ইপেপার । আজ শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

পাহাড়ে ত্রাণের জন্য হাহাকার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। এদিকে পাহাড় ধসের পাঁচদিন পর রাঙ্গামাটির জুড়াছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় মাটিচাপা পড়া পাহাড়ি দুই তরুণ-তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। রাঙ্গামাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত গতকাল সকালে জুড়াছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়ন থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধারের কথা সাংবাদিকদের জানান। নিহতরা হলেন- তিয়ং চাকমা (১৭) ও চিগেচোথা চাকমা (১৭)। অন্যদিকে গতকাল পর্যন্ত এই পার্বত্য জেলাটিতে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়াল। সব মিলিয়ে এই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৯ জন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং অধিক মূল্য দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। পাহাড়ধসের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, বিপর্যয় এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, খেয়ে না খেয়ে এখন তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ডাল-ভাত খেয়ে কোনোভাবে রাত যাপন করার কথা জানিয়েছেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, রাঙ্গামাটিতে ইতিমধ্যে সরকারের দেয়া ৩৫ লাখ টাকা নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন, তারা জানিয়েছেন ত্রাণের টাকা ও চাল কিছুই এখনো হাতে আসেনি। এই অবস্থায় কী খেয়ে বাঁচবেন সামনের দিনগুলোয় তা নিয়ে তারা ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাস্তা মেরামতে সেনাবাহিনী: ত্রাণ কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবাসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সড়ক মেরামতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক মাঝারি ধরনের যান চলাচলের উপযোগী হবে। ঘাগরা ও মানিকছড়ির মধ্যবর্তী স্থানের রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই সড়ক মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

পাহাড়ে ত্রাণের জন্য হাহাকার

আপলোড টাইম : ০৪:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। অনেকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। এদিকে পাহাড় ধসের পাঁচদিন পর রাঙ্গামাটির জুড়াছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় মাটিচাপা পড়া পাহাড়ি দুই তরুণ-তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে। রাঙ্গামাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত গতকাল সকালে জুড়াছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়ন থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধারের কথা সাংবাদিকদের জানান। নিহতরা হলেন- তিয়ং চাকমা (১৭) ও চিগেচোথা চাকমা (১৭)। অন্যদিকে গতকাল পর্যন্ত এই পার্বত্য জেলাটিতে পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়াল। সব মিলিয়ে এই দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৯ জন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং অধিক মূল্য দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। পাহাড়ধসের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ত্রাণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, বিপর্যয় এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, খেয়ে না খেয়ে এখন তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ডাল-ভাত খেয়ে কোনোভাবে রাত যাপন করার কথা জানিয়েছেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, রাঙ্গামাটিতে ইতিমধ্যে সরকারের দেয়া ৩৫ লাখ টাকা নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন, তারা জানিয়েছেন ত্রাণের টাকা ও চাল কিছুই এখনো হাতে আসেনি। এই অবস্থায় কী খেয়ে বাঁচবেন সামনের দিনগুলোয় তা নিয়ে তারা ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রাস্তা মেরামতে সেনাবাহিনী: ত্রাণ কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবাসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সড়ক মেরামতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গতকাল সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক মাঝারি ধরনের যান চলাচলের উপযোগী হবে। ঘাগরা ও মানিকছড়ির মধ্যবর্তী স্থানের রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই সড়ক মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।