ঝিনাইদহে কৃষি জমি থেকে মাটি বিক্রি চাষাবাদ হুমকীর মুখে!
- আপলোড টাইম : ০৪:৩৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুন ২০১৭
- / ৬৭৮ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের নীল সবুজ মাঠ এখন পুকুর ও খানা খন্দকে ভরা। চাষযোগ্য জমি থেকে ইট ভাটা মালিকদের কাছে মাটি বিক্রি করায় এক সময়ের সবুজে ঘেরা মাঠটি এখন খা খা করছে। অভিযোগ উঠেছে, কৃষি জমি সংরক্ষন আইনের তোয়াক্কা না করে আবাদি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এসিল্যান্ড শুভ্রদাস ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি এ সময় কৃষকের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের আশ্বাস দেন। এসিল্যান্ড শুভ্রদাস জমির মালিক মহসিনকে সাফ জানিয়ে দেন কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করতে হলে অনুমোদন লাগবে। অনুমোদন না নিয়ে মাটিকাটা সম্পূর্ণ অন্যায়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এসিল্যান্ড শুভ্রাদাস জানান, এই মাঠের সব জমি কৃষি শ্রেণীর আওতাভূক্ত। মৎস্যচাষ কৃষির একটি শাখা হলেও যত্রতত্র পুকুর কাটা বা জমি থেকে মাটি বিক্রি করা পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। তিনি আইবের ব্যাখ্যা তুলে ধরে জানান, বাংলাদেশ সংবিধানে বলা আছে “প্রত্যেকেই তার জমির অধিকার পরিপূর্নভাবে ভোগ করতে পারবে। তবে মাটির নিচ অংশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। কেও পুকুর কেটে মাছ চাষ করতে পারবে, তবে আশপাশের আবাদি জমির ক্ষতি হলে মাছ চাষও বে আইনী হবে”। অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয় নিয়ে এলাকার কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম ও মনজের আলী জানান, মহসিন নামে এক ব্যক্তি গাঁয়ের জোরে সমতল জমি থেকে মাটি কেটে সাবাড় করার কারণে পানের বরজ, মরিচ ক্ষত নষ্টসহ নানা ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে। মহসিনের জেদ ও গোয়ার্তুমির কারণে সাধুহাটীর শতশত কৃষকের আবাদী জমি হুমকীর সম্মুখীন। সামান্য বর্ষা হলে মাঠ ঢুবে যাচ্ছে বলে তারা জানান। সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন বলেন, আবাদী জমি থেকে মহসিন নামে এক ব্যক্তি মাটি বিক্রি করে আশপাশের কৃষকদের হুমকীর মধ্যে ফেলেছে। প্রশাসন বিষয়টি টেকআপ করেছে। অথচ মহসিন নামে ওই ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় আমার ও এলাকার কৃষকদের বিরুদ্ধে ভুয়া দরখাস্ত করে নিজের অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, মহসিনকে আমি চিনিও না তার সাথে কথাও হয়নি। অথচ তিনি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত চাঁদাবাজীর মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সাব্বির হোসেন জানান, জমির মাটি কাটা নিয়ে মহসিনকে কেও আটকিয়ে রাখেনি বা মারধরও করেনি। অথছ তিনি বিভিন্ন স্থানে পাঠানো দরখাস্তে এ সব কথা উল্লেখ করেছেন।