গাংনীতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ তিনজন পুলিশ হেফাজতে
- আপলোড টাইম : ০৫:৩৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০১৭
- / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে
গাংনী অফিস: গাংনীর সাহেবনগরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী সামিরুল ইসলাম, শ^াশুড়ি ফরিদা খাতুনসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে নিহত মিতার পরিবার। তবে পুলিশ জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে ঘাতক সামিরুল ইসলামকে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মেলেটারীর বাড়ি ও শ^াশুড়ি ফরিদা খাতুনকে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবীবুর রহমানের বাড়ি থেকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
এদিকে একই সময়ে নিহত মিতার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান গাংনী থানার তদন্ত অফিসার কাফরুজ্জামান।
নিহত মিতার মা ফিরোজা ওরফে ফুরু খাতুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সামিরুল ইসলাম ও তার শাশুড়ি ফরিদা খাতুন বিভিন্ন কারনে অকারনে নির্যাতন করে আসছিলো। এইদিন তার ঘরের মধ্যে আমারমেয়ের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। তার গলায় ও শরীরে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। এঘটনায় তারা আমাদের খবর পর্যন্ত দেইনি।
তদন্ত অফিসার কাফরুজ্জামান জানান, নিহতের পিতা মারফত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী সামিরুল ইসলাম, শাশুড়ি ফরিদা খাতুন ও মৃতদেহ ঘর থেকে বের করে আনার অভিযোগে সব্বুর আলীর ছেলে টিপুকে (২০) থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। নিহতের পরিবার আমাদের নিকট হত্যার দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের সর্দ্দারপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকালে স্বামী ও শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হয় এবং নিজ ঘরে মিতা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।