ধর্ষণ নয় প্রেম! আজ আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড
- আপলোড টাইম : ০৪:৫৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭
- / ৪৬১ বার পড়া হয়েছে
ফলোআপ: কুড়ুলগাছিতে ধর্ষণের অভিযোগ : পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসছে
ধর্ষণ নয় প্রেম! আজ আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড
অভিযোগকারী কিশোরী হাসপাতালে ভর্তি : গ্রামের দোকানে মাঠে ঘাটে মুখোরোচক গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের প্রেমিক আমিন (১৭) এর বিরুদ্ধে প্রেমিকা কিশোরীর ধর্ষণ অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এটা ধর্ষণ নয় প্রেম ঘটিত কারণেই নিজেদের ইচ্ছায় মেলামেশার তথ্য প্রমান মিলেছে। তবে, কিশোরীর মা রেহনো খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কিশোরীকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আজ কিশোরীরর ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হবে। অপরদিকে ধর্ষণ অভিযোগে আটক শামিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তবে, এঘটনায় গ্রামের সচেতন মহল ঐ কিশোরীর অভিভাবকদের দোষ দিচ্ছে। সাধারণ গ্রামবাসীদের অভিমত অভিভাবক শাহাজামাল তার সন্তানদের লেখাপড়া না করিয়ে অবৈধভাবে চলাচলের সুযোগ দিয়ে থাকে। এ কারণে তার মেয়েরা দফায় দফায় অসামাজিক কাজে জড়িয়ে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করছে। বারবার এমন ঘটনা গ্রামবাসীরা মেনে নেবে না হুশিয়ারি দেয়। এছাড়া গ্রামবাসীরা পুলিশের প্রতি আহ্বান করে বলেছেন, পুলিশ যেন গ্রামের উঠতি বয়সের কিশোরদের প্রতি অহেতুক অভিযোগ গ্রহণ না করে। তাহলে এই কিশোরদের জীবন নষ্ট হয়ে যাবে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফকরুল খান জানান, ধর্ষণ অভিযোগকারী কিশোরীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা এবং ধর্ষণ সংঘটিত এলাকায় যেয়ে তদন্ত করে আমরা ধারণা করছি এটা ওই কিশোরী ও আমিনের একান্তই প্রেমের সম্পর্ক থেকে ঘটেছে। এটা ধর্ষণ হতে পারে না। তবে, আমরা (পুলিশ) তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া, কিশোরীর মা রেহেনা খাতুন যেহেতু মামলা করেছেন, তাই মামলার কারণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের অংশ হিসাবে আইন অনুযায়ী কিশোরীকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং সেই সাথে ধর্ষণ অভিযোগে আটক শামিমকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আজ শুক্রবার কিশোরীর ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিজট্রেটের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে থানার কুড়ালগাছি গ্রামের ইউসুপের ছেলে আমিন(১৬) ও তার সহযোগী শামিম(১৭)ও আক্তারুল(১৫)একই গ্রামের কুড়ালগাছি গ্রামের শাহাজামালের কিশোরী মেয়েকে(১৪) বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে, গোপনে বাড়ী থেকে ডেকে নেয় এর পর তাকে নিয়ে গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ঐ কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আমিন তার বন্ধুদের শামিম ও আক্তারুলের সহযোগীতায় ধর্ষণ করে। এর পর তারা তাকে রাত ২টার দিকে বাড়ী পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার বিকালে খিশোরির মা রেহেনা খাতুন বাদি হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে বুধবার সন্ধ্যার দিকে কার্পাসাডঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই সুব্রত কুড়ালগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত ঐ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শামিমকে(১৬) গ্রেফতার করে দামুড়হদা থানায় সোপর্দ করা হয়। ধর্ষণের এই ঘটনা নিয়ে এবং শাহাজামালের পরিবার পরিজনকে নিয়ে কুড়ালগাছি গ্রামে এখন চায়ের দোকানে মাঠে ঘাটে এক মুখোরোচক গল্প চলছে।
উল্লেখ্য সম্প্রতি শাহাজামালের অপর এক মেয়ে অনুরপ ঘটনা ঘটালে সে ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে শাহাজামাল ছেলে পক্ষ থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টির পর আবার শাহাজামালের ছোট মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অবৈধ মেলামেশা করে ধর্ষণের নাটক করছে। এঘটনায় যদি গ্রামের ছেলেদের জীবন ক্ষতির সম্মুখিন হয় তাহলে শাহাজামাল পরিবার কেউ গ্রাম্য শালিশ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।