ইপেপার । আজ বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭
  • / ৫২৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মাহে রমজানে রোজা পালন করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার ওয়াদা করা হয়েছে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে। ১. রমজানের রোজা পালন করতে হবে ইমানের সঙ্গে। অর্থাৎ আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এর প্রতি ইমান এবং রোজা যে একটি ফরজ ইবাদত এর প্রতি বিশ্বাস রাখা। রোজা পালনকারীকে আল্লাহ যেসব পুরস্কার দেবেন এর প্রতি বিশ্বাস রাখা। ২. রোজা পালন করতে হবে সওয়াবের নিয়তে। অর্থাৎ আল্লাহর জন্য রোজা পালন করা এবং রোজাকে বোঝা মনে না করা। ৩. কবিরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন, শিরক করা, সুদ খাওয়া, এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, ব্যভিচার করা, অন্যায় হত্যা করা, মাতা-পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি। রোজার ফজিলত ও সওয়াব অর্জনের জন্য শর্ত হলো ১. রোজা একমাত্র আল্লাহর জন্য পালন করতে হবে। লোকদেখানো বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য রোজা পালন করা যাবে না। ২. রোজা পালনের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা.) এর সুন্নাত অনুসরণ করতে হবে। সাহ্রি, ইফতার, তারাবিসহ যাবতীয় বিষয় রাসুলের সুন্নাত অনুযায়ী আদায় করতে হবে। ৩. শুধু খাওয়া-দাওয়া ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকলেই যথেষ্ট হবে না। মিথ্যা, পরনিন্দা, অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, ঝগড়া-বিবাদসহ সব ধরনের অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রোজাদারের আপাদমস্তককে পাপের কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। রোজ পালনের মহান উদ্দেশ্য হলো, রোজা পালনকারী সব ধরনের অন্যায় ও গর্হিত আচার-আচরণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। রোজা হলো সব ভালো বিষয় অর্জন ও অন্যায়-গর্হিত কাজ ও কথা বর্জন অনুশীলনের একটি অবলম্বন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অনেক রোজাদার এমন রয়েছে, যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতীত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে, যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। মুসনাদে আহমদ। আমরা যদি সব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থেকে কেবল আল্লাহকে খুশি করার জন্য  রোজা পালন করতে পারি তাহলেই রোজার পুণ্য লাভের আশা করতে পারি। কারণ আল্লাহ বলেছেন, রোজা আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে

আপলোড টাইম : ০৩:৫৭:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: মাহে রমজানে রোজা পালন করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার ওয়াদা করা হয়েছে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে। ১. রমজানের রোজা পালন করতে হবে ইমানের সঙ্গে। অর্থাৎ আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এর প্রতি ইমান এবং রোজা যে একটি ফরজ ইবাদত এর প্রতি বিশ্বাস রাখা। রোজা পালনকারীকে আল্লাহ যেসব পুরস্কার দেবেন এর প্রতি বিশ্বাস রাখা। ২. রোজা পালন করতে হবে সওয়াবের নিয়তে। অর্থাৎ আল্লাহর জন্য রোজা পালন করা এবং রোজাকে বোঝা মনে না করা। ৩. কবিরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন, শিরক করা, সুদ খাওয়া, এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা, ব্যভিচার করা, অন্যায় হত্যা করা, মাতা-পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া ইত্যাদি। রোজার ফজিলত ও সওয়াব অর্জনের জন্য শর্ত হলো ১. রোজা একমাত্র আল্লাহর জন্য পালন করতে হবে। লোকদেখানো বা মানুষের প্রশংসা পাওয়ার জন্য রোজা পালন করা যাবে না। ২. রোজা পালনের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা.) এর সুন্নাত অনুসরণ করতে হবে। সাহ্রি, ইফতার, তারাবিসহ যাবতীয় বিষয় রাসুলের সুন্নাত অনুযায়ী আদায় করতে হবে। ৩. শুধু খাওয়া-দাওয়া ও যৌনাচার থেকে বিরত থাকলেই যথেষ্ট হবে না। মিথ্যা, পরনিন্দা, অশ্লীলতা, ধোঁকাবাজি, ঝগড়া-বিবাদসহ সব ধরনের অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রোজাদারের আপাদমস্তককে পাপের কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। রোজ পালনের মহান উদ্দেশ্য হলো, রোজা পালনকারী সব ধরনের অন্যায় ও গর্হিত আচার-আচরণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। রোজা হলো সব ভালো বিষয় অর্জন ও অন্যায়-গর্হিত কাজ ও কথা বর্জন অনুশীলনের একটি অবলম্বন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অনেক রোজাদার এমন রয়েছে, যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতীত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে, যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। মুসনাদে আহমদ। আমরা যদি সব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থেকে কেবল আল্লাহকে খুশি করার জন্য  রোজা পালন করতে পারি তাহলেই রোজার পুণ্য লাভের আশা করতে পারি। কারণ আল্লাহ বলেছেন, রোজা আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব।