ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৪০ ইঞ্চি বর ও ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার কনের বিয়ে বিচ্ছেদ

ঝিনাইদহ অফিস:
  • আপলোড টাইম : ০৯:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে

হাল আমলের মডেল ও নায়ক নায়িকাদের মতোই বিচ্ছেদ ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪০ ইঞ্চি বর ও ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার কনের আলোচিত বিয়ে। বর আব্বাস মণ্ডলের বাউন্ডুলে জীবনযাপনের কারণে মাত্র ৭ মাসেই থেমে গেছে এই দম্পত্তির দ্বৈত রথ। দুই পরিবারের এখন সনাইয়ের সুর। বর আব্বাস মণ্ডলের বয়স ৩০ হলেও তাঁর উচ্চতা মাত্র ৪০ ইঞ্চি। এ করণে বিয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার ছিল দুশ্চিন্তায়। শেষ-মেষ সন্ধান পেয়ে যায় ১৮ বছর বয়সী মিম খাতুনের। যার উচ্চতা ছিল ৪২ ইঞ্চি। গত ৯ এপ্রিল আব্বাস ও মিমের মধ্যে ধুমধামের সাথে বিয়ে হয়। এলাকায় বিয়েটি ছিল বেশ আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর। গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই বিয়ের সংবাদ। কিন্তু মিমের কপাল পুড়ল মাত্র ৭ মাসে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বিয়ের আগ থেকেই সংসার বা বিয়ের পিড়িতে বসার ইচ্ছে ছিল না আব্বাসের। আব্বাস ছন্নছাড়া আর বাউন্ডুলে প্রকৃতির হওয়ায় ভেঙে যায় তাদের সংসার। মিমের পিতা ইউনুস আলী মোল্লা জানান, বড় আশা করে মিমকে তারা বিয়ে দিয়েছিলেন ৪০ ইঞ্চি উচ্চতার আব্বাস উদ্দিনের সাথে। কিন্তু ৭ মাসের মাথায় গত ২০ অক্টোবর গতকাল বুধবার আব্বাস মিম দম্পত্তির বিচ্ছেদ ঘটে।
আব্বাস মণ্ডল ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মণ্ডলের ছেলে ও কনে মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষণন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার মেয়ে। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আব্বাস মণ্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈধভাবেই এই বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আব্বাস মণ্ডলের পিতা আজিবর মণ্ডল বলেন, বড় আশা করে তিনি ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদের ঘটনায় তিনি মর্মাহত।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

ঝিনাইদহে ৪০ ইঞ্চি বর ও ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার কনের বিয়ে বিচ্ছেদ

আপলোড টাইম : ০৯:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

হাল আমলের মডেল ও নায়ক নায়িকাদের মতোই বিচ্ছেদ ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৪০ ইঞ্চি বর ও ৪২ ইঞ্চি উচ্চতার কনের আলোচিত বিয়ে। বর আব্বাস মণ্ডলের বাউন্ডুলে জীবনযাপনের কারণে মাত্র ৭ মাসেই থেমে গেছে এই দম্পত্তির দ্বৈত রথ। দুই পরিবারের এখন সনাইয়ের সুর। বর আব্বাস মণ্ডলের বয়স ৩০ হলেও তাঁর উচ্চতা মাত্র ৪০ ইঞ্চি। এ করণে বিয়ে নিয়ে তাঁর পরিবার ছিল দুশ্চিন্তায়। শেষ-মেষ সন্ধান পেয়ে যায় ১৮ বছর বয়সী মিম খাতুনের। যার উচ্চতা ছিল ৪২ ইঞ্চি। গত ৯ এপ্রিল আব্বাস ও মিমের মধ্যে ধুমধামের সাথে বিয়ে হয়। এলাকায় বিয়েটি ছিল বেশ আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর। গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুকসহ স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এই বিয়ের সংবাদ। কিন্তু মিমের কপাল পুড়ল মাত্র ৭ মাসে।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বিয়ের আগ থেকেই সংসার বা বিয়ের পিড়িতে বসার ইচ্ছে ছিল না আব্বাসের। আব্বাস ছন্নছাড়া আর বাউন্ডুলে প্রকৃতির হওয়ায় ভেঙে যায় তাদের সংসার। মিমের পিতা ইউনুস আলী মোল্লা জানান, বড় আশা করে মিমকে তারা বিয়ে দিয়েছিলেন ৪০ ইঞ্চি উচ্চতার আব্বাস উদ্দিনের সাথে। কিন্তু ৭ মাসের মাথায় গত ২০ অক্টোবর গতকাল বুধবার আব্বাস মিম দম্পত্তির বিচ্ছেদ ঘটে।
আব্বাস মণ্ডল ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মণ্ডলের ছেলে ও কনে মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষণন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার মেয়ে। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আব্বাস মণ্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈধভাবেই এই বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আব্বাস মণ্ডলের পিতা আজিবর মণ্ডল বলেন, বড় আশা করে তিনি ছেলেকে বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদের ঘটনায় তিনি মর্মাহত।