চুয়াডাঙ্গা শিশু কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জোরপূর্বক প্রবেশের অভিযোগ : ৮ যুবককে আটক : অবশেষে জরিমানা ও মুচলেকায় মুক্তি
- আপলোড টাইম : ০৪:২০:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
- / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা শিশু কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিনানুমতিতে জোরপূর্বক প্রবেশ ও সরকারি সম্পত্তি তছরুপের অভিযোগে ৮ যুবককে আটক করে সদর থানা পুলিশ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সকলের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার ৮ যুবকসহ ২০-২৫জন পুরানো স্টেডিয়াম সংলগ্ন শিশু কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনন্দ-উল্লাস করতে যায়। এ সময় তারা কারো অনুমতি না নিয়ে সেখানে প্রবেশ করলে প্রশিক্ষকরা তাদেরকে বাধা দেয় পানিতে নামতে। বাধা দেওয়ার জের ধরেই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, সবকিছু ভালই চলছিল, কিন্ত কোমলমতি প্রশিক্ষণার্থী শিশুদের এক বিরূপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। শিশুদের কলতানে মুখর সুইমিংপুলে হঠাৎ করে ২০/২৫ জন যুবকের আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়। তারা প্রশিক্ষকদের বাধা না মেনে, জোর করেই পুলে নেমে পড়ে। এমনকি তারা পানিতে ফুটবলও খেলে। মুহূর্তেই ভীতসন্তস্ত শিশুদের কান্নায় পুলে এক বাজে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রশিক্ষকগণ শিশুদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে সাহায্যের জন্য ফোন দিলে অতিদ্রুত পুলিশ এসে ৮ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারি ওই ৮ যুবক ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। প্রথমবারের মত অপরাধ, পারিবারিক সম্মান, ভবিষ্যত সুন্দর জীবন, ভুল স্বীকার, বোধদয় ইত্যাদি কারণে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হলো না। তবে ভবিষ্যতের জন্য তাদের খতিয়ান সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আরো জানা যায়, গতকালই তাদেরকে থানায় নেওয়ার পর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃণাল কান্তি দে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক অভিযুক্ত যুবকদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে প্রত্যেকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে।