুড়হুদা মডেল থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় দেহভোগ ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে এজাহার দায়ের করে আলমডাঙ্গা বড়গাংনীর আমিনুল ইসলামের কলেজ পড়–য়া মেয়ে নাজমুন নাহার লিভা (১৮+)। তার দাখিল করা এজাহার আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ৯(১) অনুসারে মামলা রেকর্ড করে আদালতে প্রেরণ করা হয় রানাকে। আদালতের নির্দেশে গতকালই তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
লিভার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,  ২০১৫ সালে লিভা ও রানা দু’জনেই এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময় একে অপরের সাথে পরিচিত হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মোবাইলে কথোপকথন হয়। এরপর লিভা চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ও রানা আলমডাঙ্গার এমএস জোহা কৃষি কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে ও বিনোদন কেন্দ্রে মিলিত হয়ে খোশ গল্পও হত। ২০১৬ সালের প্রথম দিকে মাসুদ রানা তাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে সম্মতি দিলে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে রানা। তারই ধারাবাহিকতায় রানা গত ২ জুলাই রবিবার সকালে লিভাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মজলিশপুরে আসতে বলে। তার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ভালাইপুর মোড়ে গেলে রানা তার মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে মজলিশপুরে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রানা তার শয়ন কক্ষে নিয়ে গিয়ে লিভাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে রানা তাকে বিয়ে করবে বলে শান্তনা দিয়ে তার বাবা মাকে ডেকে আনার কথা বলে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আমি বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতেই অবস্থান করি।
অভিযুক্ত মাসুদ রানা জানায়, এসএসসি পরীক্ষার সময় তাদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিনের পরিচয় তাদের। প্রেমজ সম্পর্ক নয়, ভালো বন্ধুত্ব ছিল তাদের। বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ও সরাসরি কথা হত স্বীকার করলেও শারিরীক সম্পর্ক ও ধর্ষণের কথা সত্য নয় বলে জানায় রানা।
এদিকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহে ভিকটিমদের ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য গতকালই সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান ভিকটিমের ডিএনএ টেস্টের জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাবে না, পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
উল্লেখ্য, দামুড়হুদার মজলিশপুরের ছানোয়ার হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রানার সাথে আলমডাঙ্গা বড় গাংনীর আমিনুলের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাজমুন নাহার লিভার দীর্ঘদিনের প্রেমজ সম্পর্ক চলে আসছিলো। সম্পর্কের চরম পর্যায়ে এসে প্রেমিক রানা তার প্রেমিকা লিভাকে আর মেনে নিতে না চাওয়ায় কূল কিনারা না পেয়ে গত রবিবার সকালে প্রেমিক রানার বাড়ীতে বিয়ের দাবী নিয়ে অবস্থান নেয় প্রেমিকা লিভা।