মিথ্যাচার খুবই জঘন্য
- আপলোড টাইম : ০৬:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০১৭
- / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
ধর্ম ডেস্ক: নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হলো মিথ্যাবাদিতার মতো মৌলিক অসৎ গুণ পরিহার করা করা। রমজানের যত অর্জন সবই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এই একটিমাত্র বদঅভ্যাসের কারণে। কেননা মিথ্যাচার খুবই জঘন্য একটি চারিত্রিক দোষ ও মারাত্মক পাপের কাজ। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) মিথ্যাকে সব পাপের মূল উৎস, বলে অভিহিত করেছেন। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহতায়ালা মানুষকে ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়েছেন এ কারণেই। যদিও এ ইচ্ছার স্বাধীনতার অপব্যবহার তার আত্মার গঠন ও প্রকৃতিকে করে কলুষিত। কিন্তু মানুষের আত্মার মূল প্রকৃতি যদি কলুষিত না হয়, তাহলে আল্লাহতায়ালার প্রতি তার আকর্ষণ হয় অনিবার্য ও অপ্রতিরোধ্য। মানুষের এই শ্রেষ্ঠত্বকে সহ্য করতে পারেনি অভিশপ্ত শয়তান। তাই তো শয়তান ঘোষণা করেছে, সে আল্লাহর বান্দাদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে। শয়তানের এই প্ররোচনায় পড়ে মানুষ তাই অনেক সময় অসৎ অশোভন অনেক কাজ করে বসে। মানুষের ভেতরে যত বাজে গুণাবলির সমাবেশ হয় সবই শয়তানের কারণে। শয়তানের প্ররোচনার ওপর বিজয়ী হওয়ার জন্য আত্মশুদ্ধি দরকার। পবিত্র রমজান মাস হলো সেই আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠ মাস। রমজান মাসে মানুষ আত্মিকভাবে পরিশুদ্ধি লাভ করে আল্লাহর প্রিয়পাত্র হয়। শয়তানের প্ররোচনা ও ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে হলে নিজেকে রক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালার কাছে সব সময় সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কোরানে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘যখনই শয়তান তোমাকে কোনোভাবে প্রতারণা কিংবা প্ররোচিত করে সেই মুহূর্তে তুমি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি প্রতিদিন ৭০ বার শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই।’ নিজেদের মুমিন বলে দাবি করলে আল্লাহকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনার্থে আরো বেশি কর্মতৎপর হতে হবে। কেননা আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘আল্লাহ নিশ্চয়ই ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্যকে পরিবর্তন করে নেয়।’ তার মানে হলো, শুধু আত্মসংশোধনের ঘোষণা দিলেই চলবে না, বরং আত্মসংশোধনের জন্য সব প্রকার চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যেতে হবে। এই চেষ্টা চালানোর প্রক্রিয়ার কোনো সময়সীমা নেই। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তা চালিয়ে যেতে হবে। কেননা আল্লাহতায়ালা নিজেই বলেছেন, ‘মৃত্যু পর্যন্ত তোমার রবের ইবাদত করো।’ এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বল ঈমান আনলাম আল্লাহর ওপর, তারপর অবিচল থাকো।’