ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহত ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা বাসষ্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শফিউল কবির ইউসুফ সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে, এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে সোহাগ ও বাধনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। যুবলীগ নেতা ইউসুফ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার দশমিপাড়ার মৃত যুরজিহার মন্ডলের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ (৫০), দামুড়হুদা খা পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সোহাগ খান (২০), একই এলাকার এ্যাডভোকেট আবু তালেবের ছেলে আশিকুজ্জামান বাঁধন (১৮)।
এ ঘটনায় আহত এসময় আহত যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু, নবগঠিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় আহত যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফের শারিরিক অবস্থার খোঁজ নেন নেতৃবৃন্দ। সংঘর্ষে আহত বাধন ও সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আনুমানিক রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মালিক সুপার মার্কেটে ঢুকতে গেলে শফিউল কবির ইউসুফ বলেন তোরা খা পাড়ার ছেলে এখানে কি? পরে ২০/২৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালাই। এতে ধাক্কাধাক্কিতে শফিউল কবির ইউসুফ খান আহত হয়। এদিকে আহত শফিউল কবির ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, মারামারির একপর্যায়ে আমি তাদেরকে ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। এবিষয়ে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জেএম ইমদাদুল হক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স পৌছায়, কিন্তু ঘটনাস্থলে তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শফিউল কবির ইউসুফ নিজেই একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া করছিলেন বলে জানা যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আহত ৩

আপলোড টাইম : ০৫:০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা বাসষ্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শফিউল কবির ইউসুফ সহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তবে, এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে সোহাগ ও বাধনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। যুবলীগ নেতা ইউসুফ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফিরেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার দশমিপাড়ার মৃত যুরজিহার মন্ডলের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ (৫০), দামুড়হুদা খা পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে সোহাগ খান (২০), একই এলাকার এ্যাডভোকেট আবু তালেবের ছেলে আশিকুজ্জামান বাঁধন (১৮)।
এ ঘটনায় আহত এসময় আহত যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু, নবগঠিত জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফসহ ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় আহত যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফের শারিরিক অবস্থার খোঁজ নেন নেতৃবৃন্দ। সংঘর্ষে আহত বাধন ও সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আনুমানিক রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন মালিক সুপার মার্কেটে ঢুকতে গেলে শফিউল কবির ইউসুফ বলেন তোরা খা পাড়ার ছেলে এখানে কি? পরে ২০/২৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালাই। এতে ধাক্কাধাক্কিতে শফিউল কবির ইউসুফ খান আহত হয়। এদিকে আহত শফিউল কবির ইউসুফ সাংবাদিকদের বলেন, মারামারির একপর্যায়ে আমি তাদেরকে ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। এবিষয়ে দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জেএম ইমদাদুল হক বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স পৌছায়, কিন্তু ঘটনাস্থলে তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শফিউল কবির ইউসুফ নিজেই একটি অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া করছিলেন বলে জানা যায়।