ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

জীবননগর বেনীপুর বাওড়ে আট মাস পরে মাছ ধরা শুরু সদস্যর মুখে হাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭
  • / ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে

jibonnagar news pic11-6-17

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাওড়ে দির্ঘ ৮মাস পরে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় ১১৫জন সদস্যর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জানা গেছে, গত ১৭/১০/১৬ইং তারিখে বেনীপুর বাওড় নিয়ে কোটে মামলার চলার কারণে বাওড়ে সমস্থ মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে বাওড়ের ১১৫জন সদস্যর আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। দির্ঘ ৮মাস বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির ফলে সমস্ত কাগজপত্র সঠিক হওয়ায় গত রবিবার কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বাওড়ে মাছ ধরা শুরু হয়। দির্ঘ দিন পরে বাওড়ে মাছ ধরতে এসে বাওড়ের ১১৫জন সদস্য আনন্দে আত্যহারা হয়ে পড়েন। এদিকে দির্ঘ ৮মাস বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রায় ২০লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে বাওড়ের সভাপতি মজিবার রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন বেনীপুর বাওড়ে ১১৫জন সদস্য আছে যার মধ্যে বেশির ভাগ দরিদ্র অসহায় এ সমস্ত সদস্য সকলে বাওড়ের উপর জীবন জীবিকা নির্ভরশীল তা ছাড়া বাওড় নিয়ে যে সমস্য ছিল তা আমরা বেশ কয়েক দিন আগেই মিটিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু গ্রামের কিছু ব্যাক্তির মিথ্যা অভিযোগের কারণে মাঝে কোর্ট থেকে আমাদের বাওড় থেকে মাছ ধরতে নিষেধ করে সেই থেকে দির্ঘ ৮মাস যাবৎ ১১৫জন সদস্য দারিদ্রতার সাথে দিন যাপন করতে থাকে। পরবর্তীতে আমরা হাইকোর্টের মাধ্যমে রায় নিয়ে গতকাল থেকে বাওড়ে  মাছ ধরা শুরু করি। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার কাছে বাওড়ে মাছ ধরার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বেনীপুর বাওড় নিয়ে যে সমস্য ছিল সেটি সমাধান হয়ে গেছে, উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়ায়ার ফলে পুনরায় বাওড়ের কতৃপক্ষকে মাছ ধরতে বলা হয়েছে। এদিকে দির্ঘ ৮মাস পরে বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা শুরুর কথা শুনে সেখানে অনেকে হাজির হন এবং বাওড়ের সাথে যুক্ত ১১৫জন সদস্যর মনে আনান্দ ফিরে আসে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর বেনীপুর বাওড়ে আট মাস পরে মাছ ধরা শুরু সদস্যর মুখে হাসি

আপলোড টাইম : ০৫:২২:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭

jibonnagar news pic11-6-17

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাওড়ে দির্ঘ ৮মাস পরে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় ১১৫জন সদস্যর মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। জানা গেছে, গত ১৭/১০/১৬ইং তারিখে বেনীপুর বাওড় নিয়ে কোটে মামলার চলার কারণে বাওড়ে সমস্থ মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে বাওড়ের ১১৫জন সদস্যর আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। দির্ঘ ৮মাস বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির ফলে সমস্ত কাগজপত্র সঠিক হওয়ায় গত রবিবার কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক বাওড়ে মাছ ধরা শুরু হয়। দির্ঘ দিন পরে বাওড়ে মাছ ধরতে এসে বাওড়ের ১১৫জন সদস্য আনন্দে আত্যহারা হয়ে পড়েন। এদিকে দির্ঘ ৮মাস বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় প্রায় ২০লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে বাওড়ের সভাপতি মজিবার রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন বেনীপুর বাওড়ে ১১৫জন সদস্য আছে যার মধ্যে বেশির ভাগ দরিদ্র অসহায় এ সমস্ত সদস্য সকলে বাওড়ের উপর জীবন জীবিকা নির্ভরশীল তা ছাড়া বাওড় নিয়ে যে সমস্য ছিল তা আমরা বেশ কয়েক দিন আগেই মিটিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু গ্রামের কিছু ব্যাক্তির মিথ্যা অভিযোগের কারণে মাঝে কোর্ট থেকে আমাদের বাওড় থেকে মাছ ধরতে নিষেধ করে সেই থেকে দির্ঘ ৮মাস যাবৎ ১১৫জন সদস্য দারিদ্রতার সাথে দিন যাপন করতে থাকে। পরবর্তীতে আমরা হাইকোর্টের মাধ্যমে রায় নিয়ে গতকাল থেকে বাওড়ে  মাছ ধরা শুরু করি। এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার কাছে বাওড়ে মাছ ধরার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বেনীপুর বাওড় নিয়ে যে সমস্য ছিল সেটি সমাধান হয়ে গেছে, উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়ায়ার ফলে পুনরায় বাওড়ের কতৃপক্ষকে মাছ ধরতে বলা হয়েছে। এদিকে দির্ঘ ৮মাস পরে বেনীপুর বাওড়ে মাছ ধরা শুরুর কথা শুনে সেখানে অনেকে হাজির হন এবং বাওড়ের সাথে যুক্ত ১১৫জন সদস্যর মনে আনান্দ ফিরে আসে।