ইপেপার । আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

গভীর রাতে আলমডাঙ্গার তিওরবিলায় র‌্যাবের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে : শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহত : অস্ত্র-গুলি উদ্ধার : এলাকায় স্বস্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭
  • / ৯১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার তিওরবিলা গ্রামের ওল্টু র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে দেড়টার আলমডাঙ্গার খাসকররা গ্রামে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসী। এসময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় র‌্যাব। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় ওল্টু। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ওল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত ওল্টু পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য একাধিক হত্যাসহ অপহরণ চাঁদাবাজী মামলার আসামী। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুর্টগান ও ৩ রাউন্ড গুলি এবং ১ টি ধারলো হাসুয়া উদ্ধার করে র‌্যাব।
র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহের কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, গতকাল দিনগত রাতে ডিএডি জহুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিয়মিত টহলে বের হয়। গতরাত ১টার দিকে র‌্যাবের টহল গাড়িটি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাসকররা বনতিওরবিলা গ্রামের মোমিন মালিথার নির্মানাধীন বাড়ীর কাছে পৌঁছালে ২০/২৫জনের একদল সন্ত্রাসী র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। র‌্যাব ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বন্ধুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠে পালিয়ে যায়। র‌্যাব সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের কারণে এলাকাবাসীরা বাইরে বেরিয়ে আসে। র‌্যাবের গুলিতে আহত হয় একজন। স্থানীয়রা র‌্যাবকে জানায়, আহত ব্যাক্তি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওল্টু। র‌্যাব সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় ওল্টুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অর্থাৎ হারদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওল্টুর শারীরিক পরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে গ্রামাবাসীরা আরো জানায়, ওল্টু আলমডাঙ্গা,চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া ইবি থানা এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু এলাকার দূধর্ষ্য এবং  চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। এছাড়া ওল্টু এক সময় অত্র এলাকার পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিল। ৯০ থেকে ৯৯ দশকের দিকে ওল্টু অত্রালকায় লাল্টু বাহিনীর সাথে একাধিক হত্যা অপহরণের সাথে জড়িৎ ছিল । সে সময় ওল্টুর হাতে তিওরবিলা গ্রামের  আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানকে খুঁন করে। এর পর তার ছেলে নজুলকে খুন করে। এদিকে সম্প্রতি আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে গা ঢাকা দেয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজ ছিল। ওল্টু হত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সস্থির কথা বলে। পুলিশ জানায় তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর ও তার পুত্র চাঞ্চল্যকর নজুরুল হত্যাসহ একাধিক হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজী মামলার আসামী ওল্টু।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

গভীর রাতে আলমডাঙ্গার তিওরবিলায় র‌্যাবের সাথে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে : শীর্ষ সন্ত্রাসী ওল্টু নিহত : অস্ত্র-গুলি উদ্ধার : এলাকায় স্বস্তি

আপলোড টাইম : ০৫:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার তিওরবিলা গ্রামের ওল্টু র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতরাত ১টার দিকে দেড়টার আলমডাঙ্গার খাসকররা গ্রামে র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসী। এসময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় র‌্যাব। এসময় গুলিবিদ্ধ হয় ওল্টু। পরে তাকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ওল্টুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহত ওল্টু পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য একাধিক হত্যাসহ অপহরণ চাঁদাবাজী মামলার আসামী। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুর্টগান ও ৩ রাউন্ড গুলি এবং ১ টি ধারলো হাসুয়া উদ্ধার করে র‌্যাব।
র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহের কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, গতকাল দিনগত রাতে ডিএডি জহুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিয়মিত টহলে বের হয়। গতরাত ১টার দিকে র‌্যাবের টহল গাড়িটি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার খাসকররা বনতিওরবিলা গ্রামের মোমিন মালিথার নির্মানাধীন বাড়ীর কাছে পৌঁছালে ২০/২৫জনের একদল সন্ত্রাসী র‌্যাবের গাড়ি লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। র‌্যাব ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বন্ধুকযুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠে পালিয়ে যায়। র‌্যাব সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের কারণে এলাকাবাসীরা বাইরে বেরিয়ে আসে। র‌্যাবের গুলিতে আহত হয় একজন। স্থানীয়রা র‌্যাবকে জানায়, আহত ব্যাক্তি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওল্টু। র‌্যাব সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় ওল্টুকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অর্থাৎ হারদী হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওল্টুর শারীরিক পরিক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে গ্রামাবাসীরা আরো জানায়, ওল্টু আলমডাঙ্গা,চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া ইবি থানা এবং ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু এলাকার দূধর্ষ্য এবং  চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল। এছাড়া ওল্টু এক সময় অত্র এলাকার পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিল। ৯০ থেকে ৯৯ দশকের দিকে ওল্টু অত্রালকায় লাল্টু বাহিনীর সাথে একাধিক হত্যা অপহরণের সাথে জড়িৎ ছিল । সে সময় ওল্টুর হাতে তিওরবিলা গ্রামের  আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানকে খুঁন করে। এর পর তার ছেলে নজুলকে খুন করে। এদিকে সম্প্রতি আলমডাঙ্গার কাইতপাড়া বিলের মৎস্যজীবি সমতির সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে গা ঢাকা দেয়। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজ ছিল। ওল্টু হত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সস্থির কথা বলে। পুলিশ জানায় তিওরবিলা গ্রামের লুৎফর ও তার পুত্র চাঞ্চল্যকর নজুরুল হত্যাসহ একাধিক হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজী মামলার আসামী ওল্টু।