ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ড্রামে ফল ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০১৭
  • / ৪২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড়ের মামা-ভাগ্নে ফলের দোকান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার খালাতো ভাই নুর আলমকে আটক করেছে। হত্যার পর রবিউলের লাশ দোকানের পেছনে একটি ড্রামে রেখে বালু চাপা দিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, খালাতো ভাই নুর আলম পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে গলাকেটে হত্যা করে প্লাষ্টিকের ড্রামে লাশ রেখে বালি চাপা kustia_pic_50104_1497969765

দিয়ে দোকানের পেছনেই লুকিয়ে রাখে। পরিবারের লোকজন মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ ভর্তি ড্রামটি বের করে আনে। পরে সুরতহাল শেষে লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম মাদারিপুর জেলার টেকেরহাট উপজেলার শংকরদি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
রবিউল ইসলামের মামা নুর হোসেন জানান, দুইজনের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া হতো। মারামারিও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তবে হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা ধারণাও করতে পারেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী হাসানসহ অন্য পুলিশের কর্মকর্তারা। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নুর আলমই পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গলাকেটে মরদেহ ড্রামে ভরে রাখা হয়। সে ছাড়া আর কেউ এ ঘটনায় জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  মরদেহ বের করার সময় রবিউলের পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

কুষ্টিয়ায় ড্রামে ফল ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ

আপলোড টাইম : ০৫:৪০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড়ের মামা-ভাগ্নে ফলের দোকান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তার খালাতো ভাই নুর আলমকে আটক করেছে। হত্যার পর রবিউলের লাশ দোকানের পেছনে একটি ড্রামে রেখে বালু চাপা দিয়ে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, খালাতো ভাই নুর আলম পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাকে গলাকেটে হত্যা করে প্লাষ্টিকের ড্রামে লাশ রেখে বালি চাপা kustia_pic_50104_1497969765

দিয়ে দোকানের পেছনেই লুকিয়ে রাখে। পরিবারের লোকজন মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ ভর্তি ড্রামটি বের করে আনে। পরে সুরতহাল শেষে লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। রবিউল ইসলাম মাদারিপুর জেলার টেকেরহাট উপজেলার শংকরদি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
রবিউল ইসলামের মামা নুর হোসেন জানান, দুইজনের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া হতো। মারামারিও হয়েছে বিভিন্ন সময়। তবে হত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা ধারণাও করতে পারেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম মেহেদী হাসানসহ অন্য পুলিশের কর্মকর্তারা। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নুর আলমই পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গলাকেটে মরদেহ ড্রামে ভরে রাখা হয়। সে ছাড়া আর কেউ এ ঘটনায় জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  মরদেহ বের করার সময় রবিউলের পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।