ইপেপার । আজ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

জীবননগরে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭
  • / ৪০৭ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাইমারী স্কুলে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জীবননগর উপজেলাটি ৮টি ইউনিয়ন ও একটি মাত্র পৌরসভা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র তারা সকলে কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। অতীতে সন্তানকে লেখাপড়া করাতে যেয়ে অনেক সময় অসহায় পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে নি¤œবিত্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অর্থ উপার্জনের জন্য নানা শিশুশ্রমের কাজে পাঠিয়ে দিতে হত। কিন্তু বিগত কয়েকবছর থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে প্রাইমারী স্কুল লেভেল থেকে শুরু করে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছে সরকার। আর এক শ্রেনীর অসাধু শিক্ষক অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করে নিজের পকেট ভরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী শামিমা খাতুন রোল নং-৪, মুসকাতুল রোল নং-৯, লিজা রোল নং-৬ একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র ফরহাদ রোল নং-৯,বাদশা রোল নং-১১, ৩য় শ্রেনীর ছাত্র রিহাব রোল নং-৮ নিয়মিত ক্লাস করে থাকলেও এদের নাম বাতিল করে যারা একই ক্লাসে দুই বার করে ফেল করেছে তাদেরকে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, রাজাপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা বেগম যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসে এবং যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের উপবৃত্তিতে নাম না দিয়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থী একই ক্লাসে ২/৩ বার অকৃতকার্য হয়ে একই ক্লাসে আছে, তাদের সাথে উপবৃত্তির টাকা আধাআধি ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে সেলিনা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যারা আমার নামে এসব অভিযোগ করেছে, তারা মিথ্যা বলছে। আমি কারও কাছে কোন টাকা গ্রহন করিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগরে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম

আপলোড টাইম : ০৫:১৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০১৭

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাইমারী স্কুলে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জীবননগর উপজেলাটি ৮টি ইউনিয়ন ও একটি মাত্র পৌরসভা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। এ উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র তারা সকলে কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। অতীতে সন্তানকে লেখাপড়া করাতে যেয়ে অনেক সময় অসহায় পরিবারের সদস্যদের হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে নি¤œবিত্ত ও হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া বাদ দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অর্থ উপার্জনের জন্য নানা শিশুশ্রমের কাজে পাঠিয়ে দিতে হত। কিন্তু বিগত কয়েকবছর থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে প্রাইমারী স্কুল লেভেল থেকে শুরু করে ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছে সরকার। আর এক শ্রেনীর অসাধু শিক্ষক অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করে নিজের পকেট ভরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী শামিমা খাতুন রোল নং-৪, মুসকাতুল রোল নং-৯, লিজা রোল নং-৬ একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র ফরহাদ রোল নং-৯,বাদশা রোল নং-১১, ৩য় শ্রেনীর ছাত্র রিহাব রোল নং-৮ নিয়মিত ক্লাস করে থাকলেও এদের নাম বাতিল করে যারা একই ক্লাসে দুই বার করে ফেল করেছে তাদেরকে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, রাজাপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সেলিনা বেগম যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসে এবং যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের উপবৃত্তিতে নাম না দিয়ে যে সমস্ত শিক্ষার্থী একই ক্লাসে ২/৩ বার অকৃতকার্য হয়ে একই ক্লাসে আছে, তাদের সাথে উপবৃত্তির টাকা আধাআধি ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে সেলিনা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যারা আমার নামে এসব অভিযোগ করেছে, তারা মিথ্যা বলছে। আমি কারও কাছে কোন টাকা গ্রহন করিনি।