ইপেপার । আজ শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

সেহরী ও ইফতার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭
  • / ৬৬৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: রোজা মানুষের আত্মার উন্নতি বিধানের ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা পরিপূর্ণভাবে রোজা পালন করে তারা রমজান শেষে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো পূতঃপবিত্র হয়ে যায়।’ এ জন্য অনাদিকাল থেকে আল্লাহতায়ার হুকুমে খোদাভীরুরা রোজা পালন করে আসছেন। দয়াপরবশ হয়ে আল্লাহতায়ালাও উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য রমজান মাসে রোজা পালন ফরজ করেছেন যাতে তারা রহমতের ছায়াতলে থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ পায়। প্রতিদিন রোজাদারের রোজা শুরু হয় ভোররাতে সেহরীর মাধ্যমে এবং দিনশেষে সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজার সমাপ্তি হয়। সেহরী ও ইফতার হচ্ছে রোজা শুরু ও শেষের দু’টি প্রান্তসীমা। দু’টি প্রান্তসীমাতেই খাওয়ার বিধান ও ফজিলত রয়েছে। রোজায় দীর্ঘ সময় খানাপিনা থেকে বিরত থাকতে হয় বলে শুরুতে খেয়ে নেয়া এবং শেষে আবার খেতে বসার একটি মানবীয় প্রয়োজনীয়তা পূরণেই সেহরী-ইফতারের ফজিলত ও আবেদন সীমাবদ্ধ নয়। সেহরী  ও ইফতার খাওয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদতও বটে। এটা পালন করার মাঝে বহু ফজিলত ও তাৎপর্য রয়েছে। এক ঢোক পানি কিংবা এক লোকমা খাদ্য দিয়ে হলেও সেহরী খেতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রোজার নিয়তে সেহরী খাওয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেহরী খাও, তাতে বরকত আছে।’  সেহরী পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। সামান্য খেলেও সেহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। শেষ সময়ে সেহরী খাওয়া মোস্তাহাব। তবে লক্ষ রাখতে হবে সময় যেন পার না হয়ে যায়। সেহরী সুবহে সাদিকের আগেই খেতে হয়। এরপর কিছু খেলে রোজা হবে না। অন্যদিকে ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকা মোস্তাহাব। হাদিস ইফতার সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ কল্যাণের সঙ্গে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শিগগির ইফতার করবে’ বোখারি শরীফ। সেহরী  সময়ের মতো ইফতারের আগ মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দোয়া কবুল হয়। দিনব্যাপী সংযম শেষে নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করার মধ্য দিয়ে আল্লাহতায়ালার দেয়া রিজিক আস্বাদনের যে বান্দাসুলভ ব্যাকুলতার চিত্র ফুটে ওঠে আল্লাহতায়ালার কাছে তা অত্যন্ত পছন্দনীয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

সেহরী ও ইফতার

আপলোড টাইম : ০৩:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: রোজা মানুষের আত্মার উন্নতি বিধানের ক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যারা পরিপূর্ণভাবে রোজা পালন করে তারা রমজান শেষে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো পূতঃপবিত্র হয়ে যায়।’ এ জন্য অনাদিকাল থেকে আল্লাহতায়ার হুকুমে খোদাভীরুরা রোজা পালন করে আসছেন। দয়াপরবশ হয়ে আল্লাহতায়ালাও উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য রমজান মাসে রোজা পালন ফরজ করেছেন যাতে তারা রহমতের ছায়াতলে থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ পায়। প্রতিদিন রোজাদারের রোজা শুরু হয় ভোররাতে সেহরীর মাধ্যমে এবং দিনশেষে সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজার সমাপ্তি হয়। সেহরী ও ইফতার হচ্ছে রোজা শুরু ও শেষের দু’টি প্রান্তসীমা। দু’টি প্রান্তসীমাতেই খাওয়ার বিধান ও ফজিলত রয়েছে। রোজায় দীর্ঘ সময় খানাপিনা থেকে বিরত থাকতে হয় বলে শুরুতে খেয়ে নেয়া এবং শেষে আবার খেতে বসার একটি মানবীয় প্রয়োজনীয়তা পূরণেই সেহরী-ইফতারের ফজিলত ও আবেদন সীমাবদ্ধ নয়। সেহরী  ও ইফতার খাওয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদতও বটে। এটা পালন করার মাঝে বহু ফজিলত ও তাৎপর্য রয়েছে। এক ঢোক পানি কিংবা এক লোকমা খাদ্য দিয়ে হলেও সেহরী খেতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রোজার নিয়তে সেহরী খাওয়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সেহরী খাও, তাতে বরকত আছে।’  সেহরী পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়। সামান্য খেলেও সেহরীর সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। শেষ সময়ে সেহরী খাওয়া মোস্তাহাব। তবে লক্ষ রাখতে হবে সময় যেন পার না হয়ে যায়। সেহরী সুবহে সাদিকের আগেই খেতে হয়। এরপর কিছু খেলে রোজা হবে না। অন্যদিকে ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকা মোস্তাহাব। হাদিস ইফতার সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ কল্যাণের সঙ্গে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শিগগির ইফতার করবে’ বোখারি শরীফ। সেহরী  সময়ের মতো ইফতারের আগ মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে দোয়া কবুল হয়। দিনব্যাপী সংযম শেষে নির্দিষ্ট সময়ে ইফতার করার মধ্য দিয়ে আল্লাহতায়ালার দেয়া রিজিক আস্বাদনের যে বান্দাসুলভ ব্যাকুলতার চিত্র ফুটে ওঠে আল্লাহতায়ালার কাছে তা অত্যন্ত পছন্দনীয়।