ইটভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর অভিযোগে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে আখতারুজ্জামান চঞ্চলের ইটভাটা বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আখতারুজ্জামান চঞ্চল বুড়িপোতা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার আগে মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ইটভাটাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়ছে। অভিযান চলাকালে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা পানি ছিটিয়ে পুড়ানো ইটসহ কাঁচা ইট নষ্ট করে দেন। এসময় সেখানে গ্রামের শত শত সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ইটভাটার মালিক আখতারুজ্জামান চঞ্চল বলেন, ‘আমি ভাটা ভাঙার বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশ আছে তাই ভাটা ভাঙা হচ্ছে। আপনি জেলা প্রশাসকের অফিসে যোগাযোগ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক দিন পূর্বে কেবল ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেই কোনো কিছু না জানিয়েই আমার ভাটাটি গুড়িয়ে দেওয়া হল। কী কারণে কার নির্দেশে আমার ভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হলো সেটা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। ভাটা গুড়িয়ে দেওয়ার ফলে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার এই ইটভাটার ওপর বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র করছে। এই এলাকায় অনেক ভাটা রয়েছে, সেখানে কোনো অভিযান নেই। বারবার শুধু আমার এই ইটভাটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে।’

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না।

মেহেরপুর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল বলেন, ‘আগামী রোববারে আমরা সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে বসব, সেখানেই যা বলার বলব।’ ঘটনার পর মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইটভাটা সমিতির সভাপতি গোলাম রসুল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনসহ নেতৃবৃন্দ ইটভাটা পরিদর্শন করেছেন।