ইপেপার । আজ রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন কতটা সুরক্ষিত?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭
  • / ৪৯০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী ১ মার্চ, ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত দেশে মোট মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩১ লাখ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সহজ ব্যবহারবিধি, যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোডের অবাধ স্বাধীনতা ও বাজেটসংগত বলে দেশীয় মোবাইল ব্যবহারকারীর সিংহভাগই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে স্মার্টফোন ব্যবহার করায় একদিকে দেশ যেমন তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ক্রমশ বাড়ছে সাইবার হামলার ঝুঁকি। সাম্প্রতিকগবেষণায় দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এই বছর মোবাইল র‌্যানসমওয়্যার হামলা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫টি মোবাইল র‌্যানসমওয়্যার ফাইল শনাক্ত করা হয়েছে, যা এর আগের প্রান্তিকে শনাক্ত হওয়া ৬১ হাজার ৮৩২টির চেয়ে তিন গুণ বেশি। দেশীয় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ‘এমবি’ তথা ডাটা বাঁচাতে অ্যাপ ডাউনলোড না করে শেয়ারইট অন্যান্য মাধ্যমে এক মোবাইল ফোন থেকে অন্য মোবাইল ফোনে শেয়ার করে। এতে একদিকে যেমন ভাইরাস এক মোবাইল ফোন থেকে অন্যান্য মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি নিয়মিত হালনাগাদ না হওয়ায় একে একে অ্যাপগুলিও হয়ে উঠে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের সহজ টার্গেট। এসব ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের কিছু কিছু এতটাই ভয়ংকর যে কোনোভাবে একবার ফোনে স্থান করে নেয়ামাত্র তা রিমোট অ্যাকসেস টুল হিসাবে ফোনের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি হ্যাকারের হাতে তুলে দেয়। ফলে, ওই ফোন থেকে কাকে কল করা হচ্ছে বা কী কী এসএমএস পাঠানো হচ্ছেসহ সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য, ছবি চলে যায় হ্যাকারের কাছে। ফলে, শুধু ভাইরাস থেকে সুরক্ষাই নয় পাশাপাশি ফোনে থাকা অ্যাপসমূহের মাঝে কোনটি নিরাপদ ও কোনটি নয় তা জানার জন্যও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা আবশ্যক। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশি বহুজাতিকসাইবার সিকিউরিটি পণ্য রিভ অ্যান্টিভাইরাস সম্প্রতি বাজারে এনেছে ‘রিভ অ্যান্টিভাইরাস মোবাইল সিকিউরিটি’। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত যেকোনো মোবাইল ফোন বা ট্যাবে রিভ মোবাইল সিকিউরিটি ইনস্টলড করা থাকলে যেকোনো ধরনের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা অনলাইন থ্রেট থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষার পাশাপাশি ঘরে বসেই কাঙ্ক্ষিত ফোন ট্র্যাক করা যাবে। এজন্য মোবাইল কোম্পানি বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসে যেকোনো সাধারণ ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে বা ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ফোনের নিখুঁত অবস্থানসহ (কোথায় কোন বাড়িতে আছে) সাইলেন্ট বা ভাইব্রেশন মুডেও অ্যালার্ম বাজানো যাবে, ফোন লক করে দেয়া বা ডাটা মুছে ফেলা যাবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে জঊঠঊ অহঃরারৎঁং গড়নরষব ঝবপঁৎরঃু ইনস্টল করে ৩০ দিনের ট্রায়াল ব্যবহার করা যাবে। এরপর চাইলে অ্যাপ থেকেই এক বছরে লাইসেন্স কিনে নেয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট: িি.িৎবাবধহঃরারৎঁং.পড়স।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজকের সমীকরণ ইপেপার

You cannot copy content of this page

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন কতটা সুরক্ষিত?

আপলোড টাইম : ০৩:১৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০১৭

প্রযুক্তি ডেস্ক: বিটিআরসি’র তথ্য অনুযায়ী ১ মার্চ, ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত দেশে মোট মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩১ লাখ। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সহজ ব্যবহারবিধি, যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোডের অবাধ স্বাধীনতা ও বাজেটসংগত বলে দেশীয় মোবাইল ব্যবহারকারীর সিংহভাগই অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ এখানে স্মার্টফোন ব্যবহার করায় একদিকে দেশ যেমন তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ক্রমশ বাড়ছে সাইবার হামলার ঝুঁকি। সাম্প্রতিকগবেষণায় দেখা গেছে গত বছরের তুলনায় এই বছর মোবাইল র‌্যানসমওয়্যার হামলা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫টি মোবাইল র‌্যানসমওয়্যার ফাইল শনাক্ত করা হয়েছে, যা এর আগের প্রান্তিকে শনাক্ত হওয়া ৬১ হাজার ৮৩২টির চেয়ে তিন গুণ বেশি। দেশীয় অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ‘এমবি’ তথা ডাটা বাঁচাতে অ্যাপ ডাউনলোড না করে শেয়ারইট অন্যান্য মাধ্যমে এক মোবাইল ফোন থেকে অন্য মোবাইল ফোনে শেয়ার করে। এতে একদিকে যেমন ভাইরাস এক মোবাইল ফোন থেকে অন্যান্য মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক তেমনি নিয়মিত হালনাগাদ না হওয়ায় একে একে অ্যাপগুলিও হয়ে উঠে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের সহজ টার্গেট। এসব ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের কিছু কিছু এতটাই ভয়ংকর যে কোনোভাবে একবার ফোনে স্থান করে নেয়ামাত্র তা রিমোট অ্যাকসেস টুল হিসাবে ফোনের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি হ্যাকারের হাতে তুলে দেয়। ফলে, ওই ফোন থেকে কাকে কল করা হচ্ছে বা কী কী এসএমএস পাঠানো হচ্ছেসহ সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য, ছবি চলে যায় হ্যাকারের কাছে। ফলে, শুধু ভাইরাস থেকে সুরক্ষাই নয় পাশাপাশি ফোনে থাকা অ্যাপসমূহের মাঝে কোনটি নিরাপদ ও কোনটি নয় তা জানার জন্যও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা আবশ্যক। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশি বহুজাতিকসাইবার সিকিউরিটি পণ্য রিভ অ্যান্টিভাইরাস সম্প্রতি বাজারে এনেছে ‘রিভ অ্যান্টিভাইরাস মোবাইল সিকিউরিটি’। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত যেকোনো মোবাইল ফোন বা ট্যাবে রিভ মোবাইল সিকিউরিটি ইনস্টলড করা থাকলে যেকোনো ধরনের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা অনলাইন থ্রেট থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষার পাশাপাশি ঘরে বসেই কাঙ্ক্ষিত ফোন ট্র্যাক করা যাবে। এজন্য মোবাইল কোম্পানি বা অন্য কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসে যেকোনো সাধারণ ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে বা ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ফোনের নিখুঁত অবস্থানসহ (কোথায় কোন বাড়িতে আছে) সাইলেন্ট বা ভাইব্রেশন মুডেও অ্যালার্ম বাজানো যাবে, ফোন লক করে দেয়া বা ডাটা মুছে ফেলা যাবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে জঊঠঊ অহঃরারৎঁং গড়নরষব ঝবপঁৎরঃু ইনস্টল করে ৩০ দিনের ট্রায়াল ব্যবহার করা যাবে। এরপর চাইলে অ্যাপ থেকেই এক বছরে লাইসেন্স কিনে নেয়া যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট: িি.িৎবাবধহঃরারৎঁং.পড়স।