চুয়াডাঙ্গার কুড়–লগাছি গ্রামে প্রেমিক কর্তৃক কিশোরী ধর্ষণের শিকার : আটক ১
- আপলোড টাইম : ০৫:০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০১৭
- / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি/কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছী গ্রামের প্রতারক প্রেমিক কিশোর আমিন (১৭) বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে একই গ্রামের প্রেমিকা কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় জড়িত শামিম (১৬) নামের ধর্ষকের এক সহযোগীকে পুলিশ আটক করেছে এবং ধর্ষক আমিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে দামুড়হদা থানায় ধর্ষণ মামলা রজু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুড়–লগাছি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি বাঁশ বাগানে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা কিশোরী দামুড়হদা উপজেলার কুড়ালগাছী গ্রামের পশ্চিমপাড়ার দিনমজুর শাহ জামালের মেয়ে। পুলিশ ধর্ষিত কিশোরীকে উদ্ধার থানা হেফাজতে রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার ধর্ষণ আলামতের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হবে। একই সাথে আটক ধর্ষক সহযোগী শামিমের ১৬৪ ধারার জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য আদালতে হাজির করা হবে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ মো. ফকরুল খান জানান, গত মঙ্গলবার রাতে থানার কুড়–লগাছি গ্রামের ইউসুফের ছেলে আমিন (১৬) ও তার সহযোগী শামিম (১৭) ও আক্তারুল (১৫) একই গ্রামের শাহ জামালের কিশোরী মেয়েকে (১৪) বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে, গোপনে বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। এরপর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে আমিন। এসময় আমিনের বন্ধু শামিম ও আক্তারুল ধর্ষণে সহযোগীতা করে। এরপর তারা কিশোরীকে আনুমানিক রাত ২টার দিকে বাড়ী পৌঁছে দেয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল বুধবার বিকালে কিশোরীর মা রেহেনা খাতুন বাদি হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরে বুধবার সন্ধ্যার দিকে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুব্রত কুড়–লগাছি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শামিমকে (১৬) গ্রেফতার করে দামুড়হদা থানায় সোপর্দ করে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শাহ জামালের অপর এক মেয়ে অনুরুপ ঘটনা ঘটালে সে ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে শাহ জামাল ছেলে পক্ষের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ে করে বিষয়টি মিমাংসা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে পুলিশ সুত্র জানায় ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসলেই বিষয়টি ধর্ষণ না উভয়ের সম্মতিতে হয়েছে। তবে, এই ঘটনা টক অব দ্য দামুড়হুদায় পরিণত হয়েছে।