ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

প্রাইমারি স্কুলের চাকরী নিতে ঠিকানা জালিয়াতি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭
  • / ৪৭৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের সরকারী প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরী নিতে মহা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে আল-মামুন তার ঠিকানা পরিবর্তন অন্য ইউনিয়নে চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে আল মামুন ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। মহারাজপুর ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় তার নাম আল-মামুন, ভোটার আই.ডি নং-৪৪০৬৪১০০০৩৩৪, পিতাঃ রেজাউল করিম, মাতাঃ সালেহা বেগম, জন্ম তারিখ: ৫-১০-৯২, বাজার পাড়া, বিষয়খালী, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু তিনি পরিচয় গোপন করে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মীরেরহুদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন। আবদেন পত্রের সাথে দেওয়া কাগজপত্র প্রার্থী আল মামুন জাল করে দাখিল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মহারাজপুর ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মীরেরহুদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি আবেদনপত্রগুলো গত ২২ মে ঝিনাইদহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান। এ বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, আল মামুন নামে এক যুবক জন্ম নিবন্ধনের আবেদন কেরছিলো। এরপর আমি আর কিছুই জানি না। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইরফান বিশ্বাস খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এভাবে চাকরী নেওয়া অবৈধ। কারণ আল মামুন ও তার পরিবার মহারাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উল্লেখ্য সরকারী প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরীর আবেদন করতে হলে সেই প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কেচমেন্ট এরিয়ার সনদপত্র, ভোটার আইডি ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ নিতে হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

প্রাইমারি স্কুলের চাকরী নিতে ঠিকানা জালিয়াতি!

আপলোড টাইম : ০৪:৪৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের সরকারী প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরী নিতে মহা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে আল-মামুন তার ঠিকানা পরিবর্তন অন্য ইউনিয়নে চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধান করে জানা গেছে আল মামুন ঝিনাইদহ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। মহারাজপুর ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় তার নাম আল-মামুন, ভোটার আই.ডি নং-৪৪০৬৪১০০০৩৩৪, পিতাঃ রেজাউল করিম, মাতাঃ সালেহা বেগম, জন্ম তারিখ: ৫-১০-৯২, বাজার পাড়া, বিষয়খালী, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু তিনি পরিচয় গোপন করে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মীরেরহুদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরীর জন্য আবেদন করেছেন। আবদেন পত্রের সাথে দেওয়া কাগজপত্র প্রার্থী আল মামুন জাল করে দাখিল করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মহারাজপুর ও নলডাঙ্গা ইউনিয়নে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মীরেরহুদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি। তিনি আবেদনপত্রগুলো গত ২২ মে ঝিনাইদহ উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান। এ বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, আল মামুন নামে এক যুবক জন্ম নিবন্ধনের আবেদন কেরছিলো। এরপর আমি আর কিছুই জানি না। নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইরফান বিশ্বাস খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এভাবে চাকরী নেওয়া অবৈধ। কারণ আল মামুন ও তার পরিবার মহারাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। উল্লেখ্য সরকারী প্রাইমারি স্কুলে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে চাকরীর আবেদন করতে হলে সেই প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে কেচমেন্ট এরিয়ার সনদপত্র, ভোটার আইডি ও ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ নিতে হয়।