ইপেপার । আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শান্তি মণ্ডল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরেকটি বিস্ফোরণ আইনের মামলায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের শান্তি হোসেন, দইঝুড়ি গ্রামের আব্দুল করিম, লাভলু, কাশিমপুর গ্রামের আবু জাহিদ মনি, চোরকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, হাজীডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিদ খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও জালালপুর গ্রামের নাসির। এ মামলায় অপর আসামি গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলা চলাকালীন মশিয়ার রহমান ও উজ্জল হোসেন মারা যাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মণ্ডল ওরফে শান্তি মণ্ডল। পথে কাশিমনগর ব্রিজের ওপর পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেখানে থেকে তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ জুলাই সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে।
এর মধ্যে গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথাও ছিলেন। মামলা চলাকালে আটক আসামিদের মধ্যে ৩ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। চেয়ারম্যান নাসির ছিলেন ১৫৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দির আসামি। মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গতকাল সোমবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হয়। এছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শান্তি মণ্ডল হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আরেকটি বিস্ফোরণ আইনের মামলায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের শান্তি হোসেন, দইঝুড়ি গ্রামের আব্দুল করিম, লাভলু, কাশিমপুর গ্রামের আবু জাহিদ মনি, চোরকোল গ্রামের মিজানুর রহমান ওরফে টাক মিজান, হাজীডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিদ খলিল ওরফে ইদ্রিস ওরফে ইদু, মুকুল ও জালালপুর গ্রামের নাসির। এ মামলায় অপর আসামি গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। মামলা চলাকালীন মশিয়ার রহমান ও উজ্জল হোসেন মারা যাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ জুলাই গান্না বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন মণ্ডল ওরফে শান্তি মণ্ডল। পথে কাশিমনগর ব্রিজের ওপর পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। সেখানে থেকে তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ জুলাই সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম মালিথা বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক ধারায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে।
এর মধ্যে গান্না ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিথাও ছিলেন। মামলা চলাকালে আটক আসামিদের মধ্যে ৩ জন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। চেয়ারম্যান নাসির ছিলেন ১৫৪ ধারায় আসামিদের জবানবন্দির আসামি। মোট ১৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত গতকাল সোমবার এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হয়। এছাড়াও তাঁদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারক।