ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত জমির দাগ নং : জালিয়াতির অভিযোগ : আদালতে মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহযোগিতায় রেজিস্ট্রিকৃত জমির দাগ নং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আদালতে লিখিত নালিশ করেছেন জমিদাতার সংক্ষুব্ধ কন্যা আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গার সাগরী খাতুন। লিখিত নালিশ ও মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী বক্স তার একমাত্র ছেলে আমিরুল ইসলামকে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ হেবা দলিলের মাধ্যমে কিছু জমি দান করেন। ভালাইপুর ২২ নং মৌজার আরএস ১৩৩৮ দাগের জমি তিনি দলিলে উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করে দেন (দলিল নং-২৩৩১/২০১৩)। আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে এ দলিল সম্পাদিত হয়। পরবর্তীতে জমিদাতা মোহাম্মদ আলী বক্স মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে সাগরী খাতুন সেই দলিলের নকল সংগ্রহ করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমিরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করে অফিসের মূল ভলিয়ম থেকে আর এস ১৩৩৮ নং দাগ পরিবর্তন করে ১৬৩৮ নং দাগ লিখিয়ে নিয়েছেন। মুল ভলিয়মে কাটাকাটি করে ১৩৩৮ দাগের স্থলে অবৈধভাবে ১৬৩৮ দাগ লিখে দেওয়া হয়েছে। মুল ভলিয়মে কাটাকাটি করে নতুন করে পরিবর্তিত দাগ নং দেখিয়ে আমিরুল ইসলাম সেই জমি নিজ নামে নামপত্তন করে নিয়েছেন। সাগরী খাতুন দাবী করেছেন, তার পিতা আমিরুল ইসলামকে যে দাগের জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন তার থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে যে দাগ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে তার মূল্য অনেক বেশি। সে কারনে আমিরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে দাগ নং পরিবর্তন করিয়েছে। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার জানান, তিনি ঠিক এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত জমির দাগ নং : জালিয়াতির অভিযোগ : আদালতে মামলা

আপলোড টাইম : ০৪:১৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহযোগিতায় রেজিস্ট্রিকৃত জমির দাগ নং জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে আদালতে লিখিত নালিশ করেছেন জমিদাতার সংক্ষুব্ধ কন্যা আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গার সাগরী খাতুন। লিখিত নালিশ ও মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী বক্স তার একমাত্র ছেলে আমিরুল ইসলামকে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ হেবা দলিলের মাধ্যমে কিছু জমি দান করেন। ভালাইপুর ২২ নং মৌজার আরএস ১৩৩৮ দাগের জমি তিনি দলিলে উল্লেখ করে রেজিস্ট্রি করে দেন (দলিল নং-২৩৩১/২০১৩)। আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে এ দলিল সম্পাদিত হয়। পরবর্তীতে জমিদাতা মোহাম্মদ আলী বক্স মারা যাওয়ার পর তার মেয়ে সাগরী খাতুন সেই দলিলের নকল সংগ্রহ করেন। কিন্তু সম্প্রতি আমিরুল ইসলাম আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করে অফিসের মূল ভলিয়ম থেকে আর এস ১৩৩৮ নং দাগ পরিবর্তন করে ১৬৩৮ নং দাগ লিখিয়ে নিয়েছেন। মুল ভলিয়মে কাটাকাটি করে ১৩৩৮ দাগের স্থলে অবৈধভাবে ১৬৩৮ দাগ লিখে দেওয়া হয়েছে। মুল ভলিয়মে কাটাকাটি করে নতুন করে পরিবর্তিত দাগ নং দেখিয়ে আমিরুল ইসলাম সেই জমি নিজ নামে নামপত্তন করে নিয়েছেন। সাগরী খাতুন দাবী করেছেন, তার পিতা আমিরুল ইসলামকে যে দাগের জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন তার থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন করে যে দাগ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে তার মূল্য অনেক বেশি। সে কারনে আমিরুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে দাগ নং পরিবর্তন করিয়েছে। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার জানান, তিনি ঠিক এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারবেন না।