ইপেপার । আজ বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

মহেশপুর কাঠগড়া বাওড়ে মৎস্যজীবিদের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকি!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
  • / ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাঠগড়া বাওড়ে মাছ চাষ নিয়ে চলছে তুলকালাম। মৎস্যজীবিসহ এলাকার শেয়ারদের কাছ থেকে নেওয়া লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বাওড়ের হ্যাচারির দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ (লাল)। এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে মৎস্য মন্ত্রনালয়ের ঘোষিত মৎস্যনীতি ২০০৯ এর আলোকে প্রত্যেক জলাশয়ের তীরবর্তী মৎস্যজীবিদের নিকট জলাশয় ইজারা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত কাঠগড়া বাওড় সরকারী ভাবে পরিচালিত হওয়ায় বাওড় সংলগ্ন মৎস্যজীবিদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাওড়ের মোট উৎপাদনের ৪০% টাকা মৎস্যজীবিদের প্রদান করার কথা। কিন্তু মৎস্যজীবিদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাওড়ের হ্যাচারির দায়িত্ব থাকা মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিয়োগ করা প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) ৪০% এর স্থলে ২০% টাকা প্রদান করে লাখ লাখ টাকা আতœসাত করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে কাটগড়া বাওড় সরকারী ভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাওড়ে দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান মৎস্যজীবিদের হুমকি দিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  এমপির প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লালের কাছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কাঠগড়া বাওড় সাব লিজ প্রদান করেছেন। ফলে মৎস্যজীবিরা বাওড়ে রানী মাছ ধরতে না পারায় অনেক মৎস্যজীবি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে মৎস্যজীবিদের ২০% টাকা প্রদানের পর মোট ৪৮ লাখ টাকার মাছ বিক্রয় করা হয়। এই ৪৮ লক্ষ টাকার মধ্যে মৎস্যীবিদের বাকী ২০% টাকা হিসেবে ৮ লক্ষ টাকা বাওড়ের দায়িত্ব থাকা হ্যাচারী মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ লাল আতœসাত করেছেন। এ ছাড়াও ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ০৯/১১/২০১৬ ইং তারিখ থেকে ০৯/০৩/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবিদেরকে ২০% টাকা প্রদান করার পর বাকী ৪৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪ শত ৩ টাকা হ্যাচারীর দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদককে আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) এর নিকট জমা রাখতে বলেন। উক্ত টাকার মধ্যে মৎস্যজীবিদের ২০% টাকা দেওয়ার নাম করে কাউকে না দিয়ে হ্যাচারী মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬ শত ৮০ টাকা নিজেরা আতœসাত করেছেন। টাকা চাইতে গেলে বাওড়ে দায়িত্ব থাকা হ্যাচারী মজিবুর রহমানের ইন্ধনে আলীবুদ্দিন শেখ লাল তার বাহিনী প্রতিনিয়ত মৎস্যজীবিদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের নিরাপত্তা ও আতœসাতকৃত ২০% টাকা আদায়ের লক্ষে মৎস্যজীবিরা মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা  বরাবরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে হ্যাচারীর দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান ও এমপির নিয়োজিত প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লাল মুঠো ফোনে জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

মহেশপুর কাঠগড়া বাওড়ে মৎস্যজীবিদের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রতিবাদ করলে খুন জখমের হুমকি!

আপলোড টাইম : ০৫:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাঠগড়া বাওড়ে মাছ চাষ নিয়ে চলছে তুলকালাম। মৎস্যজীবিসহ এলাকার শেয়ারদের কাছ থেকে নেওয়া লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন বাওড়ের হ্যাচারির দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ (লাল)। এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে মৎস্য মন্ত্রনালয়ের ঘোষিত মৎস্যনীতি ২০০৯ এর আলোকে প্রত্যেক জলাশয়ের তীরবর্তী মৎস্যজীবিদের নিকট জলাশয় ইজারা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত কাঠগড়া বাওড় সরকারী ভাবে পরিচালিত হওয়ায় বাওড় সংলগ্ন মৎস্যজীবিদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বাওড়ের মোট উৎপাদনের ৪০% টাকা মৎস্যজীবিদের প্রদান করার কথা। কিন্তু মৎস্যজীবিদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বাওড়ের হ্যাচারির দায়িত্ব থাকা মুজিবুর রহমান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিয়োগ করা প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) ৪০% এর স্থলে ২০% টাকা প্রদান করে লাখ লাখ টাকা আতœসাত করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে কাটগড়া বাওড় সরকারী ভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাওড়ে দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান মৎস্যজীবিদের হুমকি দিয়ে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  এমপির প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লালের কাছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কাঠগড়া বাওড় সাব লিজ প্রদান করেছেন। ফলে মৎস্যজীবিরা বাওড়ে রানী মাছ ধরতে না পারায় অনেক মৎস্যজীবি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে মৎস্যজীবিদের ২০% টাকা প্রদানের পর মোট ৪৮ লাখ টাকার মাছ বিক্রয় করা হয়। এই ৪৮ লক্ষ টাকার মধ্যে মৎস্যীবিদের বাকী ২০% টাকা হিসেবে ৮ লক্ষ টাকা বাওড়ের দায়িত্ব থাকা হ্যাচারী মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ লাল আতœসাত করেছেন। এ ছাড়াও ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ০৯/১১/২০১৬ ইং তারিখ থেকে ০৯/০৩/২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবিদেরকে ২০% টাকা প্রদান করার পর বাকী ৪৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪ শত ৩ টাকা হ্যাচারীর দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান মৎস্যজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদককে আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) এর নিকট জমা রাখতে বলেন। উক্ত টাকার মধ্যে মৎস্যজীবিদের ২০% টাকা দেওয়ার নাম করে কাউকে না দিয়ে হ্যাচারী মুজিবুর রহমান ও আলীবুদ্দিন শেখ (লাল) ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬ শত ৮০ টাকা নিজেরা আতœসাত করেছেন। টাকা চাইতে গেলে বাওড়ে দায়িত্ব থাকা হ্যাচারী মজিবুর রহমানের ইন্ধনে আলীবুদ্দিন শেখ লাল তার বাহিনী প্রতিনিয়ত মৎস্যজীবিদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের নিরাপত্তা ও আতœসাতকৃত ২০% টাকা আদায়ের লক্ষে মৎস্যজীবিরা মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা  বরাবরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে হ্যাচারীর দায়িত্বে থাকা মজিবুর রহমান ও এমপির নিয়োজিত প্রতিনিধি আলীবুদ্দিন শেখ লাল মুঠো ফোনে জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই।