রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ
- আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৮০ বার পড়া হয়েছে
অপরাধীরা যেন পার না পায়
বাংলাদেশের পৃষ্ঠদেশে বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে রোহিঙ্গারা। বর্মি সেনাদের অভিযানের মুখে মানবিক কারণে বাংলাদেশ মিয়ানমারের লাখ লাখ বিপন্ন বাসিন্দাকে আশ্রয় দেয়। মানুষ মানুষের জন্য এ নীতিবোধে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রোহিঙ্গারা নিজেদের অসদাচরণের মাধ্যমে এটিকে শতাব্দীর অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত প্রমাণে উঠেপড়ে লেগেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা ইয়াবা নামের মাদক ব্যবসার খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জালজালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে তারা বিদেশে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। বাংলাদেশের সুনাম নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারা। রবিবার বাংলাদেশের নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ প্রশ্ন রেখে বলেছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশি জন্মসনদ কীভাবে পায়? তারা তো এ দেশের নাগরিকই নয়। পরে রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বান্দরবানের ঘুমধুম ইউপির সচিব এরশাদুল হকের জামিন স্থগিতের আদেশ দেয় আদালত। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ-সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি করা মামলার এজাহারে বলা হয়, চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে সচিব রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করেছেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। এ মামলায় জামিন নেন ইউপি সচিব। সর্বোচ্চ আদালত সে জামিন স্থগিত করে যে প্রশ্ন রেখেছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ ও পাসপোর্ট দানের অবৈধ প্রক্রিয়ায় জড়িতরা প্রকারান্তরে জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই করছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো বিকল্প থাকা উচিত নয়।