ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

হরিণাকুন্ডুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক : লাঞ্চিত : গাড়ি ভাংচুর : আহত ৭

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • / ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার গতকাল বুধবার বিকালে নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। এ সময় তার আরো ৭ সমর্থক মারধরের শিকার হন। ভাংচুর করা হয় তার ব্যবহৃত পাজেরো গাড়িটি। আহত নেতা কর্মীদের মধ্যে হরণিাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ মন্ডল, শিতলী গ্রামের জাহিদ হোসেন, গোপালনগরের মানোয়ার হোসেন ও ভাতুড়িয়া গ্রামের শহীদ কাজীর পরিচয় মিলেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মশিয়ার রহমান জোয়ারদার হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুল্ল্যাগাছা গ্রামে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে গেলে প্রতিপক্ষ ঝন্টু মেম্বরের লোকজন তার উপর হামলা চালায়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বুধবার বিকালের দিকে কুল্ল্যাগাছা গ্রামের পীরতলা নামক স্থানে আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় হামলা হয়েছে। এ সময় লাঞ্চিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার। তার গাড়িটিও ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দল থেকে বহিস্কৃত ঝন্টু মেম্বর বিএনপি জামায়াতের লোকজন নিয়ে স্বসস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান। এদিকে ভাতুড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ঝন্টু মেম্বর বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অথচ আমাকে না জানিয়ে আমার গ্রামেই উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার কমিটি গঠন করতে আসে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঝন্টু মেম্বরের দাবী দল তেকে বহিস্কার করা হলে তো আমাকে চিঠি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চিঠি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান দেখাতে পারেনি। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। থানায় এখনো কেও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

হরিণাকুন্ডুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক : লাঞ্চিত : গাড়ি ভাংচুর : আহত ৭

আপলোড টাইম : ০৫:১৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার গতকাল বুধবার বিকালে নিজ দলের কর্মীদের হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন। এ সময় তার আরো ৭ সমর্থক মারধরের শিকার হন। ভাংচুর করা হয় তার ব্যবহৃত পাজেরো গাড়িটি। আহত নেতা কর্মীদের মধ্যে হরণিাকুন্ডু উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ মন্ডল, শিতলী গ্রামের জাহিদ হোসেন, গোপালনগরের মানোয়ার হোসেন ও ভাতুড়িয়া গ্রামের শহীদ কাজীর পরিচয় মিলেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মশিয়ার রহমান জোয়ারদার হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুল্ল্যাগাছা গ্রামে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করতে গেলে প্রতিপক্ষ ঝন্টু মেম্বরের লোকজন তার উপর হামলা চালায়। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, বুধবার বিকালের দিকে কুল্ল্যাগাছা গ্রামের পীরতলা নামক স্থানে আওয়ামী লীগের কর্মী সভায় হামলা হয়েছে। এ সময় লাঞ্চিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার। তার গাড়িটিও ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার অভিযোগ করেন, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দল থেকে বহিস্কৃত ঝন্টু মেম্বর বিএনপি জামায়াতের লোকজন নিয়ে স্বসস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, এই হামলা ছিল পরিকল্পিত। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান। এদিকে ভাতুড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ঝন্টু মেম্বর বলেন, আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অথচ আমাকে না জানিয়ে আমার গ্রামেই উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান জোয়ার্দ্দার কমিটি গঠন করতে আসে। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঝন্টু মেম্বরের দাবী দল তেকে বহিস্কার করা হলে তো আমাকে চিঠি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চিঠি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মশিয়ার রহমান দেখাতে পারেনি। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি কেএম শওকত হোসেন জানান, আমি এখনো ঘটনাস্থলে আছি। থানায় এখনো কেও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।