স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে বৈঠকে পুলিশ সুপার বললেন ঈদকে উৎসবমুখর করতে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুমিকা রয়েছে
- আপলোড টাইম : ০৫:৪৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
- / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে বৈঠকে পুলিশ সুপার বললেন
ঈদকে উৎসবমুখর করতে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুমিকা রয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধ: চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন বলেছেন, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে উৎসবমুখর করতে পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভুমিকা রয়েছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সাভাাবিক রাখতে সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠককালে পুলিশ সুপার এ কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ডিবি) পরিদর্শক নাজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালে পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন জেলার আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে সাংবাদিক ও সম্পাদকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। অতি সম্প্রতি জেলা জুড়ে ডাকাতি, মেয়ে ধরা ও বোরকা বাহিনী নিয়ে গুজব চলাকালে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখনী ও সত্য সঠিত তথ্য তুলে ধরায় প্রশংসা করেন। তিনি আগামী দিনগুলোতে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন। পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ সামনে সড়ক ডাকাতি প্রতিরোধ, গরুর গাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধ, ঈদের জামাতের ইমাম নিয়ে জটীলতা ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধেও সহযোগিতা চান।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ সুপার ঘোষণা দেন, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের স্বার্থে নিবন্ধনবিহীন কোনো মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেওয়া যাবে না। এক মোটরসাইকেলে তিনজন চড়তে দেওয়া হবে না। হেলমেটবিহীন কাউকে মোটরসাইকেল চালাতে দেওয়া হবে না। রাত ১২টার পর কোনো মোটরসাইকেল চলবে না। সন্দেহজনক মোটরসাইকেল হলে আরোহীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আঞ্চলিক মহাসড়ক ও গ্রামীণ সড়ক সমূহের দু’পাশের ঝোপঝাঁড় অপসারণ করতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।