ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

গুজবের সুযোগে ইসলামপাড়ায় নাটক : আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান পুলিশের

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭
  • / ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় তিনজনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ : আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় শিশু অপহরণের চেষ্টা
গুজবের সুযোগে ইসলামপাড়ায় নাটক : আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় এক গৃহবধূকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার পরিবারের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। বাড়ির উঠানে টিউবওয়েলের পাশে তারা হাত-পা, চোখ-মুখ বাধার সময় বাড়িতে আসে গৃহবধূর দেবর। পরিবারের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নদীর পাশ দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী ওই ব্যাক্তি। তবে, গৃহবধূকে উদ্ধারের সময় কাউকে পালিয়ে যেতে দেখেন নি তার দেবর সোহেল। জেলাজুড়ে রটে যাওয়া গুজবের সুযোগে গৃহবধূ চান্দিনা এই নাটক সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এদিকে, আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় ৬ মাসের শিশুকণ্যাকে অপহরণের সময় টের পেয়ে তার মায়ের চিৎকারে পালিয়ে যায় অপহরকরা। পরে বাগুন্দা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়া তিনজনকে ধরে বুড়াপাড়ায় নিয়ে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এসময় বলেশ্বরপুরের সাগর ও বুড়াপাড়ার লিটন তাদের কৌশলে ছাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে নারী অপহরণ ও ডাকাতি গুজবের আতঙ্কে গ্রাম পাহারা শুরু করেছে স্থানীয়রা। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা তিন কিশোরকে ধরে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
জানা যায়, রাতে টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে টয়লেটের দিকে যাচ্ছিলো চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার শ্যামলের স্ত্রী তানিয়া ওরফে চান্দিনা। এসময় এক ব্যাক্তি পেছন থেকে হঠাত চান্দিনার ওড়না দিয়েই তার মুখ বেধে ফেলে। পরে দড়ি দিয়ে তার হাত-পা। মুখ-চোখ বেধে ফেলে ওই ব্যাক্তি। এসময় চান্দিনার দেবর সোহেল এসে তাকে না পেয়ে ডাক দেয়। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গৃহবধূকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই ব্যাক্তি। এছাড়া, বাড়ির একটু দূরেও আরও একজন দাড়িয়ে ছিলো বলে জানায় গৃহবধু চান্দিনা। তবে, গৃহবধূর দেবর সোহেল যখন চান্দিনাকে হাত-পা, মুখ-চোখ বাধা টিউবওয়েলের পাশ পড়ে থাকা অবস্থায় যখন উদ্ধার করে, তখন কাউকে পালিয়ে যেতে দেখেন নি বলে জানান তিনি। পুলিশ বলেছে, সম্প্রতি ওই গৃহবধূর সাথে পরিবারের লোকজনের গ-গোল হয়। এসময় ওই গৃহবধূ তার শ্বাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় আসে। পরে বিষয়টি তাদের উপস্থিতিতে মিমাংসা করা হয়। ওই গ-গোলের সূত্র ধরেই গৃহবধূ এই অপহরণ নাটক সাজাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় সাজেদুলের ৬ মাসের শিশুকণ্যা মুসকানকে অপহরণের চেষ্টা চালায় এক ব্যাক্তি। এসময় ওই শিশুর কান্নার শব্দ শুনে তার মা নাজমা বেগম পেছনের দিকে তাকালে এক লোককে দৌড়ে পালাতে দেখে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা সজাগ হলে একটি মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত গতিতে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে যায় তিন যুবক। গ্রামবাসী তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও তারা থামেনি। পরে বাগুন্দা বাজারের লোকজনের কাছে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানালে বাজারের লোকজন তাদের আটক করে। তাদের বুড়াপাড়ায় নিয়ে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এসময় ওই তিন যুবক তাদের পরিচিত জানিয়ে কৌশলে ছাড়িয়ে দেয় বলেশ্বরপুরের সাগর ও বুড়াপাড়ার লিটন। পরে খবর পেয়ে ঘোলদাড়ি ক্যাম্পের ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। গ্রাম্য ম-ল-মাতব্বর এবং পুলিশের যাচাই-বাছাই ছাড়া তাদের কেন ছেড়ে দেয়া হলো বলে প্রশ্ন তোলে বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়া, তারা বিকেলের পর থেকে বলেশ্বরপুর বাজারেও সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করতে থাকে।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা থেকে তিন কিশোরকে ধরে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। মাখালডাঙ্গা বাজারের একটি চায়ের দোকানে অপরিচিত তিন কিশোরের পরিচয় জানতে চাইলে, রাজবাড়ি জেলায় তাদের বাড়ি বলে জানায় ওই তিন কিশোর। রাজবাড়ি জেলার ঠিকানা শুনেই তিন কিশোরকে আকস্মিক গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের চুয়াডাঙ্গা থানা হেফাজতে নেয়। তারা হলো, রাজবাড়ি জেলার সদর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের আবু আহসান আনুর ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির পারভেজ দুর্জয় (১৮), একই উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে আসলাম (১৮) ও সোনাগাদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৌরভ (১৮)। সাব্বির পারভেজ দুর্জয় জানায়, গতকাল দুপুরে মহানন্দা ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় আসে তারা তিন বন্ধু। মাখালডাঙ্গা গ্রামে তার নানা আইনালের বাড়িতে যাচ্ছিলো তারা। মাখালডাঙ্গা গ্রামের আরিফের মেয়ে রতœার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় সে। সাব্বির আরও জানায়, রতœা তার মামাতো বোন। রতœা রাজবাড়িতে যাওয়ার পর তার সাথে পরিচয় হয়। মাস দুয়েক আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী অপহরণের গুজব রটলেও পাওয়া যাচ্ছে না কোন তথ্য প্রমাণ। চুয়াডাঙ্গার তিতুদহসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ গুজবে আতঙ্কিত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। অনেক সময় রাতে মসজিদ থেকেও মাইকিং করে অপহরক চক্রের সদস্যরা গ্রামে ঢুকেছে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। তবে ঘটনার কোন সত্যতা না মিললেও বাড়ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক। ফলে এলাকায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশের সহযোগিতায় গ্রামপাহারা শুরু করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় গুজব রটলেও তার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকে গুজব শুনে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গুজবের সুযোগে ইসলামপাড়ায় নাটক : আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান পুলিশের

আপলোড টাইম : ০৫:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭

চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় তিনজনকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ : আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় শিশু অপহরণের চেষ্টা
গুজবের সুযোগে ইসলামপাড়ায় নাটক : আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান পুলিশের
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার ইসলামপাড়ায় এক গৃহবধূকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার পরিবারের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসলামপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। বাড়ির উঠানে টিউবওয়েলের পাশে তারা হাত-পা, চোখ-মুখ বাধার সময় বাড়িতে আসে গৃহবধূর দেবর। পরিবারের লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে নদীর পাশ দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারী ওই ব্যাক্তি। তবে, গৃহবধূকে উদ্ধারের সময় কাউকে পালিয়ে যেতে দেখেন নি তার দেবর সোহেল। জেলাজুড়ে রটে যাওয়া গুজবের সুযোগে গৃহবধূ চান্দিনা এই নাটক সাজিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এদিকে, আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় ৬ মাসের শিশুকণ্যাকে অপহরণের সময় টের পেয়ে তার মায়ের চিৎকারে পালিয়ে যায় অপহরকরা। পরে বাগুন্দা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়া তিনজনকে ধরে বুড়াপাড়ায় নিয়ে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এসময় বলেশ্বরপুরের সাগর ও বুড়াপাড়ার লিটন তাদের কৌশলে ছাড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে নারী অপহরণ ও ডাকাতি গুজবের আতঙ্কে গ্রাম পাহারা শুরু করেছে স্থানীয়রা। অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা তিন কিশোরকে ধরে গণপিটুনি শেষে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
জানা যায়, রাতে টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে টয়লেটের দিকে যাচ্ছিলো চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার শ্যামলের স্ত্রী তানিয়া ওরফে চান্দিনা। এসময় এক ব্যাক্তি পেছন থেকে হঠাত চান্দিনার ওড়না দিয়েই তার মুখ বেধে ফেলে। পরে দড়ি দিয়ে তার হাত-পা। মুখ-চোখ বেধে ফেলে ওই ব্যাক্তি। এসময় চান্দিনার দেবর সোহেল এসে তাকে না পেয়ে ডাক দেয়। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে গৃহবধূকে ফেলে পালিয়ে যায় ওই ব্যাক্তি। এছাড়া, বাড়ির একটু দূরেও আরও একজন দাড়িয়ে ছিলো বলে জানায় গৃহবধু চান্দিনা। তবে, গৃহবধূর দেবর সোহেল যখন চান্দিনাকে হাত-পা, মুখ-চোখ বাধা টিউবওয়েলের পাশ পড়ে থাকা অবস্থায় যখন উদ্ধার করে, তখন কাউকে পালিয়ে যেতে দেখেন নি বলে জানান তিনি। পুলিশ বলেছে, সম্প্রতি ওই গৃহবধূর সাথে পরিবারের লোকজনের গ-গোল হয়। এসময় ওই গৃহবধূ তার শ্বাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য থানায় আসে। পরে বিষয়টি তাদের উপস্থিতিতে মিমাংসা করা হয়। ওই গ-গোলের সূত্র ধরেই গৃহবধূ এই অপহরণ নাটক সাজাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, আলমডাঙ্গার বুড়াপাড়ায় সাজেদুলের ৬ মাসের শিশুকণ্যা মুসকানকে অপহরণের চেষ্টা চালায় এক ব্যাক্তি। এসময় ওই শিশুর কান্নার শব্দ শুনে তার মা নাজমা বেগম পেছনের দিকে তাকালে এক লোককে দৌড়ে পালাতে দেখে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা সজাগ হলে একটি মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত গতিতে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলে যায় তিন যুবক। গ্রামবাসী তাদের থামানোর চেষ্টা করলেও তারা থামেনি। পরে বাগুন্দা বাজারের লোকজনের কাছে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানালে বাজারের লোকজন তাদের আটক করে। তাদের বুড়াপাড়ায় নিয়ে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। এসময় ওই তিন যুবক তাদের পরিচিত জানিয়ে কৌশলে ছাড়িয়ে দেয় বলেশ্বরপুরের সাগর ও বুড়াপাড়ার লিটন। পরে খবর পেয়ে ঘোলদাড়ি ক্যাম্পের ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। গ্রাম্য ম-ল-মাতব্বর এবং পুলিশের যাচাই-বাছাই ছাড়া তাদের কেন ছেড়ে দেয়া হলো বলে প্রশ্ন তোলে বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়া, তারা বিকেলের পর থেকে বলেশ্বরপুর বাজারেও সন্দেহভাজন ঘোরাফেরা করতে থাকে।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গা থেকে তিন কিশোরকে ধরে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। মাখালডাঙ্গা বাজারের একটি চায়ের দোকানে অপরিচিত তিন কিশোরের পরিচয় জানতে চাইলে, রাজবাড়ি জেলায় তাদের বাড়ি বলে জানায় ওই তিন কিশোর। রাজবাড়ি জেলার ঠিকানা শুনেই তিন কিশোরকে আকস্মিক গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাদের চুয়াডাঙ্গা থানা হেফাজতে নেয়। তারা হলো, রাজবাড়ি জেলার সদর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের আবু আহসান আনুর ছেলে ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির পারভেজ দুর্জয় (১৮), একই উপজেলার শহিদুল ইসলামের ছেলে আসলাম (১৮) ও সোনাগাদি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৌরভ (১৮)। সাব্বির পারভেজ দুর্জয় জানায়, গতকাল দুপুরে মহানন্দা ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় আসে তারা তিন বন্ধু। মাখালডাঙ্গা গ্রামে তার নানা আইনালের বাড়িতে যাচ্ছিলো তারা। মাখালডাঙ্গা গ্রামের আরিফের মেয়ে রতœার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানায় সে। সাব্বির আরও জানায়, রতœা তার মামাতো বোন। রতœা রাজবাড়িতে যাওয়ার পর তার সাথে পরিচয় হয়। মাস দুয়েক আগে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী অপহরণের গুজব রটলেও পাওয়া যাচ্ছে না কোন তথ্য প্রমাণ। চুয়াডাঙ্গার তিতুদহসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ গুজবে আতঙ্কিত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। অনেক সময় রাতে মসজিদ থেকেও মাইকিং করে অপহরক চক্রের সদস্যরা গ্রামে ঢুকেছে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। তবে ঘটনার কোন সত্যতা না মিললেও বাড়ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক। ফলে এলাকায় স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পুলিশের সহযোগিতায় গ্রামপাহারা শুরু করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় গুজব রটলেও তার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না। সবাইকে গুজব শুনে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।