ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আলমডাঙ্গায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭
  • / ৬১০ বার পড়া হয়েছে

IMG_20170608_100535আলমডাঙ্গায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহতের ঘটনায়
জনমনে স্বস্তি : এলাকায় মিষ্টি বিতরণ : দাফন সম্পন্ন
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে রাজনৈতিক কোন্দলে আবারো অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে ওল্টু
আলমডাঙ্গা অফিস/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়াসহ একাধিক হত্যামামলার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি আলমডাঙ্গার তিওরবিলা গ্রামের ত্রাস ওল্টু র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গতপরশু রাত ১টার দিকে র‌্যাবের সাথে এক বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। এরপর থেকে আলমডাঙ্গাসহ গোটা এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই করে মিষ্টি বিতরণ।
এদিকে, নিহত সন্ত্রাসী ওল্টুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। নিহত ওল্টুর নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়াও র‌্যাব বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তার নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের মৃত ঝড়– মন্ডলের ছেলে ওল্টু ২০ বছর আগে লুৎফর চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী হিসেবে ১৭ বছর সাজা খেটে গত ৪ বছর পুর্বে বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরে ওল্টু গরু-ছাগল পালন ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। গ্রাম্য রাজনীতির কোন্দলে সে আবারো অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে। গত এক বছর পূর্বে ক্লিনিক ব্যবসীয় নজরুল হত্যা মামলার আসামী হিসেবে পলাতক হয়। সে গত কিছুদিন আগে কায়েতপাড়া বাওড় মৎসজীবি সমিতির সভাপতিকে হত্যা মামলারও আসামী সে। এসকল ঘটনার মূলনায়ক ওল্টু গত বুধবার রাত ১টার দিকে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হলে র‌্যাব তাকে উদ্ধার করে হারদী হাসাপতালে নিয়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব ওয়ান সুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার। এদিকে হারদী হাসাপাতালের কতৃব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহত ওল্টুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। তার নামে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানায় ও হরিণাকুন্ড থানাসহ মোট ১০টি হত্যা চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ১টার দিকে আলমডাঙ্গার খাসকররা গ্রামে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় ওল্টু। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ওল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত ওল্টু পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য, একাধিক হত্যাসহ অপহরণ চাঁদাবাজী মামলার আসামী।     গ্রামবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, ওল্টু আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া ইবি থানা এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু এলাকার দূধর্ষ্য এবং  চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। এছাড়া ওল্টু এক সময় অত্র এলাকার পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিল। ৯০ থেকে ৯৯ দশকের দিকে ওল্টু অত্র এলাকায় লাল্টু বাহিনীর সাথে একাধিক হত্যা অপহরণের সাথে জড়িৎ ছিল। সম্প্রতি আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে গা ঢাকা দেয় সে। সেই থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আলমডাঙ্গায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহত

আপলোড টাইম : ০৫:২৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০১৭

IMG_20170608_100535আলমডাঙ্গায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহতের ঘটনায়
জনমনে স্বস্তি : এলাকায় মিষ্টি বিতরণ : দাফন সম্পন্ন
স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে রাজনৈতিক কোন্দলে আবারো অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে ওল্টু
আলমডাঙ্গা অফিস/সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য, আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়াসহ একাধিক হত্যামামলার দীর্ঘদিনের পলাতক আসামি আলমডাঙ্গার তিওরবিলা গ্রামের ত্রাস ওল্টু র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় জনমনে স্বস্তি নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গতপরশু রাত ১টার দিকে র‌্যাবের সাথে এক বন্দুকযুদ্ধে সে নিহত হয়। এরপর থেকে আলমডাঙ্গাসহ গোটা এলাকাবাসীর মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই করে মিষ্টি বিতরণ।
এদিকে, নিহত সন্ত্রাসী ওল্টুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। নিহত ওল্টুর নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়াও র‌্যাব বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তার নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের মৃত ঝড়– মন্ডলের ছেলে ওল্টু ২০ বছর আগে লুৎফর চেয়ারম্যান হত্যা মামলার আসামী হিসেবে ১৭ বছর সাজা খেটে গত ৪ বছর পুর্বে বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরে ওল্টু গরু-ছাগল পালন ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। গ্রাম্য রাজনীতির কোন্দলে সে আবারো অন্ধকার জগতে প্রবেশ করে। গত এক বছর পূর্বে ক্লিনিক ব্যবসীয় নজরুল হত্যা মামলার আসামী হিসেবে পলাতক হয়। সে গত কিছুদিন আগে কায়েতপাড়া বাওড় মৎসজীবি সমিতির সভাপতিকে হত্যা মামলারও আসামী সে। এসকল ঘটনার মূলনায়ক ওল্টু গত বুধবার রাত ১টার দিকে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হলে র‌্যাব তাকে উদ্ধার করে হারদী হাসাপতালে নিয়ে যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব ওয়ান সুটার গান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির খোসা উদ্ধার। এদিকে হারদী হাসাপাতালের কতৃব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহত ওল্টুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। তার নামে চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানায় ও হরিণাকুন্ড থানাসহ মোট ১০টি হত্যা চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ১টার দিকে আলমডাঙ্গার খাসকররা গ্রামে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় ওল্টু। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ওল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত ওল্টু পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য, একাধিক হত্যাসহ অপহরণ চাঁদাবাজী মামলার আসামী।     গ্রামবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, ওল্টু আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া ইবি থানা এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু এলাকার দূধর্ষ্য এবং  চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। এছাড়া ওল্টু এক সময় অত্র এলাকার পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিল। ৯০ থেকে ৯৯ দশকের দিকে ওল্টু অত্র এলাকায় লাল্টু বাহিনীর সাথে একাধিক হত্যা অপহরণের সাথে জড়িৎ ছিল। সম্প্রতি আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে গা ঢাকা দেয় সে। সেই থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো।