ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

জীবননগর সীমান্তের দুই গ্রামে সংঘর্ষ : শিক্ষকসহ আহত ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

IMG_1296

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মোটরসাইকেলের মেরামতের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর ও হরিহরনগর গ্রামে সংঘর্ষে স্কুল শিক্ষকসহ ৩জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে মেদিনীপুর গ্রামের কথিত মাদকব্যবসায়ী ওর্য়াড মেম্বার আব্দুল ওরফে মাতাল মেম্বারের ক্যাডার বাহিনীর একজন সদস্য হরিহরনগর গ্রামে মোটরসাইকেলের লিখ সারতে যেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। দীর্ঘ তিন মাস পরে গতকাল শনিবার পল্টু মোটরসাইকেল নিয়ে হরিহরগর বাজারে এলে দোকানদার পল্টুর কাছে গাড়ির লিখ সারার টাকা চায়। পল্টু টাকা দিতে রাজি না হয়ে তাকে গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায় দোকানদারসহ বাজারের কয়েকজন পল্টুকে গালিগালাজ করতে নিষেদ করে। এ সময় পল্টু অবস্থা বেগতি দেখে হরিহরনগর বাজার থেকে সটকে পড়ে এবং বিকাল সাড়ে ৪টার সময় মাদকব্যবসায়ী মাতাল মেম্বার আব্দুল, খোকন, কালামসহ বেশ কয়েকজন হরিহরনগর বাজারে যেয়ে দোকানদারকে মারধর করে। এ সময় এলাবাসাী উত্তেজিত হয়ে মেদনীপুর গ্রামে যেয়ে আ.রাজ্জাকের ছেলে মেদনীপুর ব্রীজের নাইট গার্ড মহিদুল ইসলামকে (৩৩) হরিহরনগর গ্রামের মশিয়ার, পচাসহ বেশ কয়েক জন মিলে মারধর করে। আহত অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে মেদনীপুর গ্রামের মাতাল আব্দুল মেম্বার তার দলবল নিয়ে মেদনীপুর গ্রামের ব্রিজের উপর দাড়িয়ে হরিহরনগর গ্রামের মৃত ফরজ আলীর ছেলে হরিহরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন (৪৫) মৃত তাইজেল হোসেনের ছেলে আশাদুল ইসলামকে (৩০) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাটি শোটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করেন আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভার্তি করেন। এ ব্যাপারে আহত স্কুল শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন আমি ইফতারের আগ দিয়ে মাঠ থেকে ইফতারের জন্য বাড়ি ফিরছিলাম এ সময় আব্দুল মেম্বার, খোকনসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করতে থাকে আমি তাদেরকে জিঙ্গাসা করতে থাকি আমাকে কি জন্য মারা হচ্ছে তারা আমাকে বলে তোর বাড়ি হরিহরনগর সে জন্য তোকে মারা হচ্ছে। এদিকে আহত ব্যাক্তিকের চিকিৎসার সার্বিক খোজ খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো.আ.লতিফ অমল। এ ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেদনীপুর ও হরিহরনগর দুই গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্স হয়েছে এ বিষয়টি আমি শুনেছি আর যাতে এ ধানের ঘটনা না ঘটে সে জন্য ওই গ্রামে ওসি সাহেবকে বলে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা শিকার করে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন মঈন বলেন আব্দুল মেম্বার যে কাজটি করেছে তা আসলেই একটি দুঃখ জনক ঘটনা তার কারনেই আজ দুই গ্রামের মধ্যে একটি সংঘর্ষ সৃষ্ঠি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলে বসবো আশা করি খবু শিঘ্রই এটি মিটিয়ে ফেলব। একটি সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল মেম্বার এর আগেও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে মাতাল অবস্থায় পিটিয়ে আহত করে তার অল্প কিছু দিন পরেই মেদনীপুর গ্রামে ব্রিজ তৈরিতে ফাকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় একজনকে পিটিয়ে আহত করে তার পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিতে থাকে একই ভাবে গত বৃহস্পতিবার সীমান্ত ইউনিয়নের মহিলা সদস্য তহুরা খাতুনকে গলায় হাসুয়া বাদিয়ে জবাই করতে যায়। তার এই কান্ডে গোটা এলাবাসীর মধ্যে একটি আতস্ক বিরাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

জীবননগর সীমান্তের দুই গ্রামে সংঘর্ষ : শিক্ষকসহ আহত ৩

আপলোড টাইম : ০৫:৩৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০১৭

IMG_1296

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মোটরসাইকেলের মেরামতের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মেদিনীপুর ও হরিহরনগর গ্রামে সংঘর্ষে স্কুল শিক্ষকসহ ৩জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে মেদিনীপুর গ্রামের কথিত মাদকব্যবসায়ী ওর্য়াড মেম্বার আব্দুল ওরফে মাতাল মেম্বারের ক্যাডার বাহিনীর একজন সদস্য হরিহরনগর গ্রামে মোটরসাইকেলের লিখ সারতে যেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। দীর্ঘ তিন মাস পরে গতকাল শনিবার পল্টু মোটরসাইকেল নিয়ে হরিহরগর বাজারে এলে দোকানদার পল্টুর কাছে গাড়ির লিখ সারার টাকা চায়। পল্টু টাকা দিতে রাজি না হয়ে তাকে গালি গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায় দোকানদারসহ বাজারের কয়েকজন পল্টুকে গালিগালাজ করতে নিষেদ করে। এ সময় পল্টু অবস্থা বেগতি দেখে হরিহরনগর বাজার থেকে সটকে পড়ে এবং বিকাল সাড়ে ৪টার সময় মাদকব্যবসায়ী মাতাল মেম্বার আব্দুল, খোকন, কালামসহ বেশ কয়েকজন হরিহরনগর বাজারে যেয়ে দোকানদারকে মারধর করে। এ সময় এলাবাসাী উত্তেজিত হয়ে মেদনীপুর গ্রামে যেয়ে আ.রাজ্জাকের ছেলে মেদনীপুর ব্রীজের নাইট গার্ড মহিদুল ইসলামকে (৩৩) হরিহরনগর গ্রামের মশিয়ার, পচাসহ বেশ কয়েক জন মিলে মারধর করে। আহত অবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে মেদনীপুর গ্রামের মাতাল আব্দুল মেম্বার তার দলবল নিয়ে মেদনীপুর গ্রামের ব্রিজের উপর দাড়িয়ে হরিহরনগর গ্রামের মৃত ফরজ আলীর ছেলে হরিহরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন (৪৫) মৃত তাইজেল হোসেনের ছেলে আশাদুল ইসলামকে (৩০) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাটি শোটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে আহত করেন আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর হাসপাতালে ভার্তি করেন। এ ব্যাপারে আহত স্কুল শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন আমি ইফতারের আগ দিয়ে মাঠ থেকে ইফতারের জন্য বাড়ি ফিরছিলাম এ সময় আব্দুল মেম্বার, খোকনসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করতে থাকে আমি তাদেরকে জিঙ্গাসা করতে থাকি আমাকে কি জন্য মারা হচ্ছে তারা আমাকে বলে তোর বাড়ি হরিহরনগর সে জন্য তোকে মারা হচ্ছে। এদিকে আহত ব্যাক্তিকের চিকিৎসার সার্বিক খোজ খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো.আ.লতিফ অমল। এ ঘটনার ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মেদনীপুর ও হরিহরনগর দুই গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্স হয়েছে এ বিষয়টি আমি শুনেছি আর যাতে এ ধানের ঘটনা না ঘটে সে জন্য ওই গ্রামে ওসি সাহেবকে বলে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা শিকার করে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন মঈন বলেন আব্দুল মেম্বার যে কাজটি করেছে তা আসলেই একটি দুঃখ জনক ঘটনা তার কারনেই আজ দুই গ্রামের মধ্যে একটি সংঘর্ষ সৃষ্ঠি হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলে বসবো আশা করি খবু শিঘ্রই এটি মিটিয়ে ফেলব। একটি সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল মেম্বার এর আগেও সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে মাতাল অবস্থায় পিটিয়ে আহত করে তার অল্প কিছু দিন পরেই মেদনীপুর গ্রামে ব্রিজ তৈরিতে ফাকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় একজনকে পিটিয়ে আহত করে তার পরিবারকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিতে থাকে একই ভাবে গত বৃহস্পতিবার সীমান্ত ইউনিয়নের মহিলা সদস্য তহুরা খাতুনকে গলায় হাসুয়া বাদিয়ে জবাই করতে যায়। তার এই কান্ডে গোটা এলাবাসীর মধ্যে একটি আতস্ক বিরাজ করছে।